ফাইনালের আগে নিউজিল্যান্ডের হাঁড়ির খবর ফাঁস করলেন ভারতের নেট বোলার
দুবাইয়ে আজ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি ভারত–নিউজিল্যান্ড। একই ভেন্যুতে দুই দল গ্রুপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল, ৪৪ রানে জিতেছিল ভারত।
ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের বড্ড ভুগিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। ১০ উইকেটের ৯টিই নিয়েছিলেন চার স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা।
ফাইনালের আগে ভারতের স্পিন আক্রমণ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি সতর্ক কেইন উইলিয়ামসন, রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেলরা। শুধু তা–ই নয়; বরুণ–কুলদীপদের সামলাতে তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিতে পারেন উইলিয়ামসনরা। নিউজিল্যান্ডের এই হাঁড়ির খবর ফাঁস করেছেন শাশ্বত তিওয়ারি নামে ভারতেরই এক নেট বোলার!
শাশ্বত তিওয়ারি পেশায় একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী। পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলেন। সম্প্রতি তিনি ভারত ছেড়ে দুবাইয়ে স্থানান্তরিত হয়েছেন। সেখানে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে কাল নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের নেটে বল করার সুযোগ পেয়েছেন। কিউইরা কীভাবে ফাইনালের বিশেষ প্রস্তুতি সেরেছে, অনুশীলন শেষে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই ও এএনআইকে তিনি সব বলে দিয়েছেন।
পিটিআইকে শাশ্বত বলেছেন, ‘আমি একজন লেগ স্পিনার ও ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আমি একজন ভারতীয় ও সম্প্রতি দুবাইয়ে চলে এসেছি। বর্তমানে আইসিসি একাডেমিতে খেলছি। আজ (কাল রাতে) আমি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অনুশীলন সেশনে বল করার সুযোগ পেয়েছি। আমি বেশ সৌভাগ্যবান যে গ্লেন ফিলিপসকে বোল্ড করতে পেরেছি। তিনি ভেবেছিলেন, আমি লেগ ব্রেক করব। কিন্তু আমি গুগলি করেছি, যা তিনি বুঝতে পারেননি।’
এএনআইকে শাশ্বত বলেছেন, ‘ভারতের বাঁহাতি স্পিনারদের কীভাবে সামলাবেন, এটা নিয়েই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা নেটে বেশি কাজ করেছেন। আমি বলছি না, তাঁরা স্পিন খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন। তবে ভারতের স্পিন আক্রমণ খুব শক্তিশালী। আমার মনে হয় না, তাঁরা (ভারতের স্পিনারদের) সহজেই সামলাতে পারবেন।’
অনুশীলনে নেট বোলার শাশ্বতকে নানাভাবে বল করার অনুরোধ করেন কিউই ব্যাটসম্যানরা, ‘নেটে বল করার জন্য তাঁরাই আমাকে ডেকেছিলেন। একটা সময় নিউজিল্যান্ডের এক ব্যাটসম্যান আমাকে ১৮ গজ দূর থেকে বল করার অনুরোধ করেন। রবীন্দ্র জাদেজার বলের গতির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার জন্যই আমাকে ওইভাবে বল করতে বলা হয়েছিল। আমি সেভাবেই বল করে যাচ্ছিলাম। এক সময় সেই ব্যাটসম্যানের মনে হলো, বল বেশ জোরে আসছে। তখন তিনি আমাকে ২২ গজ দূর থেকেই বল করতে বলেন।’
দুবাইয়ে আজ যে পিচে ফাইনাল হবে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত–পাকিস্তান ম্যাচও একই পিচে হয়েছিল। ব্যবহৃত উইকেট মন্থর হয়ে পড়ায় স্পিন ভালোই ধরার কথা। ধারণা করা হচ্ছে, ফাইনালেও স্পিনসমৃদ্ধ বোলিং লাইনআপ সাজাবে ভারত।
রোহিত–কোহলিদের আজ ফেবারিট মনে করা হলেও বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে কখনো হারাতে পারেনি ভারত। ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নিউজিল্যান্ড। ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উইলিয়ামসন, রস টেলর, টিম সাউদিদের কাছে হেরে যায় কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত।