সুযোগ পেলে লডর্সের মতো স্টাম্পিং আবারও করবেন ক্যারি
হেডিংলি টেস্ট শেষ হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ আগে। তবে অ্যাশেজ নিয়ে আলোচনায় এখনো হেডিংলির আগের ম্যাচ। ঘুরেফিরে সামনে চলে আসছে লর্ডস টেস্টে জনি বেয়ারস্টোকে করা অ্যালেক্স ক্যারির স্টাম্পিং। ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট অনেকেই এ নিয়ে নিজেদের মত দিয়েছেন, এমন স্টাম্পিং নিয়ে কথা বলেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীও।
তবে যিনি এমন আউট করেছেন, সেই ক্যারি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, সুযোগ পেলে আবারও এভাবে আউট করতে পিছপা হবে না তিনি।
সেই ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া যাক। ঘটনাটা লর্ডস টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৫২তম ওভারের শেষ বলে। ক্যামেরন গ্রিনের বলটি ছিল বাউন্সার, যা মাথা নিচু করে ছেড়ে দেন বেয়ারস্টো। বল ছেড়ে দেওয়ার পরপরই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান বেয়ারস্টো।
এ সময় ‘আন্ডারআর্ম’ থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ক্যারি; যদিও বেয়ারস্টো রান নেওয়ার জন্য ক্রিজ ছাড়েননি। এই আউটই মূলত লর্ডস টেস্টে বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। ম্যাচটি ৪৩ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড।
ক্যারির এমন কাণ্ডের জবাব মাঠে বসেই দিতে শুরু করে ইংলিশরা। বেয়ারস্টো আউট হওয়ার পর উইকেটে গিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড ক্যারির উদ্দেশে বলেন, ‘এই ঘটনার জন্যই শুধু তোমাকে মনে করা হবে।’
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ম্যাচ শেষে বলেছেন, ম্যাচ জেতার জন্য এমন কৌশল তিনি নিতেন না। তবে অস্ট্রেলিয়ানরা বরারই এর পক্ষে ছিল।
ক্যারি বলেছেন, ‘একটা স্টাম্পিং হয়েছে, যেটাকে মাঠে থাকা আম্পায়ার আউট দিয়েছেন। সেই ঘটনা বড় এক আলোচনায় পরিণত হয়েছে। প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত আছে, আমি সেটাকে শ্রদ্ধা করি। প্রত্যেকেরই ক্রিকেটের চেতনা নিয়েও মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। শুধু আমি নই, পুরো দলই এই বিষয়ে কথা বলেছে। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি, লং রুম থেকেও সবাই একসঙ্গে হেঁটে গেছি। ম্যাচ শেষে সবাই আলোচনা করেছি। আমার মনে হয় না, দল ভিন্ন কিছু করত।’
ক্যারি জানিয়েছেন, সুযোগ এলে এভাবে আবারও কাউকে আউট করতে আপত্তি নেই তাঁর, ‘পরিকল্পনা ছিল বাউন্সার করা হবে। যখন বেয়ারস্টো ডাক করেছে, প্রথম মুভমেন্টেই সে ক্রিজের অনেক বাইরে গিয়েছিল, আমি সহজাতভাবেই বল ধরার পর স্টাম্পে ছুড়ে মারি, আর বাকিটা তো ইতিহাস। যদি এমন স্টাম্পিংয়ের সুযোগ আবার আসে, আমি অবশ্যই করব।’