রহমতের টি-টোয়েন্টি অভিষেক: ৩০ পেরিয়ে ২০-এর স্বাদ
ক্যারিয়ারে ১০৬টি ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন, সঙ্গে ৭টি টেস্ট ম্যাচও। রহমত শাহর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সব মিলিয়ে ১০ বছরের। অবশেষে এসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির স্বাদ পেলেন তিনি। ৩০ বছর ১৮৯ দিন বয়সে আজ মোহালিতে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে আফগান ব্যাটসম্যানের। ৩০ পেরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটারের অবশ্য অভাব নেই।
প্রথম আফগান ক্রিকেটার হিসেবে ৩০ পেরিয়ে অভিষেক হলো রহমতের। এ দলে এর আগে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেকের রেকর্ডটি ফজল নিয়াজির। ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের দিন তাঁর বয়স ছিল ২৯ বছর ৭১ দিন।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলগুলোর মধ্যে রহমত ১৪৫তম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩০ বা এর বেশি বছর বয়সে অভিষেক করলেন।
আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেকের রেকর্ড পাকিস্তানের রেফাতউল্লাহ মোহমান্দের। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল এই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৯ বছর ২০ দিন। ওই সিরিজের পর অবশ্য আর সুযোগ পাননি তিনি।
সবচেয়ে বেশি বয়সে টি-টোয়েন্টি অভিষেক (আইসিসির পূর্ণ সদস্য)
সব মিলিয়ে রেকর্ডটি তুরস্কের ওসমান গোকারের। ২০১৯ সালের আগস্টে রোমানিয়ার বিপক্ষে ৫৯ বছর ১৮১ দিন বয়সে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে খেলেছেন ওই একটিই ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি বয়সে ম্যাচ খেলার রেকর্ডটিও তাঁরই। তিন সংস্করণ মিলিয়েও সবচেয়ে বেশি বয়সে ম্যাচ খেলার রেকর্ড ওসমানের।
৩০ ছুঁয়ে ফেলার পর বাংলাদেশের একজনেরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের রেকর্ড আছে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি একাদশের সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন মোহাম্মদ রফিক (৩৬ বছর ৮৪ দিন)। ক্যারিয়ারে রফিকও খেলেছেন ওই একটিই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বয়সে টি-টোয়েন্টি অভিষেক