হাসারাঙ্গা নিষিদ্ধ, বাংলাদেশে খেলতে পারবেন না প্রথম দুই টি–টোয়েন্টি
শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ‘নো বল’ না দেওয়ায় খেপে গিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারকে ‘অন্য কাজ’ও খুঁজতে বলেছিলেন শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। সেই জেরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন হাসারাঙ্গা। যার অর্থ আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরের প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ককে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা অবশ্য এখনো দল ঘোষণা করেনি।
হাসারাঙ্গা অবশ্য শুধু আম্পায়ারের সমালোচনার কারণেই এই শাস্তি পাননি। গত ২৪ মাসে ডিমেরিট পয়েন্ট ৫ হয়ে যাওয়াতেই দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেলেন হাসারাঙ্গা। আম্পায়ারের সমালোচনার জেরে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন হাসারাঙ্গা, ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে।
সর্বশেষ ঘটনায় হাসারাঙ্গা ভেঙেছেন আইসিসির শৃঙ্খলাবিধির ২.১৩ ধারা। যে ধারায় অন্তর্ভুক্ত আছে ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলোয়াড়, খেলোয়াড়দের সহযোগী ব্যক্তি, আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিকে ব্যক্তিগত আক্রমণের ঘটনা’।
কোনো খেলোয়াড় ৫টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটি ২টি সাসপেনশন পয়েন্ট বা নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট হয়ে যায়। আর ২টি সাসপেনশন পয়েন্টের অর্থ হলো একটি টেস্ট বা দুটি ওয়ানডে অথবা দুটি টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হওয়া। এই তিন সংস্করণের যেটি সবার আগে আসবে সেই সংস্করণেই প্রযোজ্য হয় নিষেধাজ্ঞা। এ কারণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে খেলতে পারবেন না হাসারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ সফর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই।
আজ আইসিসি শাস্তি দিয়েছে আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজকেও। আইসিসির শৃঙ্খলাবিধির এক নম্বর ধারা ভঙ্গের অভিযোগ ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। যে ম্যাচের জন্য হাসারাঙ্গা শাস্তি পেয়েছেন সেই তৃতীয় টি-টোয়েন্টির ঘটনাতেই শাস্তি পেলেন আফগান ওপেনার। আম্পায়ারের বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ম্যাচ চলাকালে ব্যাটের গ্রিপ পাল্টানোর শাস্তি পেলেন গুরবাজ। এই ঘটনায় তিনি ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন। সব মিলিয়ে ২৪ মাসের মধ্যে গুরবাজের ডিমেরিট পয়েন্ট ২টি।
হাসারাঙ্গা ও গুরবাজ, দুজনই দোষ শিকার করে ম্যাচ রেফারি ক্রিস বোর্ডের দেওয়া শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।