বাবর বোঝেন না, তাঁর স্ট্রাইক নিয়ে মানুষের এত সমস্যা কেন
বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট টি-টোয়েন্টির সঙ্গে যায় না—এমন অভিযোগ শোনা যায় প্রায়ই। নান্দনিক ব্যাটিংয়ের জন্য প্রশংসিত হলেও বাবরকে তাই সমালোচনার শিকারও হতে হয়। এবার স্ট্রাইক রেট নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাবর। বলেছেন, দলের জয় নিশ্চিত করাই তাঁর মূল লক্ষ্য, স্ট্রাইক রেট নয়।
কতটা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করবেন, সেটা ম্যাচ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বলে মত তাঁর। জালমি টিভির এক পডকাস্টে এসব কথা বলেন বাবর।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২৯০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১২৯.৩২ স্ট্রাইকে রেটে রান তোলা বাবর বলেন, ইনিংসের শুরুতেই উইকেট পড়ে গেলে মেরে খেলা কঠিন, ‘আমি শুধু দলের জয়ের কথাই ভাবি। কীভাবে ইনিংসটাকে গড়ে তুললাম, সেটা ভাবি। স্ট্রাইক রেট ব্যাপারটা আসলে ভিন্ন গল্প। ইনিংস গড়া আর ম্যাচ জেতানো আলাদা দুটি বিষয়। ম্যাচ জিতলে দুটিই হয়ে যায়। কীভাবে প্রথম ছয় ওভার খেললেন, পরের ওভারগুলোতে কী করলেন—এগুলো একটার পর একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমি ক্রিকেট খেলতে জানি। আমি জানি, বাড়তি কী যোগ করতে হবে, স্টাইলে কী সংযোজন করতে হবে। এখানে পরিস্থিতিটাই আসল। সেটা অনুকূলে থাকলে তো আমি মুক্তভাবেই খেলব।’
বাবরের মতে ম্যাচ পরিস্থিতিই যেহেতু খেলার ধরন ঠিক করে দেয়, স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তোলার মানে হয় না। আর যত বেশি স্ট্রাইক রেটেই তিনি ব্যাট করুন না কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই, ‘হাতে উইকেট থাকলে ২০০ স্ট্রাইক রেটেও খেলা যায়। আমি বুঝি না, আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে মানুষের কেন এত সমস্যা। তারা বলবে ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা উচিত। তারপর বলবে ১৭০। এরপর আমি যদি ১৭০-এ ব্যাট করি, বলবে ২০০ স্ট্রাইক রেটে খেলা উচিত। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজস্ব স্টাইল আছে। আমি নিজেকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ করি না।’
গত মাসে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে নভেম্বরে তিন সংস্করণ থেকে নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর। ভারতে হওয়া বিশ্বকাপে পাকিস্তান সেমিফাইনালেও উঠতে ব্যর্থ হলে অনেকটা বাধ্য হয়ে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের কাছে হারের বিষয়টি তুলে আনেন বাবর, ‘আফগানিস্তানের কাছে হারের পর আমরা খুবই হতাশ ছিলাম। সে রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি।’