আফগানদের বিপক্ষেও ক্রিকেটারদের দেখবেন হাথুরুসিংহে
বাংলাদেশ দল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে পরীক্ষা–নিরীক্ষার ব্যানারে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবার যখন আরেকটি ওয়ানডে সিরিজ দুয়ারে, তখনো দলের কিছু জায়গায় পরিবর্তন করে দেখতে চান প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। হাথুরুসিংহের লক্ষ্য, বিশ্বকাপ ভাবনায় থাকা ক্রিকেটারদের যথেষ্ট ‘গেমটাইম’ দেওয়া। ম্যাচে কে কেমন করেন, সেটা তিনি আগেই দেখে নিতে চান।
আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ কথাই বলে গেলেন হাথুরুসিংহে। ৫ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও দল নিয়ে গবেষণা চলবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা কিছু ছেলেকে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর মানে এই নয় যে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছি। আমরা কোচিং গ্রুপ, নির্বাচকেরা জানি যে আমরা কী করতে চাই এবং ক্রিকেটারদের কোন কোন জায়গায় নজর দিতে হবে।’
এর পেছনে কারণটাও অবশ্য সবার জানা। হাথুরুসিংহে সেই জানা কথাই আরও একবার বললেন, ‘পরীক্ষা–নিরীক্ষার মানে হলো, আমরা চাই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে চোট বা অন্য কোনো জরুরি অবস্থা সামাল দেওয়ার গভীরতা যাতে আমাদের থাকে। তো এই কারণ মাথায় রেখে আমরা ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে চাই।’
আফগানিস্তান সিরিজের দলে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে সে কারণেই। তিন ম্যাচের এই সিরিজের যেকোনো এক ম্যাচে দেখা যেতে পারে এই বাঁহাতি ওপেনারকে। সে আভাসও আছে হাথুরুসিংহের কথায়, ‘হ্যাঁ! আমরা যখনই সুযোগ পাব, ওকে (নাঈমকে) একটি ম্যাচে সুযোগ দেব।’
দলে ফিরেছেন আফিফ হোসেনও। গত আয়ারল্যান্ড সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার পর তাঁর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এবার একাদশে সুযোগ পেলে তিনি কোন পজিশনে খেলবেন, প্রধান কোচকে আজ প্রত্যাশিতভাবে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তিনিও হয়তো প্রস্তুত ছিলেন। উত্তরে তিনিও মজা করে বলেন, ‘আপনি তো ভেতরের কথা জিজ্ঞেস করছেন (হাসি)। সে মিডল অর্ডারে খেলবে।’
ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকা ক্রিকেটারদের বাইরেও চোখ আছে হাথুরুসিংহের। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ইমার্জিং এশিয়া কাপে বিশ্বকাপের ভাবনায় থাকা কয়েকজন ক্রিকেটারকে পাঠানো হচ্ছে। নাঈম তো আছেনই। সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসানও আছেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলে। সেখানে ভালো করলেও এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
হাথুরুসিংহের একটা চোখ যে শ্রীলঙ্কায়ও থাকবে, সেটা বোঝা গেল তাঁর এই কথায়, ‘আপনি যদি আমাদের কম্বিনেশন দেখেন, ওই দলে আমরা শুধু অনূর্ধ্ব-২৩–এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে নির্দিষ্ট কিছু ক্রিকেটারকে নিয়েছি। কারণ, এ বছর এই টুর্নামেন্ট বয়সের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই হচ্ছে। আমার মতে, এশিয়ার সব দল এই টুর্নামেন্টকে ক্রিকেটারদের ফর্ম দেখার ও পরীক্ষার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করছে। একই সময়ে আমাদের খুব স্থিতিশীল দল রয়েছে। কেউ যদি অনেক রান করে, তাহলে (দল) বাছাইয়ের জন্য নিজের নাম তুলতে পারবে।’