‘ইমরান বা ওয়াসিম না, আমি নাসিম হতে চাই’
বয়স ২০ বছর। তবে ৪৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্যারিয়ারেই পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের অন্যতম তারকা হয়ে উঠেছেন নাসিম শাহ। গতি, সুইং মিলিয়ে পাকিস্তান কিংবদন্তিদের সঙ্গে তুলনাটাও চলে আসছে তাই। তবে তরুণ ফাস্ট বোলার বলছেন, তিনি ইমরান খান বা ওয়াসিম আকরাম না, হতে চান নিজের ঘরানার একজনই।
এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে ১টি উইকেটই পান নাসিম, কিন্তু ৫ ওভারে দেন মাত্র ১৭ রান। ভারতের বিপক্ষে শুরুতে দুর্দান্ত বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাননি, পরে অবশ্য ঠিকই নেন ৩ উইকেট। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফের সঙ্গে নাসিমের বোলিংয়ের সমন্বয়ে পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণ যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই বড় হুমকি।
আগামীকাল সুপার ফোরে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। গতকাল ভারতের পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে, ফলে এ পর্বে দেখা যাবে আরেকটি ভারত-পাকিস্তান লড়াই। অবশ্য আগামীকালের ম্যাচে কারা প্রতিপক্ষ, কথা শুনে মনে হবে নাসিম সেটি জানেন না। এর আগে বাংলাদেশের সুপার ফোরে যাওয়াটা এসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও আজ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে অফিশিয়াল ব্রডকাস্টিংয়ে অবশ্য দেখানো হয়েছে সেটি। সূচি অনুযায়ী, কাল পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে কখনোই খেলেননি নাসিম।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনেও পাকিস্তানি সাংবাদিকেরা এনেছেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রসঙ্গ। তবে নাসিম বলেছেন, আপাতত সেটি নিয়ে ভাবছেন না তাঁরা, ‘ভারত ম্যাচের আগে কয়েক দিন আছে। আমাদের দৃষ্টি এখন আগামীকালের ম্যাচে, যে-ই প্রতিপক্ষ হোক না কেন। এখানে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলে একটা জয় নিয়েই শ্রীলঙ্কায় যেতে চাই। কাছে আসার পরই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভাবব।’
আর নিজেকে নিয়েও ভাবনাটা সরল নাসিমের। ওয়াসিম-ইমরানদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে তুলনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি নাসিম শাহ হতে চাই, নিজের মতো একজন বোলার। ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামরা অনেক বড় মানের বোলার, তবে প্রত্যেকেই আলাদা। তারা যা করেছে, সেখান থেকে কিছু নিতে পারেন, কিন্তু আপনি তাদের মতো হতে পারবেন না।’
আপাতত দলের চাহিদাটাই বড় তাঁর কাছে, ‘যখনই প্রয়োজন, আমি দলের জন্য কার্যকর হয়ে উঠতে চাই। শাহিন ইনিংসের শুরুতে উইকেট নেওয়ার সুযোগ নেয়। আমি এটি নিশ্চিত করি যাতে সুযোগ তৈরি হয়, অন্য প্রান্ত থেকে রান না আসে। দলের চাহিদা যেটিই হোক না কেন, আমি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’
আর দলের ভাবনাটা নাসিম জানিয়েছেন এভাবে, ‘আমরা অতীত নিয়ে কথা বলতে পারি না, এখনকার দল ও সমন্বয় নিয়েই কথা বলতে পারি। যেভাবে খেলছি, তাতে এশিয়া কাপ জেতা ও বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী। অতীতের পারফরম্যান্স ভেবে লাভ নেই, এটি মানসিকভাবে আপনার ওপর প্রভাব ফেলবে। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলা ও জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।’
লাহোরে আগামীকালের ম্যাচের পরই আবার শ্রীলঙ্কায় যেতে হবে পাকিস্তানকে। সুপার ফোরের বাকি ম্যাচগুলো সেখানেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে দেবে বলে আশাবাদী নাসিম, ‘কন্ডিশন দুই জায়গায় আলাদা। তবে টেস্ট সিরিজ ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলার কারণে আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছি। আর যেখানেই খেলুন না কেন, বোলিং বিভাগকে ডিসিপ্লিনড হতে হবে, উইকেট যেমনই হোক না কেন। আমরা দুই জায়গা সম্বন্ধেই জানি, ফলে মানিয়ে নিতে সেরা চেষ্টাই করব।’