সিলেটের বৃষ্টিকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচ বাঁচাতে হলে আজ সারা দিন ব্যাটিং করতে হতো আফিফ হোসেনদের। কিন্তু সকালের বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা শুরু হয় বেলা ১টা ৫০ মিনিটে। দিনে খেলা হতে পারত ৫৪ ওভার।
শেষ পর্যন্ত আলোক স্বল্পতার কারণে আজ খেলা হয়েছে ৪৯.১ ওভার। বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করেছে। শেষ পর্যন্ত ড্রয়ে শেষ হয় দুই দলের প্রথম চার দিনের ম্যাচ। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৬৪ রান।
টপ অর্ডার থেকে একমাত্র সাদমানই উইকেটে টিকে থাকতে পেরেছেন। আগের দিন ফলো–অনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫ রান করার পর তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়। কিন্তু আজ স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা করার আগেই দিনের প্রথম ওভারে জাকির হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম ইনিংসে ৯৫ রান করা সাইফ হাসানের ইনিংসও লম্বা হয়নি। ১৪ বল খেলে ৬ রান করে আউট হন তিনি।
জোড়া উইকেট পতনের পর চারে নামা মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে সাদমান ৬৪ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু গুড়াকেশ মোতির বাঁহাতি স্পিনে ২০ রানে থামে মাহমুদুলের ইনিংস। বিপদ বাড়ে সাদমান ও আফিফ হোসেনের আউটে। পরপর দুই ওভারে দুজনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ২৭তম ওভারে সাদমানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন কেভিন সিনক্লেয়ার। ৯০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৬৪ রান করেন এই বাঁহাতি। পরের ওভারেই মোতির বলে ৯ রান করে এলবিডব্লু হন আরেক বাঁহাতি, আফিফ।
১০৮ রানের মধ্যে দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ ‘এ’। চার দিনের ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে থাকা জাকের আলী টিকে থাকায় রক্ষা। তিনি ‘লেজে’র ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ড্র নিশ্চিত করেন। জাকের ৬৭ বল খেলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২৯ বল খেলে ১১ রান করা নাঈম হাসান তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন। রেজাউর রহমানের কনকাশন বদলি হিসেবে খেলতে নামা তামজিম হাসান ৩ রান করে আউট হলেও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে আউট করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। চাপের মুখে তিনি ৪১ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্ষতি যা হওয়ার তা তৃতীয় দিনই হয়ে গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের ৭ উইকেটে ৪২৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে ফলো–অনে পড়ে। সাইফ ৯৫ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসের মতো প্রথম ইনিংসেও জাকের অপরাজিত ছিলেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১২৩ বলে ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলকে বড় রানের মঞ্চ গড়ে দেন তেজনারায়ণ চন্দরপল (৮৩) ও কার্ক ম্যাকেঞ্জি (৮৬)। সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও দুজনই লম্বা ইনিংস খেলেছেন। ৮৫ রান করেছেন অ্যালিক অ্যাথানেজও। ৭৭ রান আসে অধিনায়ক জশুয়া দা সিলভার ব্যাট থেকে। শেষের দিকে ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন সিনক্লেয়ার।