৪১ বলে ১৩ ছক্কা, ১২৩ রান—হায়দরাবাদের অনিকেতের আসল পরিচয় কী
অনিকেত বর্মা—নামটা লিখে গুগল করুন। ক্যারিয়ারটা দেখে অবাক হবেন। আইপিএল খেলছেন, কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটের কোনো রেকর্ড নেই। মানে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে খেলেননি।
২৭ মার্চ আইপিএলে অভিষেকের ম্যাচের আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাত্র ১টি। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির সেই ম্যাচটিতেও আবার আউট হন প্রথম বলে। রেকর্ড বুকে এত নেই এর প্রাধান্যর পরও কীভাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলছেন অনিকেত?
অনিকেতের সামর্থ্য নিয়ে এখন প্রশ্ন নেই। প্রশ্নের উত্তর কিছুটা গতকালই তিনি দিয়েছেন। কাল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ১৩ বলে ৫ ছক্কায় ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, ছক্কা মারতেই হায়দরাবাদ তাঁকে দলে নিয়েছে।
এই ছক্কা এর আগে তিনি মেরেছেন কোথায়? উত্তর প্রদেশে জন্ম নেওয়া অনিকেত আলোচনায় আসেন ২০২৪ সালে। হায়দরাবাদ তাঁকে দলে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স দেখে। গত বছর মধ্যপ্রদেশ প্রিমিয়ার লিগে অনিকেত ছিলেন সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ভোপাল লিওপার্ডসের হয়ে ৬ ম্যাচে তিনি ২৭৩ রান করেন।
একটি ইনিংস তো অনেকটাই অবিশ্বাস্য। ১৩ ছক্কায় সেদিন করেন ৪১ বলে ১২৩ রান। আর কী লাগে! আইপিএল নিলামে এরপর তাঁকে ৩০ লাখ রুপিতে দলে নিয়ে নেয় ছক্কার বাড়তি কদর করা হায়দরাবাদ। এ ছাড়া অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়েও তিনি নজর কেড়েছিলেন—কর্নাটকের বিপক্ষে ৭৫ বলে ১০১ রান করেছিলেন, যেখানে মারেন ৮টি ছক্কা।
অনিকেতের ক্রিকেটের সফরটা এতটা সহজ নয়। মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি মাকে হারান, বড় হন চাচা অমিত বর্মার কাছে। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটা সময়ে ভোপালে থাকার জায়গাটাও নাকি ছিল না এই ক্রিকেটারের। সেখান থেকে খুব দ্রুত ভাগ্যবদল হয়েছে হায়দরাবাদের হাত ধরে।
বাকিটা এখন নির্ভর করছে তাঁর পারফরম্যান্সের ওপর। ছক্কাবিশেষজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান মিডিয়াম পেসও করতে পারেন। সব মিলিয়ে তাঁর মধ্যে ভবিষ্যৎ দেখছে হায়দরাবাদ!