কলম্বো টেস্ট: শুধু ইনিংস হারটাই এড়াতে পেরেছে আফগানিস্তান
আগের দিন দুই জাদরান—ইব্রাহিম ও নুর আলীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর যে বার্তা দিয়েছিল আফগানিস্তান, চতুর্থ দিনে দেখা গেল না তেমন কিছুই।
৯৩ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ তিন শ ছোঁয়ার আগেই। তাতে প্রাপ্তি শুধু শ্রীলঙ্কাকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পারা। ৫৬ রানের যে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা দুই দলের মধ্যে একমাত্র টেস্টটি জিতে গেছে কোনো উইকেট না হারিয়েই।
১ উইকেটে ১৯৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা আফগানিস্তান সপ্তম ওভারেই হারায় রহমত শাহর উইকেট। কাসুন রাজিতার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়া রহমত আগের দিনের ৪৬ রানের সঙ্গে মাত্র ৮ রান যোগ করতে পারেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আগের দিনের আরেক অপরাজিত ইব্রাহিমও। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পাওয়া এই ওপেনার আজ ১৩ রান যোগ করে ফেরেন প্রবাত জয়াসুরিয়ার বাঁহাতি স্পিনে বোল্ড হয়ে।
জয়াসুরিয়া এরপর একে একে তুলে নেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদি, কাইস আহমেদ, জিয়া–উর–রেহমান ও নাভিদ জাদরানের উইকেটও। পাঁচে নামা নাসির জামাল এক প্রান্ত আগলে রাখলেও সঙ্গী হিসেবে দীর্ঘমেয়াদে পাননি কাউকেই। শেষ পর্যন্ত ৮২ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রানেই থেমে যায় আফগানিসতানের দ্বিতীয় ইনিংস।
১০৭ রানে ৫ উইকেট নেন জয়াসুরিয়া। ৩২ বছর বয়সী এই স্পিনার সপ্তমবারের মতো নিয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট। ডানহাতি পেসার আসিতা ফার্নান্দো নেন ৩ উইকেট।
স্বল্প রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৭.২ ওভারেই। দিমুথ করুনারত্নে ৩২ আর দিলশান মাদুশকা ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৯৮ ও ১১২.৩ ওভারে ২৯৬ (ইব্রাহিম ১১৪, নুর ৪৭, রহমত ৫৪, হাসমতউল্লাহ ১৮, জামাল ৪১*, আলিখিল ১, কাইস ১, জিয়াউর ০, নাভিদ ৪, নিজাত ০, সালিম ২; বিশ্ব ০/৩৭, আসিতা ৩/৬৩, রাজিতা ২/৫৯, জয়াসুরিয়া ৫/১০৭, ধনাঞ্জয়া ০/২৩)।
শ্রীলঙ্কা: ৪৩৯ ও ৭.২ ওভারে ৫৬/০ (করুনারত্নে ৩২*, মাদুশকা ২২*; জিয়াউর ০/১২, নাভিদ ০/৩০, নিজাত ০/৫, কাইস ০/৮)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে জয়ী।