১১ বছর পর কোয়াবের নেতৃত্বে নতুন মুখ, পদ ছাড়লেন নাঈমুর–দেবব্রত

সেলিম শাহেদের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছেশামসুল হক

অবশেষে পদ ছাড়লেন নাঈমুর রহমান ও দেবব্রত পাল। প্রায় ১১ বছর ধরে ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়ালফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা। বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের সরব না হওয়া নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে, সমালোচনা হয়েছে তাঁদের দায়িত্ব না ছাড়া নিয়েও।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুরকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরই মধ্যে সংগঠনের কার্যক্রম নতুন করে শুরু করতে কয়েক দফা বৈঠক করেন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা।

অবশেষে আজ মিরপুরে বিসিবির একাডেমি ভবনে এক বৈঠকের পর তাঁদের দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানান সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। নাঈমুর কোয়াব সভাপতির পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত তাঁদের জানিয়েছেন বলে জানান আকরাম। সাধারণ সম্পাদক দেবব্রতও কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

২০২৩ সালে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন নাঈমুর রহমান ও দেবব্রত পাল
ছবি : বিসিবি

সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকা সেলিম শাহেদের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। এতে আরও আছেন মিনহাজুল আবেদীন, হাবিবুল বাশার, নিয়ামুর রশিদ ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত। এছাড়া আছেন আটটি বিভাগীয় দলের অধিনায়কেরাও।  

আরও পড়ুন
২০১৪ সালে নাঈমুর কোয়াবের সভাপতি ও দেবব্রত হন সাধারণ সম্পাদক। তবে ২০১৯ সালে ক্রিকেটাররা একজোট হয়ে করা আন্দোলনেও অন্যতম দাবি ছিল কোয়াব পুনর্গঠন। এর ৪ বছর পর ২০২৩ সালে কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়। তখন কেউ দায়িত্ব নিতে আগ্রহী না হওয়ায় ‘উপায় না পেয়ে’ আবার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান দেবব্রত ও নাঈমুর।

আহ্বায়ক কমিটির কাজ কী হবে তা জানিয়ে আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ সাংবাদিকদের বলেছেন,‘আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে গঠনতন্ত্রকে একটা কাঠামোর মধ্যে ফেলতে হবে। যেন প্রক্রিয়াটা মেনে চলা হয়। আমরা সিস্টেমটার উন্নতি করার চেষ্টা করব। গঠনতন্ত্র আপডেট করার চেষ্টা করব। কারা ভোটার, এটারও কিন্তু কোনো গাইডলাইন নেই।’ এই কাজ করতে কত দিন লাগবে, তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা করতে ৩ মাসও লাগতে পারে, ৬ মাসও লাগতে পারে। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এটা করার চেষ্টা করব।’

২০১৪ সালে নাঈমুর কোয়াবের সভাপতি ও দেবব্রত হন সাধারণ সম্পাদক। তবে ২০১৯ সালে ক্রিকেটাররা একজোট হয়ে করা আন্দোলনেও অন্যতম দাবি ছিল কোয়াব পুনর্গঠন। এর ৪ বছর পর ২০২৩ সালে কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়।
তখন কেউ দায়িত্ব নিতে আগ্রহী না হওয়ায় ‘উপায় না পেয়ে’ আবার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান দেবব্রত ও নাঈমুর। অবশেষে তাঁদের দায়িত্বের ইতি ঘটল। কমিটি ভেঙে দেওয়ার সভায় সাবেক ক্রিকেটারদের পাশপাশি ছিলেন তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসানের মতো তারকা ক্রিকেটাররাও।

আরও পড়ুন