এশিয়া কাপের কোনো খেলাই দেখেননি কামিন্স
বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ দিয়েই নিজেদের প্রস্তুতি এগিয়ে রেখেছে এশিয়ার দেশগুলো। বেশির ভাগ ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়াতে আকর্ষণের কেন্দ্রেও ছিল এই টুর্নামেন্ট। সাধারণ দর্শক তো বটেই, ক্রিকেটখেলুড়ে অন্য দেশগুলোরও আগ্রহ থাকার কথা এশিয়া কাপ ঘিরে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো বিশ্বকাপের ফেবারিট দলগুলোর কৌশল বুঝতে এর চেয়ে ভালো মঞ্চই বা কী হতে পারত!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তখন অনেকে বলেছিলেন, এশিয়া কাপের এই উন্মাদনাই বিশ্বকাপে দেখতে চান তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ার তারকা ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স অবশ্য এই দলের নন। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, এশিয়া কাপের কোনো ম্যাচই দেখেননি তিনি। এমনকি প্রতিযোগিতায় কারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, সেই ব্যাপারেও পুরোপুরি ধারণা ছিল না তাঁর।
বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে ভারতে আছে অস্ট্রেলিয়া দল। মঙ্গলবার মোহালিতে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে এ দুই দল। এ সিরিজ সামনে রেখে এশিয়া কাপসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন কামিন্স। এশিয়া কাপ দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে জানতে চাইলে কামিন্স বলেছেন, ‘সত্যি কথা হচ্ছে, আমি টুর্নামেন্টটি দেখিনি।’ এমনকি চ্যাম্পিয়ন কে হয়েছে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল কামিন্সের মনে, ‘মনে হয়, শ্রীলঙ্কা জিতেছে? আসলেই আমি এর কিছুই দেখিনি।’
গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে কামিন্স। নিউজিল্যান্ডের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও বিশ্রামে ছিলেন তিনি। এশিয়া কাপ না দেখলেও বিরাট কোহলি কী করেছেন, সে খবর পৌঁছে গেছে কামিন্সের কাছে।
এশিয়া কাপ দিয়েই ছন্দে ফিরেছেন কোহলি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও ছিলেন তিনি। ৫ ম্যাচে কোহলি করেছেন ২৮৬ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন ১১২ রানের অনবদ্য এক ইনিংসও। যেটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির ৭১তম সেঞ্চুরি। ভারতের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানকে ‘দারুণ’ খেলোয়াড় উল্লেখ করে সামনের দিনগুলোতেও চ্যালেঞ্জ দেখছেন বলে জানালেন কামিন্স, ‘আমি বিরাট কোহলিকে দেখেছি, আমার ধারণা সে সেঞ্চুরিও করেছে। সে একজন দারুণ খেলোয়াড়। বরাবরই কোনো একটা সময় গিয়ে সে ঠিকই ছন্দ ফিরে পেয়েছে। সামনেও সে আমাদের চ্যালেঞ্জ দেবে।’
কোহলিকে ছাড়া ভারতের মাটিতে যে আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, তা অজানা নয় কামিন্সের। সেই সব প্রতিকূলতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চান বলেও জানালেন এই পেসার, ‘আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ভারতে ভিন্ন ধরনের গতিতে খেলা হয়। সাধারণত বাউন্ডারিগুলো ছোট হয়ে থাকে। এখানে খুব দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। এমন কিছু দিন আপনার কাটবে, উইকেট কিছুটা ধীরগতির হবে, যেখানে কাটারসহ অন্য ধরনের কৌশলগুলো আয়ত্ত করে নেওয়াটা বোলারের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সবাই এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছে এবং সবাই এটা বোঝেও।’
অ্যারন ফিঞ্চের হাত ধরেই গত বছর বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কদিন আগে ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এই ওপেনার। তবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিঞ্চের নেতৃত্বেই শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নামবে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক ফিঞ্চকে নিয়ে জানতে চাইলে কামিন্স বলেছেন, ‘ফিঞ্চের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে উজ্জীবিত মনে হলো, মাত্র ১২ মাস আগে তার নেতৃত্বে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ই হবে।’