৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে মুকিমের ইতিহাস, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
২০ রানে পড়েছে ১০ উইকেট!
ঘটনাটা ঘটেছে আজ বুলাওয়েতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪.২ ওভার পর্যন্তও জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৩৭। এরপর মাত্র ৮.২ ওভারের (৫০ বল) মধ্যে জিম্বাবুয়ে তুলতে পেরেছে ২০ রান। হারিয়েছে সব কটি উইকেট। ১২.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ে অলআউট মাত্র ৫৭ রানেই। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার পর জিম্বাবুয়ের জন্য এই ম্যাচে আর কী থাকে!
যা ছিল পাকিস্তানের জন্য। সফরকারীদের বাঁহাতি স্পিনার সুফিয়ান মুকিম এ ম্যাচে গড়েছেন ইতিহাস। তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ ২.৪–০–৩–৫! পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি উমর গুলের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন এই ২৫ বছর বয়সী। ২০০৯ সালে ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন গুল।
জিম্বাবুয়ের এই এক চিমটি রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ওপেনাররাও বেশি সময় নেননি। তাঁদের সৌজন্যে ৫.৩ ওভারে ১০ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২–০ ব্যবধানে জিতে নিল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার বুলাওয়েতেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
পাকিস্তানের ওপেনার ওমাইর ইউসুফ ২২ রানে ও সাইম আইয়ুব ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে এসেছেন। কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের শুরুটাও কিন্তু ভালো ছিল। ৪ ওভারে ৩৭ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে মারুমানিকে আব্বাস আফ্রিদি তুলে নেওয়ার পর যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে স্বাগতিকদের ইনিংস।
৫ থেকে ৯ পর্যন্ত—প্রতি ওভারেই উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে ৯ম ওভারে দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুকিম। ১১তম ওভারে গিয়ে তিন বলের ব্যবধানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৬ বলের ব্যবধানে মাত্র ৩ রানে ৫ উইকেট নেন মুকিম। মুকিম ‘শো’র মধ্যে ২টি উইকেট নেন আব্বাস, ১টি করে উইকেট আবরার, হারিস রউফ ও সালমান আগার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ১২.৪ ওভারে ৫৭ (বেনেট ২১, মারুমানি ১৬, মাদান্দে ৯, মেয়ার্স ৩, রাজা ৩; মুকিম ৫/৩, আব্বাস ২/২, সালমান ১/৭, হারিস ১/১৩)
পাকিস্তান: ৫.৩ ওভারে ৬১ ( ওমাইর ২২*, সাইম ৩৬*; এনগারাভা ০১৫, রাজা ০/১১)
ফল: পাকিস্তান ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সুফিয়ান মুকিম (পাকিস্তান)।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।