৯৯৯৯ রানে আউটের দায় হ্যাজলউডের ঘাড়ে চাপালেন স্মিথ
আর ১ রান হলেই টেস্টে ১০ হাজার রান। ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এমন সময় গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন স্টিভ স্মিথ। তাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান আটকা পড়লেন ৯৯৯৯-এ।
সেই আউটের দিন দশেক পর স্মিথ জানালেন তাঁর আউটের পেছনের কারণ। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক দাবি করলেন, সতীর্থ জশ হ্যাজলউডের বড় দায় আছে ৯৯৯৯ রানে আউট হওয়ায়। হ্যাজলউড তো সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দলেই ছিলেন না, তিনি কী করে স্মিথের আউটের কারণ হলেন—এ প্রশ্ন করতেই পারেন।
জানতাম, ৩৮ রান দরকার। রাতে যখনই ঘুমাতে চেষ্টা করেছিলাম জশ হ্যাজলউডের জার্সিটা চোখে ভাসত, কারণ ওর নম্বর ৩৮।
প্রশ্নের উত্তরটাও দিয়েছেন স্মিথ। সিডনি টেস্টটা ১০ হাজার থেকে ৩৮ রান দূরে থেকে শুরু করেছিলেন স্মিথ। সমস্যা করেছে এই ৩৮ সংখ্যাই। জশ হ্যাজলউডের জার্সি নম্বরও ৩৮। স্মিথের দাবি, সিডনি টেস্টের আগে চোখ বুঝলেই হ্যাজলউডের জার্সি নম্বরটা ভেসে উঠেছে মনে। আর সেটিরও প্রভাব পড়েছে মনঃসংযোগে।
১০ হাজার কতটা চাপে ফেলেছিল, সেটিই জানালেন স্মিথ, ‘সাধারণত আমি পরিসংখ্যানে খুব বেশি চোখ রাখি না। তবে ১০ হাজারের ব্যাপারটা তো আলাদাই। মাইলফলকটার খুব কাছে চলে আসায় ম্যাচের আগে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক কথা বলতে হয়েছে। জানতাম, ৩৮ রান দরকার। রাতে যখনই ঘুমাতে চেষ্টা করেছিলাম জশ হ্যাজলউডের জার্সিটা চোখে ভাসত, কারণ ওর নম্বর ৩৮।’
এ নিয়ে বেশি চিন্তার প্রভাবই খেলায় পড়েছে বলে দাবি স্মিথের, ‘আমার খেলা অন্য যেকোনো ম্যাচের চেয়ে এসব নিয়ে বেশি ভেবেছি এবার। দুঃখজনক ঘটনাই বলব। ঘুমের হিসাবে জঘন্য এক সপ্তাহ কাটিয়েছিলাম। মোটেও ভালো কিছু ছিল না। ভাগ্য ভালো শেষ পর্যন্ত আমরা এই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছি।’
স্মিথের ঘুমের সমস্যা অবশ্য নতুন কিছু নয়। কথিত আছে, টেস্ট চলাকালে রাতে মাত্র দু-তিন ঘণ্টা ঘুমান তিনি।
সিডনিতে ঘরের মাঠে ১০ হাজার না পেলেও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে না স্মিথকে। ২৯ জানুয়ারি গলে শুরু শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টেই ১০০০০ পেয়ে যেতে পারেন এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।