পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত নন পেসার নাসিম শাহ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে তাহলে একমত নন দেশটির পেসার নাসিম শাহ।

লাহোরে গত শুক্রবার গাদ্দাফি স্টেডিয়াম সংস্কার শেষে নতুন করে ‘উদ্বোধন’ করেন শেহবাজ। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের আসল কাজটা কী হবে, ‘আসল কাজটা শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ই নয়, আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে দুবাইয়ের ম্যাচে হারাতেও হবে।’

কিন্তু নাসিম এভাবে ভাবছেন না। চ্যাম্পিয়ন হতে গোটা টুর্নামেন্ট নিয়েই মনোযোগী ২১ বছর বয়সী পেসার। আলাদা করে শুধু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে মনোযোগ দিতে চান না তিনি। করাচিতে গতকাল ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে পাকিস্তান দলের অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন নাসিম।

আট দলের এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। আয়োজক দেশ পাকিস্তানের পাশাপাশি দুবাইয়েও কিছু ম্যাচ হবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। নাসিম জানিয়েছেন, এই ম্যাচ নিয়ে ড্রেসিংরুমে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মধ্যে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। শুনুন তাঁর মুখেই, ‘ভারতের বিপক্ষে আমরা কী করব আর কী করব না, এসব নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। আমরা গোটা টুর্নামেন্ট নিয়ে মনোযোগী। কারণ, ফাইনালে খেলতে চাই এবং জিততে চাই।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে নাসিম স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘শুধু একটি ম্যাচে মনোযোগ দিলে আমরা লক্ষ্য পূরণ করতে পারব না। এটা চাপের ম্যাচ, যে দল ভালোভাবে চাপ সামলে ম্যাচের দিন সেরা ক্রিকেট খেলতে পারবে, তারাই জিতবে।’

নাসিম এখন ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছেন। করাচিতে আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। এ ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। এই সিরিজ খেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নামবে পাকিস্তান। করাচিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী দিনে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্বাগতিকেরা।

ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এর আগে লিখেছে, দুবাইয়ে দুই প্রতিবেশীর এই ম্যাচের সব টিকিট মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। দুবাই স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা ২৫ হাজার।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এমনিতেই রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্কের কারণে ক্রিকেটীয় সম্পর্কও ভঙ্গুর। এবার তা আরও নাজুক হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন নিয়ে জটিলতায়। পাকিস্তানে খেলোয়াড় পাঠাতে রাজি হয়নি ভারত সরকার। শেষ পর্যন্ত ‘হাইব্রিড মডেলে’ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে রাজি হয় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচগুলো খেলবে ভারত। তাই স্বাগতিক হয়েও পাকিস্তানকে দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে। ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচও হবে দুবাইয়ে।