৩৯৯ করে ৯৯ রানের জয়ে সিরিজ ভারতের
ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেশ রাহুল ও ডাগআউটে বসা রাহুল দ্রাবিড়কে তখন খুব চিন্তিত মনে হচ্ছিল। স্কোরের দিকে না তাকিয়ে ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আর প্রধান কোচকে সে সময় টিভি পর্দায় দেখে থাকলে যে কারও মনে হওয়ার কথা, ভারত বুঝি হারতে চলেছে।
কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও সে রকম নয়। ‘দুই রাহুলকে’ আসলে চিন্তিত মনে হচ্ছিল তাদের দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪০০ রানের এভারেস্টে চড়তে পারবেন কিনা, সেটা নিয়ে। ৪০০ ছুঁতে ইনিংসে শেষ ৪ বলে ভারতের দরকার ছিল ১০ রান। শন অ্যাবটের করা ওই ওভারে তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে সমীকরণটা ৩ বলে ৪ রানে নামিয়ে আনেন সূর্যকুমার যাদব।
এর পরের ৩ বল থেকে শুধু তিনটি সিঙ্গেল নিতে পারেন সূর্যকুমার ও রবীন্দ্র জাদেজা। তাতে ১ রানের আক্ষেপ রয়ে যায়। আর একটি রান হলেই যে ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাতবার ৪০০ রান দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছুঁয়ে ফেলত ভারত।
সেটা না হলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এক মুহূর্তের জন্যও হাতছাড়া করেনি ভারত। ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে স্বাগতিকদের ৩৯৯ রানের জবাবে ২১৮ রানে গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ডাকওয়ার্থ–লুইস–স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে রাহুলের দল জিতেছে ৯৯ রানে।
একপেশে জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ মুঠোয় পুরল ভারত। সেই সঙ্গে ৩ সংস্করণেই র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর হিসাবে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নামা নিশ্চিত করল।
মোহালিতে প্রথম ম্যাচটাও ভারতই জিতেছিল। রাজকোটে আগামী বুধবার শেষ ওয়ানডেটা তাই হয়ে দাঁড়িয়েছে নিছক আনুষ্ঠানিকতার।