ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
রূপগঞ্জের নায়ক মজিদ, গুলশানের জয় লোয়ার অর্ডারের ঝড়ে
লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় দারুণ জয় গুলশানের। ৬ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে এসেছে তারা। সেঞ্চুরি করে পারটেক্সকে জিতিয়েছেন আব্দুল মাজিদ। শাইনপুকুরের রায়ান রাফসানের সেঞ্চুরিটা অবশ্য দলকে জেতাতে পারেনি।
শেষ বলের চার ও সেঞ্চুরিতে নায়ক মজিদ
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ। শেষ বলের নাটকীয়তার ম্যাচে রূপগঞ্জের হয়ে সেঞ্চুরি করে নায়ক আব্দুল মাজিদ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২২৩ রান করে পারটেক্স।
রান তাড়া করতে নেমে ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। এরপর ১০৭ রানের জুটি গড়েন আব্দুল মাজিদ ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। ৮০ বলে ৫০ রান করে গালিব আউট হওয়ার পর হঠাৎ ধস নামে রূপগঞ্জের ইনিংসে, ১২৬ থেকে ১৬৫ পর্যন্ত যেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
কিন্তু একপ্রান্ত আগলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেন মজিদ। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩ রান, চার মেরে রূপগঞ্জকে দারুণ এক জয় এনে দেন মজিদ। এর আগে পারটেক্সকে অলআউট করার পথে ৩ উইকেট করে নেন মাহমুদুল হাসান ও আল আমিন জুনিয়র। পারটেক্সের হয়ে জয়রাজ শেখ ৭১ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন।
জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব
বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৪৬ রানে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান তোলে অগ্রণী ব্যাংক। ৮৫ বল খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলাম থামেন ৬৬ বলে ৫৩ রান করে।
রান তাড়া করতে নেমে শাইনপুকুরের হয়ে একাই লড়েছেন রায়ান রাফসান রহমান। শেষের দিকে অবশ্য সঙ্গী হিসেবে পান মিনহাজুল আবেদীনকে। ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দুজন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১৪৫ রানের জুটি।
কিন্তু ম্যাচটা জেতা হয়নি তাদের। রাফসান ১৩০ বলে অপরাজিত ১০৬ ও মিনহাজুল ৬১ বলে অপরাজিত ৫১ রান করলেও শাইনপুকুর পুরো ৫০ ওভার খেলে থেমে যায় ৫ উইকেটে ২৪৮ রান করে।
বড় রান তাড়া করে জয় গুলশানের
মিরপুরে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২৯১ রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটে জয় পেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দলটির হয়ে ৭৫ বলে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন বিশাল চৌধুরী। ৬১ বলে ৬৫ রান আসে আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে, ৫৬ বলে ৫০ রান করেন মিজানুর রহমানও।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে জিতিয়েছেন মূলত মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ছয়ে নামা নাঈম ইসলাম করেন ৬০ বলে ৫০ ও সাতে নামা ইলিয়াস সানি ৬২ বলে ৫৩। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আটে নামা ফরহাদ রেজা। ১৮ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তাঁকে ভালো সঙ্গ দেন মেহেদী হাসান। ৯ বল হারে রেখেই ম্যাচ জিতে গুলশান।