যে প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ডের উদাহরণ দিলেন সাকিব
টিম সাউদির সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ইঁদুর–বিড়াল খেলাটা চলছিল অনেক দিন ধরেই।
বিশেষ করে ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব লাসিথ মালিঙ্গাকে টপকে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে যাওয়ার পর থেকে। দীর্ঘদিন পিছু পিছু ছোটা সাউদি অবশেষে সাকিবকে টপকে যান ২০২২ বিশ্বকাপে। পাঁচ মাস পর আজ আবার আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারের রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছেন সাকিব।
রেকর্ড গড়তে দরকার ছিল ৪ উইকেট, সাকিব নিয়েছেন ২২ রানে ৫ উইকেট। সাকিবের ১১৪ আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ইনিংসে ৫ উইকেট এ নিয়ে দ্বিতীয়বার। দিন শেষে হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
তবে এমন দারুণ বোলিংয়ের পরও সাকিবের অনুভূতি বিশেষ কিছু নয়। ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণীতে টি–টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশ অধিনায়ক দিয়েছেন অল্প কথায়, ‘এটা অবশ্যই ভালো লাগার ব্যাপার।’
চট্টগ্রামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ ওভারে ২০৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। এক প্রান্তে তাসকিন আহমেদকে এনে অপর প্রান্তে বোলিং শুরু করেন অধিনায়ক সাকিব নিজেই। টানা চার ওভার বল করার পথে ৫ উইকেট নিয়ে ভেঙে দেন আইরিশ ব্যাটিং–লাইনআপ।
সাকিব জানালেন, ব্যাটিংয়ের সময়ই টের পেয়েছেন স্পিন বোলিং কাজে লাগবে, ‘আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম, টেক্টরের বল বাঁক নিচ্ছিল, গ্রিপও করছিল। মনে হয়েছে উইকেটে স্পিনারদের জন্য কিছু আছে।’
উইকেটে স্পিনারদের জন্য থাকা সুবিধা কাজে লাগানোয় জয়ের ব্যবধানটা বেড়েছে। তার আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়েও আক্রমণাত্মক মানসিকতা ছিল স্পষ্ট। লিটন দাস–রনি তালুকদারের উদ্বোধনী জুটি ৯.২ ওভারেই তুলে ফেলে ১২৪ রান। তিনে নামা সাকিবও ২৪ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, প্রথম বল থেকে এভাবে খেলারই পরিকল্পনা ছিল তাঁর দলের, ‘গত কয়েক ম্যাচে যেভাবে খেলে এসেছি, সেভাবেই খেলার লক্ষ্য ছিল আমাদের। বড় দল হতে চাইলে ম্যাচের প্রথম বল থেকেই নিজেদের তুলে ধরতে হবে। এ বিষয়টা নিয়ে আমাদের দলে আলোচনা হয়েছে। আমরা সবাই ঠিক করেছি, এভাবেই খেলে যেতে হবে।’
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এর আগে আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও জিতেছে বাংলাদেশ। এমনই দাপটের সঙ্গে যে সঞ্চালক এমন প্রশ্নও করলেন, সাকিব কি দলে আত্মতুষ্টি চলে আসার ভয় করছেন?
সাকিব উত্তরটা দিলেন দারুণ, ‘অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো ২–০ তে এগিয়ে গেলে ৩–০ করার কথা ভাবে। আমরাও একই কাজ করব। আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগই নেই। হতে পারে, আমরা কিছু নতুন খেলোয়াড়কে শেষ ম্যাচে খেলাব। তবে ওরাও রান করার জন্য, উইকেট নেওয়ার জন্য আমাদের মতোই ক্ষুধার্ত।’