বিখ্যাত হায়দরাবাদি বিরিয়ানিকে দশে কত নম্বর দিলেন বাবর
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপকে কেউ চাইলে মজা করে বিরিয়ানি কাপও বলতে পারেন। কারা বিশ্বকাপ জিততে পারে, কোন দলের শক্তি-সামর্থ্য কেমন, এসব আলাপের সঙ্গে বিরিয়ানি নিয়ে আলোচনাও যে ব্যাপক চলছে। বিশেষ করে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি নিয়েই কথা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আইসিসির পক্ষ থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল হায়দরাবাদি বিরিয়ানি সম্পর্কে। এ সময় নম্বর দেওয়ার পাশাপাশি বাবর আজম–হারিস রউফদের হায়দরাবাদি বিরিয়ানিকে করাচির বিরিয়ানির সঙ্গে তুলনাও করতে হয়েছে।
‘ব্যাটল অব দ্য বিরিয়ানিস’ ক্যাপশনের এ পোস্টের শুরুতেই বাবরের কাছে জানতে চাওয়া হয় হায়দরাবাদি বিরিয়ানির স্বাদ সম্পর্কে। উত্তরে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘এখানকার বিশেষত্ব হচ্ছে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। আমি দশে আট দেব। যদিও এটা কিছুটা মসলাদার হয়ে থাকে।’
একই প্রশ্নের উত্তরে পেসার হাসান আলি বলেন, ‘এটা মেজাজের ওপর নির্ভর করে। যদি আপনার বিরিয়ানি খেতে মন চায়, তবে দশে দশ।’ হায়দরাবাদি বিরিয়ানিকে নম্বর দিতে গিয়ে ইমাম–উল–হক বলেন, ‘এটা অসাধারণ। দশে এগারো দেব আমি। এটা অনেক ভালো।’ আর হারিস রউফ তো নম্বর দেওয়ায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন, ‘হায়দরাবাদি বিরিয়ানি বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। অনেক নাম শুনেছি। এখানে এসে সেটাই আগে খেয়েছি। আমি দশে বিশ নম্বর দেব।’
এরপর করাচির বিরিয়ানির সঙ্গে পার্থক্য কেমন জানতে চাইলে বারব বলেন, ‘একই রকম। মসলায় কিছুটা ভিন্নতা আছে। এখানকারটা একটু বেশি মসলাদার।’ হাসান অবশ্য রায়টা হায়দরাবাদি বিরিয়ানির পক্ষেই দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার হায়দরাবাদি বিরিয়ানি বেশি ভালো লেগেছে।’ ইমাম বলেন, ‘আমার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন। আমি কোনোটাকেই আলাদাভাবে বেশি নম্বর দেব না। দুটোই খুব ভালো।’
এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষেও উঠে এসেছিল বিরিয়ানির প্রসঙ্গ। পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণ সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শাদাব খানের কাছে জানতে চেয়েছিল সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টস। জবাবে হায়দরাবাদি বিরিয়ানির বিষয়টি সামনে এনে মজা করেন শাদাব।
২৫ বছর বয়সী স্পিনিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমরা এটা (বিরিয়ানি) প্রতিদিনই খাচ্ছি, সম্ভবত এ কারণে কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েছি (হাসি)।’ এমনকি আজ বিশ্বকাপের ক্যাপ্টেনস ডে পর্বেও বাবরকে বিরিয়ানি নিয়ে জিজ্ঞেস করেন উপস্থাপনায় থাকা রবি শাস্ত্রী।