- এবার টি-টোয়েন্টির পালা
- আবহাওয়া আপডেট
- যেখানে এগিয়ে আফগানিস্তান
- টস
- নেই আফিফ
- আফগানিস্তানেও তিন পেসার ও তিন স্পিনার
- ২০২৩-এ বাংলাদেশ
- দর্শক
- আপনার ভোট দিন
- জাতীয় সঙ্গীত
- নাসুমে শুরু
- বিফলে রনির দারুণ চেষ্টা
- প্রথম আঘাত নাসুমের
- তাসকিনের শিকার গুরবাজ
- ইব্রাহিম ক লিটন ব শরীফুল
- পাওয়ারপ্লে শেষে
- আফগানিস্তানের ৫০
- প্রথম ওভারে সফল সাকিবও
- মাঝের ওভারের আফগান-সংগ্রাম
- প্রথম ১০ ওভার বাংলাদেশের
- আক্রমণে মিরাজ
- লিটনের দারুণ ক্যাচে থামলেন নজিবউল্লাহ জাদরান
- খরুচে শরীফুল
- রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
- লাফ
- থামল ওমরজাই-ঝড়
- ১৫৪ রান পর্যন্ত গেল আফগানিস্তান
- ফারুকির আঘাত আবার
- ৩ ওভারে ১৬/১
- জিততে পারবে বাংলাদেশ?
- প্রথম ছক্কা পঞ্চম ওভারে এসে
- অদ্ভুতভাবে বোল্ড নাজমুল
- পাওয়ারপ্লে শেষে
- লিটনও গেলেন
- সিলেটে বৃষ্টি
- থেমেছে বৃষ্টি
- প্রসঙ্গ পাওয়ারপ্লের ব্যাটিং
- আবার শুরু খেলা
- দুই চার
- মাঝপথে…
- থামলেন সাকিব
- বাউন্ডারি, বাউন্ডারি
- ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ওভার?
- ৩৬ বলে ৪৯
- ঝুঁকি নেননি তাওহিদ-শামীম
- জীবন পেলেন শামীম
- ১৮ বলে ১৯
- জুটি ভাঙলেন রশিদ
- শেষ ওভারে প্রয়োজন ৬ রান
- চারের পর আউট মিরাজ
- মিরাজের পরের বলে আউট তাসকিন
- করিম জানাতের হ্যাটট্রিক!
- শরীফুলের চারে নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের জয়
- হৃদয়ে ভর করে জিতল বাংলাদেশ
- ম্যান অব দ্য ম্যাচ তাওহিদ হৃদয়
- ভেজা মাঠকে দুষছেন রশিদ
- বিশ্বাস ছিল সাকিবের
এবার টি-টোয়েন্টির পালা
ওয়ানডে সিরিজে হারতে হয়েছে ২-১ ব্যবধানে। নতুন সংস্করণ, নতুন অধিনায়ক, এবার দেখা যাবে নতুন বাংলাদেশকে?
সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। এ ম্যাচে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
আবহাওয়া আপডেট
সিলেটে বছরের এ সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে প্রায় সব সময়ই। আধা ঘণ্টা আগেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এখন অবশ্য থেমেছে সেটি। রোদও ঝলমল করছে, সিলেটের আকাশে দেখা মিলেছে রংধনুর।
যেখানে এগিয়ে আফগানিস্তান
টস
টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
দেখে মনে হয়েছে ভালো উইকেট। আমাদের ৪০ ওভার ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি সব সময়ই মোমেন্টামের ব্যাপার। আফগানিস্তান ভালো দল। ভালো একটি চ্যালেঞ্জ। ছেলেরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। সিলেটের উইকেট ক্যারি ও বাউন্স আছে, সেটি কাজে লাগাতে হবে আমাদের। তিন স্পিনার ও তিন পেসার খেলাচ্ছি।
নেই আফিফ
ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সুযোগ পেলেন না আফিফ হোসেন। সাকিব টসে যেমন বলেছেন, একাদশে তিন পেসার—তাসকিন, মোস্তাফিজ ও শরীফুলের সঙ্গে আছেন তিন স্পিনার—সাকিব, মিরাজ ও নাসুম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে আছে দুটি পরিবর্তন। হাসান মাহমুদ ও রিশাদ হোসেনের জায়গায় খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ একাদশ
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটকিপার), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
আফগানিস্তানেও তিন পেসার ও তিন স্পিনার
আফগানিস্তান একাদশ
রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবি, নজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মুজিব উর রেহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ মালিক।
২০২৩-এ বাংলাদেশ
দর্শক
প্রতিপক্ষ যারাই হোক বা যে সংস্করণের ক্রিকেটই হোক, সিলেটে দর্শক মাঠে আসবেনই। এ ম্যাচেও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ম্যাচ শুরুর আগে লাক্কাতুরায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কাউন্টারের সামনে দর্শকদের ভীড়।
আপনার ভোট দিন
জাতীয় সঙ্গীত
জাতীয় সঙ্গীত শেষে এবার খেলার পালা!
নাসুমে শুরু
আফগানিস্তান ২/০, ১ ওভারে
হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ জাজাই ওপেন করছেন আফগানিস্তানের হয়ে, প্রথম ওভারেই এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। দুই ওপেনার প্রথম ২ বলে দুটি সিঙ্গেল নিয়েছেন, তবে পরের ৪ বলে কোনো রান নিতে পারেননি জাজাই।
বিফলে রনির দারুণ চেষ্টা
২ ওভারে ১০/০
ক্যাচ? আসলেই ক্যাচ? শেষ পর্যন্ত ক্যাচ সেটি হতো অবিশ্বাস্য কিছু! তবে রনি তালুকদার শেষ পর্যন্ত রাখতে পারেননি সেটি।
তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন গুরবাজ। কাভার থেকে পেছনের দিকে অনেকটা ছুটে, লাফ দিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিতে ধরেছিলেন রনি। তবে ভার সামলাতে গিয়ে আর রাখতে পারেননি ক্যাচটি। সতীর্থরা অবশ্য দারুণ প্রচেষ্টার পর অভিনন্দন জানিয়ে গেছেন রনিকে।
প্রথম ৫ বলে এসেছিল মাত্র দুটি সিঙ্গেল, তবে শেষ বলটি তাসকিন করেছিলেন শর্ট লেংথে। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন গুরবাজ, ডিপ স্কয়ার লেগ ফিল্ডার শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছেন।
প্রথম আঘাত নাসুমের
আগের বলে স্লটে পেয়ে স্লগ করে ছক্কা মেরেছিলেন জাজাই। নাসুম এবার লেংথ সামনে নিলেন, জাজাই সেভাবে জায়গা পাননি। বল ওঠেওনি প্রত্যাশামত। তবুও ব্যাট ঘুরিয়েছিলেন আফগানিস্তান ওপেনার, তবে সুইপটা ঠিকঠাক করতে পারেননি। সরাসরি ক্যাচ গেছে স্কয়ার লেগে থাকা তাওহিদ হৃদয়ের হাতে। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথম উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। দারুণ প্রতিশোধ নিলেন নাসুম।
তাসকিনের শিকার গুরবাজ
৪ ওভারে ২৬/২
থার্ড টাইম লাকি তাসকিন!
লেংথ পড়তে ভুল করেছেন গুরবাজ, ধোঁকা খেয়েছেন তাসকিনের কমিয়ে আনা গতিতেও। সে শট খেলেছেন, সেটি ঠিক স্লগও ছিল না, পুলও না। ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাট। ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা মিরাজ বাঁদিকে সরে নিয়েছেন ভালো ক্যাচ।
এর আগে তাসকিনের স্লোয়ার মিড অফে ক্যাচ তুলেছিলেন গুরবাজ, তবে সাকিবের সামনে পড়ে ক্যাচ। এরপর আউটসাইড-এজ ফাঁকি দিয়ে যায় লিটনকে। গুরবাজ দুটি চার মেরেছিলেন এ ওভারে, তৃতীয় বাউন্ডারির আশায় খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফিরে গেছেন। ৪ ওভারের মাঝে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলল আফগানিস্তান।
ইব্রাহিম ক লিটন ব শরীফুল
আরেকবার শরীফুলের শিকার ইব্রাহিম জাদরান। শর্ট লেংথের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ইব্রাহিম। ঠিক আগের বলেই পুল করতে গিয়ে টপ-এজড হলেও ছক্কা পেয়েছিলেন আফগানিস্তান এগোতে চাচ্ছে দ্রুতগতিতে, উইকেটও হারাচ্ছে সে গতিতেই। পঞ্চম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেই সফল শরীফুলও।
নবি নেমেই চার মেরেছেন অবশ্য। ৫ ওভারে ৩৭/০।
পাওয়ারপ্লে শেষে
পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট, বোর্ডে ৪০ রান। সহজেই বলা যায়, নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের কাছে। আফগানিস্তানের সামনে এখন ইনিংস পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ। ক্রিজে করিম জানাত ও মোহাম্মদ নবি। চাপ ধরে রাখতে পারবে বাংলাদেশ?
আফগানিস্তানের ৫০
শর্ট, ওয়াইড—শরীফুলের উপহার পরপর দুই বলে সাদরে গ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ নবি। বিহাইন্ড দ্য স্কয়ারে টানা দুটি চার মেরেছেন। শরীফুল অবশ্য ভালোভাবেই ফিরে এসেছেন, শেষ ৪ বলে দিয়েছেন ২ রান। সপ্তম ওভারে ৫০ ছুঁয়েছে আফগানদের স্কোর।
প্রথম ওভারে সফল সাকিবও
প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছিলেন শরীফুল, উইকেটের দেখা পেলেন সাকিবও। প্রথম ৮ বলে ৩ রান করে করিম জানাত ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন সাকিবের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে। কিন্তু বল শুধু ওপরেই তুলতে পেরেছেন। বেশ খানিকটা সময় মিড অফে আসতে পেয়েছেন নাজমুল, যিনি ছিলেন লং অফে। ভুল করেননি তিনি। নবির সঙ্গে জুটি ২০ রানেই শেষ করিমের।
মাঝের ওভারের আফগান-সংগ্রাম
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে আজ চাপ আরও বেশি আফগানিস্তানের। নবম ওভারে মোস্তাফিজকে এনেছেন সাকিব। এ বাঁহাতি পেসারের প্রথম ওভারে এসেছে ৪ রান। ৯ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৫৭/৪।
প্রথম ১০ ওভার বাংলাদেশের
আক্রমণে মিরাজ
ষষ্ঠ বোলার হিসেবে এসেছেন মিরাজ। প্রথম বলে তাঁকে চার মেরে স্বাগত জানিয়েছিলেন ইব্রাহিম। তবে মিরাজও ভালোভাবে ফিরে এসেছেন। পরের ৪ বলে ২ রানের বেশি দেননি। নবির সঙ্গে এবার জুটি গড়ার চেষ্টা নজিবুল্লাহর। লড়াই করার মতো অবস্থানে নিয়ে যেতে গেলে এ জুটিকে আরও কিছুক্ষণ থাকতে হবে।
লিটনের দারুণ ক্যাচে থামলেন নজিবউল্লাহ জাদরান
১৪ ওভারে ৮৮/৫
প্রথম করতে চেয়েছিলেন স্কুপ। পরে সিদ্ধান্ত বদলে ড্যাব করতে গেলেন নজিবুল্লাহ। ইনসাইড-এজ প্রথমে আঘাত করল প্যাডে, এরপর উঠল ক্যাচ। উইকেটের পেছনে নজিবুল্লাহকে ভালভাবেই অনুসরণ করেছেন লিটন, শেষ পর্যন্ত সতর্ক ছিলেন বাংলাদেশ উইকেটকিপার। ডাইভ দিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। এ ওভারেও একটি বাউন্ডারি দিয়েছিলেন মিরাজ, আউট হওয়ার আগের বলেই প্যাড সুইপে সেটি মেরেছিলেন নজিবুল্লাহ। পরের বলে মিরাজ সফল হলেন। আফগানিস্তানের আরেকটি জুটি শেষ অসময়ে।
খরুচে শরীফুল
সাকিবের হাতে অপশন আছে। প্রথম ৩ ওভারে ৩০ রান দেওয়া শরীফুলকে ডেথ ওভারে আনেন কি না, প্রশ্ন সেটিই। আপাতত নিজের তৃতীয় ওভারটি করে গেলেন সাকিব। আজমতউল্লাহ একটি বাউন্ডারি পেতে ধরেছিলেন, ডিপ পয়েন্টে ভালো ফিল্ডিংয়ে সেটি আটকেছেন তাওহিদ হৃদয়। ৫ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে ডেথ ওভারে ঢুকছে আফগানিস্তান। ভরসা হয়ে আছেন নবি, তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন ওমরজাই। আসতে বাকি রশিদ খান।
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
১৬ ওভারে ১০১/৫
নাসুম ফিরেছেন ডেথ ওভারের শুরুতে। প্রথম বলে চার মারলেও দ্বিতীয় বলে নবির বিপক্ষে এলবিডব্লুর জোরাল আবেদন ছিল। আম্পায়ার গাজী সোহেল তাতে সাড়া দেননি। বাংলাদেশের রিভিউ অবশ্য সফল হয়নি, বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে সেটি মিস করে যেত লেগ স্টাম্প।
এ ওভারে ১০০ ছুঁয়েছে আফগানিস্তান।
লাফ
১৮ ওভারে ১২৯/৫
তাসকিন আহমেদের ওভারে দুটি ছক্কার পর মোস্তাফিজুর রহমানে এসেছে আরেকটি। তিনটি ছক্কার মধ্যে দুটি মেরেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এর আগে সর্বশেষ পাওয়ারপ্লেতে ছক্কার দেখা পেয়েছিল আফগানিস্তান।
থামল ওমরজাই-ঝড়
প্রথম বলে ছক্কা। দ্বিতীয় বলে ছক্কা। ওয়াইড লং অফের পর ওয়াইড লং অন দিয়ে মেরেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আক্রমণে এসেছিলেন সাকিব, তাঁর ওপরও চড়াও হন ওমরজাই। সাকিব অবশ্য শেষে গিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। দুই ডটের পর ওমরজাই আবার তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন পেছনের দিকে। শর্ট থার্ডম্যান থেকে পেছনে ছুটে ভালো ক্যাচ নেন তাসকিন। তবে নিজের কাজটি দারুণভাবে করে গেছেন ওমরজাই, তাঁর ১৮ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে। ফেরার পথে অধিনায়ক রশিদ খানের অভিনন্দনও পেয়েছেন তিনি।
শেষ ৩ ওভারে আফগানিস্তান তুলেছে ৪২ রান। নবির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রশিদ।
১৫৪ রান পর্যন্ত গেল আফগানিস্তান
ওভারথ্রো থেকে রান নিতে গিয়ে রানআউট হতে পারতেন নবি। ক্রিজের বেশ বাইরে ছিলেন তিনি। কিন্তু থ্রো-টা ঠিকঠাক হাতে জমা করতে পারেননি লিটন। নিশ্চিত রানআউটের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া নবি পরের বলে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন। ৩৯ বল লেগেছে তাঁর। এরপর আরেকবার রানআউট থেকে বাঁচেন তিনি।
রশিদ অবশ্য বাঁচেননি, পঞ্চম বলে লং অনে নাজমুলের হাতে ধরা পড়েছেন। মোস্তাফিজের স্লোয়ার যথেষ্ট হয়েছে তাঁর জন্য। মোস্তাফিজের শেষ ওভারে এসেছে ১১ রান। আফগানিস্তান গেছে ১৫৪ রান পর্যন্ত।
পাওয়ারপ্লেতে ৪০ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান, মাঝের ওভারে ৫৪ রান তুলতে হারায় ২ উইকেট। ইনিংসের প্রথম দুই ভাগে নিয়ন্ত্রণ ছিল টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া বাংলাদেশেরই। তবে ডেথ ওভারে এসে লাফ দিয়েছে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবি তো ছিলেনই, তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ওমরজাইয়ের ১৮ বলে ৩৩ ও নবির ৪০ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে লড়াই করার মতো স্কোর পেয়েছে আফগানিস্তান।
আহা, সিলেট!
ফারুকির আঘাত আবার
আফগানিস্তানের হয়ে প্রথম আঘাতটি করবেন ফজলহক ফারুকি, এ সফরে যেন এটিই নিয়ম! তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈমের পর এবার রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতটি করলেন আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার। ভেতরের দিকে ঢোকা বল পুরো মিস করে গেছেন রনি, গোত্তা খেয়েছে অফ স্টাম্প।
চতুর্থ বলে বেশ বাইরে পেয়ে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন রনি, কিন্তু ফিরতে হলো ফারুকির বলেই। প্রথম ওভারেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
৩ ওভারে ১৬/১
প্রথম ৫ বলে ৩ রান দিয়েছিলেন ফারুকি, তবে শেষ বলে গুবলেট পাকিয়ে ফেললেন। লেগ স্টাম্পের শর্ট বলের উপহার নিয়েছেন লিটন, পেয়েছেন চার। ৩ ওভারে ১৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ, রনির উইকেট হারিয়ে।
জিততে পারবে বাংলাদেশ?
প্রথম ছক্কা পঞ্চম ওভারে এসে
ফারুকিকে সরিয়ে ওমরজাইকে এনেছেন রশিদ। তাঁর বলেই ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন নাজমুল, শর্ট বলে পুল করে মিডউইকেট দিয়ে। এরপরও অবশ্য ৯ রানের বেশি আসেনি। ৫ ওভারে ৩০/১।
অদ্ভুতভাবে বোল্ড নাজমুল
এ আউটটাকে কী বলা হবে, সেটি একটা প্রশ্ন। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা লিটনের মুখচ্ছবিতেই যেন ফুটে উঠল তা!
মুজিবকে অনেকটা জায়গা বানিয়ে স্লগ সুইপের মতো খেলতে চেয়েছিলেন নাজমুল। মুজিবের বল অনুসরণ করে তাঁকে। নাজমুল মিস করেন, কিন্তু তাঁর পেটে/পিঠে লাগার পর বল গিয়ে লাগল স্টাম্পে! নাজমুল নিজেও খুঁজে ফিরছিলেন বলটি, যেটি তার আগেই বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে তাঁর। রনির পর নাজমুলও বোল্ড, বাংলাদেশ চাপে।
পাওয়ারপ্লে শেষে
এ সময়ে ৪০ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান।
লিটনও গেলেন
পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান, বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারাল পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারেই। ওমরজাইকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে পুল করতে গিয়ে মোটেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি লিটন। মিড অফে রশিদ খানের কাছে গেছে সহজ ক্যাচ। যতটা তেঁড়েফুঁড়ে শট খেলতে এসেছিলেন, লিটনকে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে লিটনের হাঁটার গতি যেন থাকল ততই কম। ১৯ বলে ১৮ রান করে থেমেছেন লিটন। ৬.৩ ওভারে রান উঠেছে ৩৯। বাংলাদেশের চাপ বাড়ল আরও।
সিলেটে বৃষ্টি
অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেছিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তবে তাঁর ২ বলের পরই বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে গেল খেলা। ৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৪১ রান বাংলাদেশের। ডিএলএস পদ্ধতিতে পিছিয়ে থাকার কথা স্বাগতিকদের।
থেমেছে বৃষ্টি
সিলেটে বৃষ্টি থেমেছে, জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর। সরানো হচ্ছে কাভার।
প্রসঙ্গ পাওয়ারপ্লের ব্যাটিং
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের গড় রান ছিল ৪৫.২০। সেবার সর্বোচ্চ ৬০ রান তারা তুলেছিল ভারতের বিপক্ষে, সেটিও বিনা উইকেটে। বৃষ্টিবিঘ্নিত সে ম্যাচটি অবশ্য হারতে হয়েছিল। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটির সিরিজে তিন ম্যাচে উঠেছিল গড়ে ৪৪ রান। প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছিল ৫৪ রান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজটি পাওয়ারপ্লের ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ গিয়েছিল বাংলাদেশের, গড়ে উঠেছিল ৬৫ রান। প্রথম ম্যাচে বিনা উইকেটেই উঠেছিল ৮১ রান। যেটি ছিল পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের রেকর্ড স্কোর।
আজ ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৩৭ রান।
আবার শুরু খেলা
বৃষ্টিতে প্রায় ১৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে খেলা। অনুমিতভাবেই ওভার কাটা যায়নি কোনো। ৮ ওভারে ৪৬ রান। এ সময়ে ৫৩ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান।
দুই চার
ফরিদ আহমেদের এক ওভারে দুই চার মেরেছেন সাকিব আল হাসান। তাতেই এসেছে সর্বোচ্চ রানের ওভারটি।
মাঝপথে…
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলার রশিদ খান। সামনে এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রশিদ লেংথে ফেলেছিলেন, ব্যাকফুটে গিয়ে জায়গা বানিয়ে সাকিব বোলারের মাথার ওপর দিয়ে মেরেছেন চার। ১০ ওভারশেষে বাংলাদেশ তুলেছে ৬৪ রান। ফলে ৬০ বলে প্রয়োজন ৯১ রান।
থামলেন সাকিব
ফরিদের আগের ওভারে দুই চার মেরেছিলেন সাকিব, তাঁর বলেই এবার ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হলো বাংলাদেশ অধিনায়ককে। আলগা শটই বলতে হবে। ১৭ বলে ১৯ রান করে থেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। গতি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, ড্রিংক্স ব্রেকে ছন্দপতন হলো তাঁর। ঠিক পরের বলেই শামীম হোসেনের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়েছিল আফগানিস্তান, যদি বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে স্টাম্প মিস করে যেত সেটি। রিভিউ সফল না হলেও সফল ওভার ফরিদের। যদিও শেষ বলটি লেগ সাইডের বাইরে গিফট দিয়েছিলেন হৃদয়কে, তাতে হয়েছে ছক্কা।
বাউন্ডারি, বাউন্ডারি
আগের ওভারে ফরিদের লেগ সাইডের বলে ছক্কা মেরেছিলেন হৃদয়, এবার নবির লেগ সাইডের বলে চার মারলেন শামীম। তাতে বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়াল ৭৯ রানে। এ সময়ে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৭২।
ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ওভার?
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ১৩তম ওভারে ১০০ পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের। ৪২ বলে এখন প্রয়োজন ৫৫ রান। নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশের কাছে, বলাই যায়। রশিদের বাকি ২ ওভার, মুজিবের ১ ওভার।
৩৬ বলে ৪৯
নিজেকে এনেছেন রশিদ, তবে ৩ ওভার শেষেও উইকেটশূন্য আফগানিস্তান অধিনায়ক। ফলে তাঁর ও মুজিবের বাকি এখন একটি করে ওভার, ফজলহক ফারুকির আছে ২ ওভার।
ঝুঁকি নেননি তাওহিদ-শামীম
১৫তম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছেন করিম জানাত। হৃদয় বা শামীম ঝুঁকি নেননি, করিমের প্রথম ওভারে এসেছে ৭ রান। ৩০ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪২ রান।
জীবন পেলেন শামীম
১৬তম ওভার করতে এসেছেন মুজিব। তৃতীয় বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন শামীম, একটু আগেই ৫০ রান পূর্ণ করা জুটিটি ভাঙার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন নজিবুল্লাহ জাদরান। তবে সহজতম ক্যাচটি ফেলেছেন তিনি। ম্যাচটিও কি ফেলে দিলেন?
শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৫ রান। এ সময়ে আফগানিস্তান তুলেছিল ৫৩ রান।
মুজিবের ওভার শেষ, ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। সহজেই তাঁর উইকেটসংখ্যা হতে পারত ২।
১৮ বলে ১৯
রশিদ নিজে এসেছিলেন, মুজিবকে এনেছিলেন, এরপর ফজলহক ফারুকিকে ফেরালেন রশিদ। কেউই সফল হননি। উলটো ফারুকিকে পুল করে ছক্কা মেরেছেন হৃদয়। এরপর সামলেছেন ব্লকহোলের বিপজ্জনক বল।
পঞ্চম বলে শুয়ে পড়ে স্কুপ করে চার মেরেছেন শামীম। ফারুকির স্লোয়ার পড়েছেন দারুণভাবে। শেষ বলে হয়তো সিঙ্গেলই হতো, তবে হৃদয়-শামীমের দুর্দান্ত রানিংয়ে সেটিই হয়েছে দুই। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৭২ রানে।
ফারুকির তৃতীয় ওভারে এসেছে ১৬ রান।
জুটি ভাঙলেন রশিদ
মুজিবের বলে ক্যাচ তুলেও বেঁচে গিয়েছিলেন, রশিদকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে আর বাঁচলেন না। উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজই নিয়েছেন ক্যাচ। শামীম থেমেছেন ২৫ বলে ৩৩ রানে। হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর জুটি থামল ৭৩ রানে।
৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে শেষ করলেন রশিদ। ১২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪ রান।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ৬ রান
অফ স্টাম্পের বাইরে ফুলটস, হৃদয় অন্তত সে সুযোগ মিস করবেন না। করেনওনি। এখন সমীকরণ এমন, একটি চারেই চাপ হাওয়া হয়ে যাওয়ার মতো। ফারুকির ওভারে এসেছে ৮ রান। হৃদয় অপরাজিত ৩২ বলে ৪৭ রানে।
চারের পর আউট মিরাজ
প্রথম বলে লো ফুলটস, তাতে সোজা ব্যাট চালিয়ে চার মেরে শেষ ওভার শুরু করেন মিরাজ। তবে পরের বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে নবির হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ৪ বলে ২ রান প্রয়োজন এখন।
মিরাজের পরের বলে আউট তাসকিন
অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল, এবার কট-বিহাইন্ড তাসকিন। ২ বল, ২ উইকেট। ৩ বলে প্রয়োজন ২ রান। হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে করিম জানাত!
করিম জানাতের হ্যাটট্রিক!
এবার শর্ট বল, টপ-এজড নাসুম আহমেদ। থার্ডম্যানে ক্যাচ। করিম জানাতের হ্যাটট্রিক! ২ বলে প্রয়োজন ২ রান, এখন বাকি ২ উইকেট!
শরীফুলের চারে নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের জয়
পঞ্চম বলে কাট করে চার মারলেন শরীফুল ইসলাম। বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হলো তাতেই। ২ উইকেটে জিতে ২ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
হৃদয়ে ভর করে জিতল বাংলাদেশ
১১তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব আল হাসান ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৬৪ রান। আরেকটি উইকেট আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিতে পারত অনেকটাই। তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন সেটি হতে দেননি। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নেয়। ১৮তম ওভারে শামীম থামলেও সহজ জয়ের পথে ছিল স্বাগতিকেরা। শেষ ওভারেও সমীকরণটা ছিল ৬ বলে ৬ রান। প্রথম বলে চার মেরে মিরাজ সেটিকে নামিয়ে আনেন ৫ বলে ২ রানে।
বাংলাদেশের জয় তখন মনে হচ্ছিল আনুষ্ঠানিকতা। এরপরই করিম জানাতের হ্যাটট্রিক। মিরাজের পর টানা দুই বলে ফিরলেন তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদও। ২ বলে ২ রান প্রয়োজন, বাকি ২ উইকেট। সিলেটে হঠাৎ করেই নেমে আসে রোমাঞ্চ, ফিরে আসে হয়তো সাত বছর আগে বেঙ্গালুরুরও স্মৃতি! শরীফুল অবশ্য চার মেরে উল্লাসে মাতেন।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা দারুণ হলেও শেষ ৫ ওভারে ৬০ রান দিয়েছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তান পেয়েছিল লড়াই করার মতো স্কোর। এরপর রান তাড়ায় শুরুটা মনমতো হয়নি মোটেও। কিন্তু বাংলাদেশকে ঠিক পথে রাখেন হৃদয়। পরিস্থিতি বুঝে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। শেষ ওভারে নন স্ট্রাইক প্রান্তে এক সময় হতাশ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁকে, একে একে তিন সঙ্গীর ফেরা দেখেন। তবে ২ উইকেটের জয়ে হৃদয়ের ৩২ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসই যে মূল অবদানটা রেখেছে, সেটি নিশ্চিতই।
বৃষ্টির কারণে বল গ্রিপ করতে বেশ সমস্যাই হয়েছে আফগানদের। বৃষ্টি-বিরতির পর সাকিবের উইকেট পেলেও সেটি শেষ পর্যন্ত পক্ষে আসেনি তাদের।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ তাওহিদ হৃদয়
ভেজা মাঠকে দুষছেন রশিদ
মাঠ খুবই ভেজা ছিল। আমার মনে হয় ৫০ শতাংশ শক্তিমত্তা তাতেই কমে গেছে আমাদের বোলিংয়ের।
বিশ্বাস ছিল সাকিবের
নার্ভাস ছিলাম, তবে বিশ্বাস ছিল আমাদের টেল-এন্ডাররা ব্যাট করতে পারে।