- স্বাগত!
- আবহাওয়া-আপডেট
- টস ও একাদশ
- ভিন্ন অ্যাপ্রোচ
- মোস্তাফিজে শুরু, অন্যপ্রান্তে তাসকিন
- ২ ওভারে দুই স্কোরিং শট
- ঘটনাবহুল ওভার
- আক্রমণে শরীফুল
- ইংল্যান্ডের ৫০
- ১০ ওভারে ৬১/০
- তিন ওভারে তিন স্পিনার
- ছুটছে ইংল্যান্ড
- ম্যালানের ফিফটি
- ইংল্যান্ডের ১০০
- বেয়ারস্টোর ফিফটি
- ব্রেকথ্রু কই?
- উইকেট, সাকিবের উইকেট
- ক্রিজে জোসেফ এডওয়ার্ড রুট
- মোস্তাফিজের চোট-শঙ্কা
- ২৬ ওভারশেষে
- রুট-স্কুপ
- আবার গতি বদল
- ম্যালানের সেঞ্চুরি
- ম্যালানের ঝড় মিরাজের ওপর
- রুটের ফিফটি
- সুযোগ
- গুচকে ছাড়িয়ে রুট
- থামছেন না ম্যালান
- থামলেন ম্যালান
- বোল্ড বাটলার
- ৩০০
- শরীফুলের উইকেট, উইকেট
- ৪৪ ওভারে ৩২৩/৫
- আবার ‘সাহসী’ মেহেদী, সফলও
- মেহেদীর তৃতীয়
- হৃদয়ের দারুণ ক্যাচ
- উড়তে থাকা ইংল্যান্ডকে ৩৬৪ রানে ‘আটকাল’ বাংলাদেশ
- চার, চার, চারে শুরু লিটনের
- তানজিদ আউট!
- নাজমুলও ফিরলেন!
- জুটি হলো না, সাকিবও আউট
- সুপার-চেঞ্জ টপলি
- মিরাজ ক বাটলার ব ওকস
- বাংলাদেশের ৫০
- লিটন দাস: ফিফটি
- উডের আগুন
- লিটনের ৩৮ বলে ফিফটি এবং…
- ৫০ রানের জুটি
- ২০ ওভারশেষে
- ওহ লিটন, নো লিটন!
- হৃদয়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সুযোগ?
- রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন হৃদয়
- মুশফিকের ফিফটি
- ফিফটির পরই মুশফিকের বিদায়
- তখন রুট (এবং বেয়ারস্টো), এখন হৃদয়
- টপলির শেষ
- ধর্মশালা
- ফিফটির আগে হৃদয়ের বিদায়
- অবশেষে রশিদের উইকেট
- অলআউট হবে বাংলাদেশ?
- শরীফুল ব উড
- শেষ করলেন উড
স্বাগত!
আফগানিস্তানকে উড়িয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে ইংল্যান্ড। এমন অবস্থান থেকে আজ ধর্মশালায় মুখোমুখি দুই দল।
প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
আবহাওয়া-আপডেট
ভারত থেকে উৎপল শুভ্র
ধর্মশালায় গতকাল রাতেও দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল বৃষ্টি। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে শুরু হয়েছিল তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টির তোড় এবং বজ্রের গর্জনে মনে হচ্ছিল আজ খেলা হবে তো! কিন্তু ভোরের দিকে সুখবরের ইঙ্গিতও মিলতে শুরু করে। ভোর রাতে থেমেছে বৃষ্টি। সকাল থেকেই পরিষ্কার ধর্মশালার আকাশ। ঝকঝকে রোদে উজ্জ্বল চারপাশ।
টস ও একাদশ
টেলস ডেকেছেন সাকিব আল হাসান। টসে জিতেছেন তিনি। আগের দিনের মতোই নিয়েছেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
দুই দলেই আছে একটি করে পরিবর্তন। বাংলাদেশ দলে মাহমুদউল্লাহ জায়গা করে দিয়েছেন মেহেদী হাসানকে। ইংল্যান্ড রিস টপলিকে এনেছে মঈন আলীর জায়গায়। মঈন কিন্তু দলের সহ-অধিনায়কও।
বাংলাদেশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ড
জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড ম্যালান, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস, মার্ক উড, আদিল রশিদ ও রিস টপলি।
ভিন্ন অ্যাপ্রোচ
আফগানিস্তানকে ৪০ ওভারের আগেই গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ, তবে এর আগেই ষষ্ঠ বোলারের প্রয়োজনীয়তা টের পাওয়া গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে তাই বাংলাদেশ এনেছে মেহেদীকে।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড স্পিনে অপশন মঈনকে বাদ দিয়ে এনেছে টপলিকে। দুই দলই বোলিংয়ে শক্তি বাড়িয়েছে। তবে ইংল্যান্ড ভরসা রেখেছে পেসের ওপর, বাংলাদেশ স্পিনে।
মোস্তাফিজে শুরু, অন্যপ্রান্তে তাসকিন
প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনারকেই আউট করেছিলেন মোস্তাফিজ। ধর্মশালায় নতুন বল তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে।
ম্যালানকে ভালো একটি শেপের বলে পরাস্ত করেছেন। তবে শেষ বলে কাভার ড্রাইভে চার মেরেছেন ম্যালান। বলের পেছনে ছোটা শরীফুল ইসলাম ডাইভ দেননি। ডাইভ দেওয়ার কথা আলাদা করে বলা হচ্ছে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডের কারণে। যেটি আলোচনায় আগের ম্যাচ থেকেই।
দ্বিতীয় ওভার করতে এসেছেন তাসকিন। প্রথম বল ছিল হাফ ভলি। শততম ওয়ানডে খেলতে নামা জনি বেয়ারস্টো মিস করেননি সেটি। তবে সে চারের পরই রক্ষণাত্মক মুডে চলে গেছে বাংলাদেশ, একমাত্র স্লিপকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাভার পয়েন্টের দিকে, যেখানে গ্যাপ ছিল।
২ ওভারে ১০/০
২ ওভারে দুই স্কোরিং শট
মোস্তাফিজের ওভারে শুধু একটি সিঙ্গেল। এরপর তাসকিনের ওভারে একটি চার। সর্বশেষ ২ ওভারে ইংল্যান্ড তুলেছে ৫ রান।
মোস্তাফিজের বলে স্লিপ ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, খেলতে গিয়ে মিসও করেছেন ম্যালান। চার খাওয়ার পর লেংথে পরিবর্তন এনেছেন তাসকিন।
৪ ওভারে ১৫/০।
ঘটনাবহুল ওভার
আওয়াজ স্পষ্টই ছিল। তবুও আউট দেননি আম্পায়ার আহসান রাজা। মোস্তাফিজের শর্ট বলে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন ডেভিড ম্যালান। বাংলাদেশ দল অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিল আবেদন নিয়ে। সাকিবও নেন রিভিউ। তবে রিভিউ নেওয়ার পরপরই ম্যালান ইশারায় দেখাতে থাকেন, বল লেগেছে তাঁর বাঁ দিকের কাঁধের কাছে। আল্ট্রা-এজ নিশ্চিত করেছে সেটিই। রাজার দারুণ সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ ও মোস্তাফিজের রিভিউ হারানোর কাটা ঘায়ে দুটি বাউন্ডারিতে নুনের ছিটা দিয়েছেন ম্যালান। কাভার দিয়ে মারার চারের পর স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে।
৫ ওভারে ২৫/০।
আক্রমণে শরীফুল
লেংথে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বল, ডানহাতির জন্য সহজ নয়। ষষ্ঠ ওভারে শরীফুল ইসলাম বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই সেটি করেছেন জনি বেয়ারস্টোর বিপক্ষে, করেছেন দ্বিতীয় বলেও। প্রথমটিতে হয়েছিল এলবিডব্লিউর আবেদন। এবার অবশ্য রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। না নিয়ে ভালোই করেছে তারা, বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। তবে সেটি সূক্ষ্ণ ব্যবধানে। এবং বল যদি লেগ স্টাম্পের বাইরে না পড়ত, তাহলে আউটের সুযোগ থাকতেও পারত, কারণ সেটি আঘাত করত স্টাম্পে। অবশ্য রিভিউ নেয়নি বলে এখন আর সে আলোচনায় না গিয়ে লাভ নেই।
শরীফুলের প্রথম ওভার শেষ হয়েছে বেয়ারস্টোর মারা চারে। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে করা ড্রাইভে।
৬ ওভারে ৩১/০।
ইংল্যান্ডের ৫০
৭ চার।
২ ছক্কা।
নবম ওভারের প্রথম বলে ইংল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলেছে ৫০। ওপেনিং জুটি অবিচ্ছিন্ন।
মোস্তাফিজের করা তৃতীয় ওভার বাদ দিয়ে প্রতি ওভারেই এসেছে বাউন্ডারি। নবম ওভারে আনা হয়েছে মেহেদী হাসানকে। তবে শর্ট লেংথে পেয়ে জায়গা বানিয়ে পাঞ্চ করে কাভার দিয়ে চার মেরেছেন বেয়ারস্টো। পরে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে আরেকটি মেরেছেন ম্যালান।
ঘণ্টায় ৮৮.৯ কিলোমিটার গতির বল, উইকেটের পেছন থেকে মুশফিক চিৎকার করছিলেন, ‘এ গতিটা ভালো, এ গতিটা ভালো।’
ইংল্যান্ডের রান তোলার গতিও অবশ্য এখন ভালো। ৯ ওভারে তারা তুলে ফেলেছে ৫৯ রান।
১০ ওভারে ৬১/০
প্রথম পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসেছেন সাকিব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সে ম্যাচেও শুরুতে পেসাররা সফল হননি। আজও না।
প্রথম ওভারে ২ রানের বেশি দেননি অবশ্য সাকিব। তবে প্রথম ১০ ওভারে উইকেটের দেখাও পায়নি বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে মোস্তাফিজ ও সাকিবের একটি করে ওভার বাদ দিলে প্রতিটিতেই বাউন্ডারির দেখা পেয়েছে ইংল্যান্ড।
বেয়ারস্টোর চেয়েও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছেন ম্যালান।
তিন ওভারে তিন স্পিনার
প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরই এসেছেন মিরাজ, ফলে টানা ৩ ওভারে এলেন ৩ স্পিনার। কিন্তু মিরাজের প্রথম ওভারে এসেছে দুটি চার। মাঝের ওভারে বাংলাদেশের অনেক স্পিন সামলাতে হবে ইংল্যান্ডকে। তারা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক।
ছুটছে ইংল্যান্ড
‘বাউন্ডারি ছাড়া দুইটা ওভার করি ভাই।’
‘সাহস করে সামনে কর…চান্স আসবে একটা।’
স্টাম্প মাইক্রোফোনে শোনা যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের কথা। প্রথম পাওয়ারপ্লের পরও ইংল্যান্ডের রানের গতি ঠিক কমাতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ারপ্লের পরের ৩ ওভারে এসেছে ২৩ রান।
১৩ ওভারশেষে ৮৪/০।
ম্যালানের ফিফটি
এ বছর ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তাঁর। অথচ সেই ম্যালানকে নিয়েই মাঝে কথা উঠেছিল, শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দলে জায়গা ধরে রাখতে পারবেন তো তিনি? বেন স্টোকস ফিরে আসায়, হ্যারি ব্রুককে শুরুতে বাদ দেওয়ার পর উঠেছিল এমন আলোচনা।
ম্যালান সে সব শঙ্কা দূরে ঠেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজসেরা হয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রান করেই থেমেছিলেন। এবার পেলেন ফিফটি। সেটিও মাত্র ৩৯ বলেই। বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটিতে এখন বেয়ারস্টোর চেয়েও স্ট্রাইক রেট বেশি তাঁর।
ক্যারিয়ারে ম্যালানের এটি ষষ্ঠ ফিফটি। তিনি খেলছেন ক্যারিয়ারের ২৩তম ম্যাচ।
ইংল্যান্ডের ১০০
১৬তম ওভারে ইংল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০ রান। ১৫.৩ ওভারের মধ্যে আরও নির্দিষ্ট করে বললে।
বেয়ারস্টোর ফিফটি
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। এবার ফিফটি পেলেন শততম ওয়ানডে খেলতে নামা বেয়ারস্টো। শুরুটা একটু ধীরেই করেছিলেন বলতে হবে। তবে ৫৪ বলেই ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি।
ব্রেকথ্রু কই?
উইকেট, সাকিবের উইকেট
দ্রুতগতির বল। টার্ন করেনি তাতে। ব্যাকফুটে গিয়ে ভুলটা করেছেন জনি বেয়ারস্টো। আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। আবার বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি—সাকিব আল হাসান। উদ্যাপনও করেছেন সেভাবেই।
একমাত্র সাকিবের বিপক্ষেই বেশ সতর্ক ছিলেন দুই ইংল্যান্ড ওপেনার। তাঁর প্রথম ২৮ বলে দুজন মিলে মেরেছিলেন মাত্র একটি বাউন্ডারি। ২৯তম বলে ফিরলেন বেয়ারস্টো। তিনি আউট হয়েছেন ৫৯ বলে ৫২ রান করে। ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ১১৫ রানে।
ক্রিজে জোসেফ এডওয়ার্ড রুট
ট্রেন্ট বোল্টকে রিভার্স স্কুপ করে ছক্কা মারতে পারেন তিনি। জো রুট খেলতে পারেন এই শটও—পায়ের ব্যবহার করে মিরাজকে তাঁর মাথার ওপর দিয়ে তুলে মারা চার। স্পিনে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দক্ষ ব্যাটসম্যান রুট, এ নিয়ে সংশয় নেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ইনিংস ধরে রেখেছিলেন বিশ্বকাপের আগে সেভাবে রান না পাওয়া রুট। ৭৭ রানের ইনিংসে তিনি সেদিন মেরেছিলেন মাত্র ৫টি বাউন্ডারি। ফলে রুট ক্রিজে এলে অনেক সিঙ্গেল হবে, অনুমিত সেটিও। অন্যপ্রান্তে ম্যালান ছুটছেন এখনো। ৬১ বলে ৭৪ রান তাঁর।
ইংল্যান্ড ২২ ওভারে তুলেছে ১৪০ রান, ১ উইকেটে।
মোস্তাফিজের চোট-শঙ্কা
এর আগে একাধিকবার ঘটেছে এমন। সাইটস্ক্রিনের আশেপাশে কোনো কিছু ঝামেলা করছিল বলে বল খেলার আগেই সরে গিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো। এবার সরে গেলেন জো রুট। অবশ্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না, মনে হয়েছে এমন। মোস্তাফিজ প্রায় ডেলিভারি স্ট্রাইডে চলে গিয়েছিলেন। এরপর ঘুরতে গিয়ে পায়ে পায়ে লেগে পড়ে গেছেন বাংলাদেশ পেসার। আঘাত পেয়েছেন। মাঠে এসেছেন ফিজিও। তবে সুসংবাদ হচ্ছে, উঠে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাফিজ। শুরু করেছেন ২২তম ওভার।
২৬ ওভারশেষে
সর্বশেষ ২০ বলে কোনো বাউন্ডারি ছিল না ম্যালানের। ২১তম বলে ইনসাইড আউটে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারেন ম্যালান। সীমানায় ডাইভ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। চার আটকে দিয়েছেন তিনি, তবে সে ডাইভ যে মোটেও স্বস্তির ছিল না, সেটি বোঝা গেছে সহজেই।
ইংল্যান্ডের রানের গতি একটু কমে এসেছে। সর্বশেষ ৫ ওভারে কোনো বাউন্ডারি আসেনি। তবে তারা দাঁড়িয়ে শক্ত ভিতে। ১৫৫/১।
রুট-স্কুপ
ট্রেন্ট বোল্ট—রিভার্স স্কুপ।
মোস্তাফিজুর রহমান—স্কুপ।
মোস্তাফিজ করছিলেন রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে। ফলে স্কুপ খেলার মতো একটা অ্যাঙ্গেল ছিলই। বলে গতিও ছিল। টাইমিং-ও দারুণ করেছেন রুট। ইনিংসে দ্বিতীয় বাউন্ডারি ও প্রথম ছক্কাটি তাঁর এসেছে তাতেই। ম্যালানের সঙ্গে রুটের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ রানও উঠে গেছে। প্রায় ৬ ওভারের বাউন্ডারি-খরাও কেটেছে রুটের ওই ছক্কায়।
আবার গতি বদল
প্রথম ৭ ওভারে সাকিব দিয়েছিলেন ৩১ রান। অষ্টম ওভারে দিলেন ১২ রান। রিভার্স সুইপের পর শর্ট লেংথের বল পেয়ে টেনে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরেছেন রুট। উইকেটের আশায় সাকিবকে করতে হচ্ছে, তবে সফল হচ্ছেন না। প্রথম ২৮ ওভারের মধ্যে মাত্র ৬ ওভার করেছেন তাসকিন ও শরীফুল, মোস্তাফিজ করেছেন ৭টি। ফলে ডেথে মোস্তাফিজকে খুব বেশি পাবেন না সাকিব।
মাঝে ৫ ওভার বাউন্ডারি ছাড়া কাটলেও সর্বশেষ ২ ওভারে এসেছে ২২ রান।
ম্যালানের সেঞ্চুরি
২৩ ইনিংস। ৫ ফিফটি। ৬ সেঞ্চুরি। ১ ডেভিড ম্যালান।
৩৯ বলে ফিফটি করেছিলেন। সেঞ্চুরি করতে লাগল ৯১ বল। মাঝে একটু গতি কমে এসেছিল তাঁর। তবে সেটিও তেমন কিছু নয় বলেই ধরে নিতে হবে। সাকিবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন।
সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তিনে খেলেছিলেন এ বাঁহাতি। এরপর জেসন রয়ের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ফিরে আসেন ওপেনিংয়ে। এ পজিশনে তৃতীয় সেঞ্চুরিটি পেলেন তিনি।
ম্যালানের ঝড় মিরাজের ওপর
স্পিনেই ভরসা রাখছেন সাকিব। তবে ম্যালানও টলছেন না। স্বাভাবিকভাবেই সেঞ্চুরির পর আরও খোলা হাতে খেলবেন। ইংল্যান্ডের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপের অনেকটাই বাকি এখনো।
ম্যালানের নির্মম হিটিংয়ের শিকার মিরাজ। ৩৩তম ওভার তিনি শুরু করেছিলেন ৯২ বলে ১০১ রান নিয়ে। এ ওভারশেষে ম্যালানের রান ৯৭ বলে ১২২। এ ওভারেই ২০০ পেরিয়েছে ইংল্যান্ড। রুটের সঙ্গে ম্যালানের জুটি ছাড়িয়েছে ১০০ রান।
বাংলাদেশের দুঃসময়। ৩৩ ওভারে ২২১/১।
রুটের ফিফটি
নিউজিল্যান্ডের পর বাংলাদেশের বিপক্ষেও ফিফটি পেলেন রুট। ৪৪ বলের ফিফটিতে ৪টি চার, ১টি ছক্কা। সর্বশেষ শরীফুলের বলে চার মেরে ফিফটিতে গেছেন ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারের ‘চালক’।
সুযোগ
তাসকিনের বলে আগবাড়িয়ে ফ্লিক করে ক্যাচ তুলেছিলেন রুট। মিডউইকেটে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাত লাগাতে পারলেও ক্যাচ নিতে পারেননি হৃদয়। তাসকিনের ওভারে ডিপ থার্ড ও ডিপ ফাইন—দুজন ফিল্ডারই ছিলেন বেশ ফাইনে, মানে রুটের স্কুপ আটকানোর চেষ্টা। তবে ইংল্যান্ডকে আটকানোর চেষ্টায় এখন পর্যন্ত সেভাবে সফল হয়নি বাংলাদেশ। ১৫ ওভার বাকি থাকতে উঠেছে ২৩৯ রান। বাকি ৯ উইকেট।
গুচকে ছাড়িয়ে রুট
থামছেন না ম্যালান
তাসকিন আহমেদের শর্ট বল। পুল করে ম্যালানের ছক্কা। পরের ৫ বলে অবশ্য ৫ রানের বেশি দেননি তাসকিন। তবে ১১ রান এসেছে ঠিকই। ৩০তম ওভারের পর সর্বশেষ ৭ ওভারে এসেছে ৬৯ রান।
থামলেন ম্যালান
প্রথম বলে চার। পরের বলে গতির পরিবর্তন, অনেকটাই কমিয়ে এনেছিলেন মেহেদী। টসড আপ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস করে অবশেষে বোল্ড হয়েছেন ম্যালান। ১০৭ বলে করেছেন ১৪০ রান। ১৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা। সেঞ্চুরির পর ১৬ বলে তিনি করেছেন ৪০ রান। রুটের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেমেছে ১৫১ রানে।
বোল্ড বাটলার
অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে নাকল বল। তাতে ব্যাট চালিয়ে বল স্টাম্পে ডেকে এনেছেন জস বাটলার। শরীফুলের দারুণ বোলিং। আজ নতুন বল দেওয়া হয়নি তাঁকে। মাঝে খরুচেও ছিলেন। তবে শেষ দিকে এসে সফল হলেন বাঁহাতি পেসার।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক খেলেছেন ১০ বলে ২০ রানের ইনিংস। সেভাবে টাইমিং করতে পারেননি, তবে বাটলারের মতো একজনের কাছে সেটিই যথেষ্ট হয়েছে ২০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলতে।
৩৯.৪ ওভারে ২৯৬/৩
৩০০
৪০.২ ওভার। ৩০১ রান। ৩ উইকেট।
শেষ ১০ ওভারে উঠবে আরও বড় ঝড়? নাকি ইংল্যান্ডকে একটু কমের মধ্যে আটকাতে পারবে বাংলাদেশ?
দেখা যাক!
শরীফুলের উইকেট, উইকেট
শরীফুলের আরেকটি নাকল বল। আরেকটি উইকেট। এবার তাঁর শিকার জো রুট। স্টাম্প লাইন থেকে আড়াআড়ি তুলে মারতে গিয়ে খাড়া ওপরে তোলেন রুট। সময় পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, ভুল করেননি কোনো। রুট আউট ৮২ রানে। সর্বশেষ ১৫ বলে ছিল না বাউন্ডারি। সে চাপেই এল রুটের উইকেট।
এবং ঠিক পরের বলেই বোল্ড লিয়াম লিভিংস্টোনও! এবার সিমের ওপর আঙুল ঘুরিয়ে করেছিলেন। ডিফেন্ড করতে গিয়ে পুরো মিস করে গেছেন লিভিংস্টোন। গোল্ডেন ডাক তাঁর। হুট করেই ইংল্যান্ডের লাগাম টেনে ধরার ইঙ্গিত বাংলাদেশের। ২৯৬ রানে ২ উইকেট থেকে ৩০৫ রানে ৫ উইকেট।
৪৪ ওভারে ৩২৩/৫
হ্যাটট্রিক বলটা ফুললেংথে করেছিলেন শরীফুল। স্যাম কারেন খেলেছেন নিরাপদেই।
পঞ্চম বলে দারুণ কাভার ড্রাইভে চারও মেরেছেন কারেন। লিভিংস্টোনকে শুরুতেই থামিয়ে ইংল্যান্ডের গতিতে আরেকটু লাগাম টেনে ধরার আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। তবে ব্রুক আছেন, কারেনের ব্যাটিং সামর্থ্যও জানা। আসতে বাকি ক্রিস ওকস।
আবার ‘সাহসী’ মেহেদী, সফলও
ম্যালানের বিপক্ষে এমন ডেলিভারিতে সফল হয়েছিলেন। ব্রুকের বিপক্ষে গতি কমিয়ে আনা ডেলিভারিতে সফল হলেন মেহেদী। আগের বলে ফুলটসে চার মেরেছিলেন ব্রুক। এবার গতি কমিয়ে অফ স্টাম্পের বাইরে করলেন মেহেদী। তুলে মারতে গিয়ে লং অফে লিটনের হাতে ধরা পড়েছেন ১৫ বলে ২০ রান করে।
৪৫ ওভারে ৩২৯/৬।
মেহেদীর তৃতীয়
ফ্ল্যাট মেরেছিলেন স্যাম কারেন। লং অফ থেকে বাঁয়ে ছুটে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল। মনে রাখতে হবে, ধর্মশালার এ মাঠ ডাইভের জন্য সহজ নয় মোটেও।
ইংল্যান্ড হারিয়েছে আরেকটি উইকেট।
৩ উইকেটে ২৯৮ রান নিয়ে শেষ ১০ ওভার শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। পরের ৭ ওভারে ৩৯ রান তুলতে তারা হারিয়েছে আরও ৪ উইকেট।
৪৭ ওভারে ৩৩৭/৭।
হৃদয়ের দারুণ ক্যাচ
মিসফিল্ডে চার—শেষ দিকের ভালো ফিল্ডিং একটু যেন ম্লান হয়ে গিয়েছিল তাতে। তবে তাওহিদ হৃদয় নিলেন দারুণ একটি ক্যাচ। মেহেদীকে টেনে কাউ কর্নারের দিকে মেরেছিলেন আদিল রশিদ। সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার আগে সেটি ছুড়ে দেন হৃদয়, যেটি নেন নাজমুল। মজার ব্যাপার হলো, স্কোরকার্ডে এ ক্যাচ থাকবে নাজমুলের নামেই। যদিও মূল কাজটি করেছেন হৃদয়ই। ৯ বল বাকি থাকতে অষ্টম উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। মেহেদী পেয়েছেন চতুর্থ উইকেট।
ইংল্যান্ড অবশ্য ৩৫০ পেরিয়েছে।
উড়তে থাকা ইংল্যান্ডকে ৩৬৪ রানে ‘আটকাল’ বাংলাদেশ
৪০তম ওভার জস বাটলারকে বোল্ড করেছিলেন শরীফুল। সে ওভারশেষে ৩ উইকেটে ২৯৮ রান ছিল ইংল্যান্ডের। ৪০০ রান নাগালে ছিল ভালোভাবেই। জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটের ফিফটির মাঝে ডেভিড ম্যালানের সেঞ্চুরিতে দারুণ ভিত পেয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
তবে ডেথ ওভারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শরীফুলের পর সাহসী বোলিং করেছেন মেহেদী। গতির বৈচিত্র ব্যবহার করে পেয়েছেন উইকেটের দেখা। তাতেই ইংল্যান্ডের ঝোড়ো গতি কমে এসেছে ভালোভাবে।
মোস্তাফিজকে আজ নতুন বলে ব্যবহার করা হয়েছে বলে ডেথ ওভার নিয়ে একটা চিন্তা ছিলই। তার ওপর মাঝের ওভারগুলোতে ইংলিশদের ঝোড়ো ব্যাটিং আরও চাপে ফেলে দেয়। তবে শরীফুল ও মেহেদীকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও বেশ ভালো ছিল বাংলাদেশ।
শেষ ওভারের প্রথম বলে ক্রিস ওকস শুরু করেছিলেন চার মেরে, কিন্তু তাসকিনের দ্বিতীয় বলেই তোলেন ক্যাচ। সব মিলিয়ে ওভারে আসে ৬ রান। শেষ ১০ ওভারে ৬৬ রান তুলতে পেরেছে ইংল্যান্ড, ৬ উইকেট হারিয়ে। আগের ১০ ওভারেও তারা তুলেছিল ১১০ রান। ৩০৭/৩ থেকে ৩৬২/৯—ধস নেমেছে ভালোভাবেই।
তবে এত কিছুর পরও কিন্তু বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৬৫ রান। শেষ ১০ ওভারের বোলিং কতটুকু পার্থক্য গড়তে পারবে, সেটি দেখা যাবে বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কীভাবে এগোয়, তারপরই।
চার, চার, চারে শুরু লিটনের
বাংলাদেশের ইনিংসে ক্রিস ওকসের করা প্রথম ওভারেই টানা তিন চার লিটন দাসের। প্রথমটি মিডউইকেটে পরেটি কাভারে এবং শেষ শটটি স্কয়ার লেগে খেলেন।
তানজিদ আউট!
প্রথম ওভারে লিটন ভালো শুরু এনে দিলেও পরের ওভারেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ওপেনার তানজিদ হাসান। রিস টপলির বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন তানজিদ (১)।
নাজমুলও ফিরলেন!
তানজিদ আউট হওয়ার পরের বলেই পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আউট নাজমুল হোসেন (০)। দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। উইকেটে এসেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সঙ্গী লিটন দাস। ওভারের শেষ বলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল টপলির। কিন্তু সাকিব তা ভালোভাবেই মোকাবিলা করেছেন।
বাংলাদেশ ২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৪।
জুটি হলো না, সাকিবও আউট
দ্রুত দুই উইকেট হারানোয় চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন সাকিব ও লিটন। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে রিস টপলির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সাকিবও আউট। ৯ বলে ১ রান করে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২৩ বলে দুজনের ১২ রানের জুটিও ভেঙে গেল। উইকেটে লিটনের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ ৫.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬।
সুপার-চেঞ্জ টপলি
ইংল্যান্ডের দল পেস-হেভি। বেন স্টোকস ছাড়াই স্কোয়াডে আছেন ছয় জন পেসার। আজ বাংলাদেশ স্পিনে শক্তি বাড়ালেও ইংল্যান্ড বাড়িয়েছে পেসে শক্তি। সহ-অধিনায়ক মঈন আলীকে বসিয়ে তারা দলে এনেছে রিস টপলিকে। সেই টপলি এখন পর্যন্ত বনে গেছেন ‘সুপার-চেঞ্জ’। তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেনের পর সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়েছেন নিজের প্রথম ৩ ওভারের মধ্যে।
আগের ম্যাচে মার্ক উডকে শুরুতেই আনতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের, যাঁকে মাঝের ওভারগুলোতেই বেশি করে চায় দলটি। টপলির এমন বোলিং আজ সুযোগ করে দেবে সেটি।
মিরাজ ক বাটলার ব ওকস
ক্রিস ওকসের সিম-আপ ডেলিভারি। উচ্চাভিলাষী ড্রাইভ করতে গেলেন তাতে মিরাজ, পা না নড়িয়েই। তাতে আউটসাইড-এজে কট বিহাইন্ড তিনি। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিলেও ওকসকে আক্রমণে রেখেছিলেন বাটলার।
আজ পাঁচে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু মিরাজ টিকতে পারলেন না বেশিক্ষণ। ৫০ ছোঁয়ার আগে, প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ১০ ওভারেই উঁকি দিচ্ছে বড় পরাজয়। সে বড় পরাজয়কে ধর্মশালার এ মাঠের পাশে থাকা পাহাড়ের ওপারে নিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশের ৫০
প্রথম ওভারে তিন চারে শুরু করেছিলেন লিটন। তবে একাই দাঁড়িয়ে আছেন তিনি এখন পর্যন্ত। তাঁকে রেখে ফিরে গেছেন তানজিদ, নাজমুল, সাকিব ও মিরাজ।
প্রথম পাওয়ারপ্লের শেষ বলে শর্টে পেয়ে হুক করে ছক্কা মেরেছেন লিটন, পেরিয়ে গেছেন ৪০। ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান।
লিটন দাস: ফিফটি
স্যাম কারেনকে ট্যাপ করে থার্ডম্যান থেকে সিঙ্গেল। লিটনের ফিফটি। মাত্র ৩৮ বলেই।
একটু আগেও তাঁর পুল করে মারা চার দেখে এউইন মরগান ধারাভাষ্যে বলছিলেন, শট খেলার আগে কতটা সময় পান লিটন। সব ব্যাটসম্যান সেটি পান না। কিন্তু লিটন তাঁর ক্যারিয়ারে সেটি কতটা কাজে লাগাতে পেরেছেন, সেটি তর্কসাপেক্ষ অবশ্যই।
আপাতত বাংলাদেশ ওপেনার পেলেন ক্যারিয়ারের ১১তম ও বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ফিফটি। এ ইনিংসে এখন পর্যন্ত তাঁর চার ৭টি, সঙ্গে ১টি ছক্কা। ম্যাচে ফলে তাঁর ইনিংস কতটা প্রভাব রাখবে, সে আলোচনাও আপাতত তুলে রাখা যায়।
উডের আগুন
আগুন ঝরাচ্ছেন উড। প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারেও। এ ওভারে তাঁর সবচেয়ে ধীরগতির ডেলিভারিটি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৪৮ কিলোমিটারের। সবচেয়ে দ্রুতগতির বলটি ঘন্টায় প্রায় ১৫১ কিলোমিটার গতির।
অন্যদিকে জুটি গড়ার চেষ্টা লিটন ও মুশফিকের। লড়াইয়ে থাকতে গেলে এ দুজনকে ক্রিজে বেশ খানিকটা সময় পার করতে হবে নিশ্চিতভাবেই।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭৪/৪।
লিটনের ৩৮ বলে ফিফটি এবং…
মোহাম্মদ সোলায়মান
লিটন দাসের ফিফটি বাংলাদেশের বিশ্বকাপে যৌথভাবে তৃতীয়। সব দল মিলিয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ডটি ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ২০১৫ সালে ওয়েলিংটনের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেদিন ঝড় তুলেছিলেন ইংল্যান্ডের এখনকার টেস্ট কোচ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটি
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন: ৩৭ বল, প্রতিপক্ষ ভারত, এজবাস্টন, ২০১৯
মুশফিকুর রহিম: ৩৮ বল, প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, নেলসন, ২০১৫
লিটন দাস: ৩৮ বল, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ধর্মশালা, ২০২৩
সাকিব আল হাসান: ৪০ বল, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, টন্টন, ২০১৯
মুশফিকুর রহিম: ৪০ বল, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, ক্যানবেরা ২০১৫
৫০ রানের জুটি
টপলির পর ওকসের তোপে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়েছিল ৪৯ রানেই। এরপর থেকে জুটি গড়ছেন লিটন ও মুশফিক। তাঁদের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৫৭ রানে।
২০তম ওভারে প্রথমবারের মতো স্পিনারকে এনেছেন জস বাটলার। সেটি আদিল রশিদ, বাংলাদেশের বিপক্ষে যে ইংলিশ বোলারের উইকেট সবচেয়ে বেশি।
২০ ওভারশেষে
আদিল রশিদকে সুইপ করে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা লিটনের। ৭০ পেরিয়েছেন তিনি।
২০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ১১৬ রান।
ওহ লিটন, নো লিটন!
৬৫ বলে ৭৬ রান। লিটন ছিলেন দারুণ। সেঞ্চুরি উঁকি দিচ্ছিল ভালোভাবেই। তবে ক্যারিয়ারজুড়েই যে আক্ষেপ, সেটি সঙ্গী হলো আবার।
মুখোমুখি ৬৬তম বল। ক্রিস ওকসের অফ কাটার। সেটি বুঝতে না পারার কারণ নেই। এরপরও অফ স্টাম্পের বাইরে শরীর থেকে আগবাড়িয়ে ব্যাট চালালেন লিটন। হলেন কট-বিহাইন্ড। আম্পায়ার পল উইলসন আউট দেওয়ার পরই লিটনের হতাশা ছিল স্পষ্ট। তিনি নিজেও জানেন, দারুণ এক ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটেছে মাত্র।
টেলিভিশন রিপ্লেতে এরপর দেখানো হয়েছে, এ বলের আগে নিজের স্বাভাবিক পজিশন থেকে একটু এগিয়ে এসেছিলেন বাটলার। মানে পরিকল্পনাই ছিল এমন।
হৃদয়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সুযোগ?
এশিয়া কাপেও ৮২ ও ৫৪ রানের দুটি ইনিংস খেলেছিলেন। তবে এরপর থেকে বড় স্কোরের দেখা পাননি তাওহিদ হৃদয়। যদিও তাঁর ব্যাটিং পজিশন ঠিক থাকেনি। চারে খেলেছেন, পাঁচে খেলেছেন, সাতে খেলেছেন। মূলত মেহেদী হাসান মিরাজ ওপরের দিকে খেলাতেই পজিশন বদলে গেছে তাঁর। আজ যখন নেমেছেন, তখন দলের নাগালে জয় নেই—এমন বলাই যায়।
কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিছু রান আত্মবিশ্বাসটা ফিরিয়ে দিতে পারে হৃদয়কে। আপাতত প্রথম ২০ বলে তিনি করেছেন ৯ রান।
রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন হৃদয়
আদিল রশিদের বলে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আহসান রাজা। তবে রিভিউ নেন হৃদয়। আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে, প্যাডের আগে ব্যাটে লেগেছিল তাঁর। হৃদয় তাই বেঁচে গেছেন, ১২ রানে ব্যাটিংয়ের সময়।
২৮ ওভারে ১৪৮/৫।
মুশফিকের ফিফটি
লিটনের পর এবার ফিফটি পেলেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের ৪৭তম ফিফটিটি পেতে তাঁর লেগেছে ৬১ বল। ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে ব্যক্তিগত অর্জন প্রাপ্তিরই উপলক্ষ এমন। কারণ, ২০ ওভারে প্রয়োজন ২০৫ রান। বাকি ৫ উইকেট।
ফিফটির পরই মুশফিকের বিদায়
শটে টাইমিং হয়েছে ভালো। তবে সেটি সরাসরি গেছে ডিপ থার্ডে থাকা আদিল রশিদের হাতে। রিস টপলির শর্ট বলে আপার কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে থামলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদশের পরাজয় বেশ কিছুক্ষণ ধরেই সময়ের অপেক্ষা। হয়ত সেই অপেক্ষা কমল আরেকটু।
টপলি পেলেন তাঁর চতুর্থ উইকেট।
তখন রুট (এবং বেয়ারস্টো), এখন হৃদয়
কোনো কারণে প্রস্তুত নন বলে সরে যাওয়া। ব্যাটসম্যানদের সে অধিকার আছে।
আগের ইনিংসে জনি বেয়ারস্টো করেছিলেন এমন। করেছিলেন জো রুটও। তবে রুটের এমন করার কারণে চোটের শঙ্কাতেই পড়ে গিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এবার সরে দাঁড়ালেন তাওহিদ হৃদয়। অবশ্য মোস্তাফিজের মতো আটকে যাননি রিস টপলি। ঠিকই বল করেছেন। যেটি শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই ডেড ঘোষণা করেছেন আম্পায়ার।
ধর্মশালার ম্যাচও প্রায় ‘ডেড’। এখন বাকি আনুষ্ঠানিকতায়। ১৭ ওভারে বাংলাদেশের দরকার, অনেক দরকার আসলে। তবে উইকেট আছে ৪টি।
টপলির শেষ
প্রথম বাঁহাতি ইংলিশ পেসার হিসেবে বিশ্বকাপে ৫ উইকেট পাওয়া হলো না রিস টপলির। এ ক্ষেত্রে অ্যালান মুলালির সেরা বোলিংয়ের (৪/৩৭) ফিগারকেও ছাড়াতে পারলেন না। তবে বাংলাদেশের যা ক্ষতি, আজ ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা এ বাঁহাতিই করেছেন।
ধর্মশালা
আউটফিল্ড নিয়ে যতই কথা হোক, ধর্মশালার এ সৌন্দর্য কখনো একঘেয়ে লাগার কথা নয়। অবশ্য এ মাঠে আজকের ম্যাচে এখন যা লড়াই হচ্ছে, তাতে খুব একটা রোমাঞ্চ নেই। তবে হৃদয় এগোচ্ছেন ফিফটির পথে, যেটি পেলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে তাঁর।
একটু আগে জীবন পেয়েছেন মেহেদী হাসান। আদিল রশিদের বলে মিড অনে তাঁর ক্যাচ ছেড়েছেন রিস টপলি। ৭ রানে ব্যাটিং করছিলেন তিনি।
ফিফটির আগে হৃদয়ের বিদায়
ফিফটিটা পেলেন না হৃদয়।
৪০তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেই তাঁকে ফেরালেন লিয়াম লিভিংস্টোন। সামনে ডানহাতি বলে লেগ স্পিন করেছেন লিভিংস্টোন। ড্রিফটের পর হালকা টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল, তাতে খোঁচা মেরেছেন হৃদয়। ৬১ বলে ৩৯ রান তাঁর।
অবশেষে রশিদের উইকেট
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেটশূন্য ছিলেন। আজ নিজের নবম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পেলেন আদিল রশিদ। তাঁর গুগলি একেবারেই বুঝতে পারেননি মেহেদী হাসান। মিস করে বোল্ড। বাংলাদেশের বাকি ২ উইকেট।
অলআউট হবে বাংলাদেশ?
যদি এখনো এ ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ থেকে থাকে (এবং আপনি এ লাইভ থ্রেডে থাকেন), তাহলে ভোট দিতেই পারেন।
শরীফুল ব উড
মার্ক উডের ঘণ্টায় ৯১ মাইল গতির বল। সেটি জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন শরীফুল। যা হওয়ার তাই হয়েছে এরপর—বোল্ড। বাংলাদেশের বাকি ১ উইকেট।
শেষ করলেন উড
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নতুন বলে আসতে হয়েছিল। আজ এসেছেন প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হয়ে যাওয়ার পরই। গতির আগুন ঝরিয়েছেন ইংল্যান্ডের এক্সপ্রেস বোলার।
১৩৭ রানে হার বাংলাদেশের
স্টাম্পে লেগেছিল আগের বলেই। তবে বেলস পরেনি। ঠিক পরের বলেই ছত্রখান হয়ে গেছে তাসকিন আহমেদের স্টাম্প। বোলার স্যাম কারেন। বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ১০ বল বাকি থাকতে। হারের ব্যবধান ১৩৭ রান।
৩৬৫ রানের লক্ষ্য ছিল। ফলে পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেছিল বাংলাদেশ। রিস টপলির শুরুর আঘাতে এরপর বলতে গেলে ছিটকেই গেছে লড়াই থেকে। লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিও তাতে পার্থক্য গড়তে পারেনি।
বোলিংয়ে শেষ ১০ ওভারে বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে এক সময় হাতছানি দিচ্ছিল ৪০০-পেরোনো স্কোর। সেটি হতে দেয়নি বাংলাদেশ। শরীফুল, মেহেদীর বোলিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হিসেবে যোগ হতে পারে সেটিও।
ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এবার ইংল্যান্ডের কাছে উড়ে গেল বাংলাদেশ। পাহাড়ঘেঁষা সৌন্দর্যের এ ভেন্যু তাই বাংলাদেশের জন্য হয়ে থাকছে মিশ্র অভিজ্ঞতা হিসেবে।
অন্যদিকে আহমেদাবাদে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে উড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়াল দারুণভাবে। সে ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের তেমন কোনো ছাপ ছিল না। আজ সেটির উত্তাপ ভালোভাবেই এসে লেগেছে বাংলাদেশের গায়ে।
দুই দলই নেমেছিল একটি করে পরিবর্তন নিয়ে। মেহেদী হাসান বোলিংয়ে শেষদিকে ভালো অবদান রেখেছেন। তবে রিস টপলির শুরুর অবদানে ম্লান হয়ে গেছে তা।
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে রানরেটে অনেক পিছিয়ে পড়া ইংল্যান্ড সেটি পুষিয়ে দিল অনেকটাই। অন্যদিকে বড় ধাক্কা বাংলাদেশের।