ওভাল টেস্ট বাতিল হলে ৩৭ কোটি টাকা লোকসান হতো

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ওভালে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়নিছবি: টুইটার

ওভালে ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। শুরু বলতে শুধু টস। এরপর বৃষ্টির কারণে আর মাঠেই নামতে পারেননি দুই দলের ক্রিকেটাররা। সেদিন বিকালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয় দ্বিতীয় দিনের খেলাও।

যুক্তরাজ্যের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) নেয় আরও বড় সিদ্ধান্ত। স্থগিত করা হয় এ সপ্তাহের সব ম্যাচ। ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, রানির মৃত্যুতে শোকের মুহূর্তে ইসিবি (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) কেন ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ বাতিল করল না?

উত্তরটা আর্থিক লাভ–ক্ষতির। ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টটি বাতিল করলে ৩৩ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ কোটি টাকা) লোকসান হতো ইসিবির। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ওভালের ম্যাচটি ইনস্যুরেন্সের আওতায় না থাকায় বড় অংকের আর্থিক ক্ষতি হতো ইসিবি ও ভেন্যু কর্তৃপক্ষ সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের।

আগের দুই ম্যাচে ১–১ সমতা থাকায় ওভালেই মীমাংসা হবে সিরিজের। ম্যাচটি দেখার জন্য যেসব দর্শক টিকিট কেটে রেখেছেন, তাঁদের টাকা ফেরত তো দিতে হতোই, হসপিটালিটি ও খাবারদাবার খাতেও বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হতো। ওভালের একটি টেস্ট ম্যাচে প্রায় ১৩ লাখ পাউন্ডের টিকিট বিক্রি হয়ে থাকে। হসপিটালিটি থেকে আয় আসে ১০ লাখ পাউন্ড।

এ ছাড়া প্রতিদিন খাবারদাবার ও পানাহারে বিক্রি হয় পাঁচ লাখ পাউন্ড। সব মিলিয়ে বাকি থাকা তিন দিনের খেলা বাতিল হলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াত ৩৩ লাখ পাউন্ডের কাছাকাছি।

তবে রানির মৃত্যুতে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে খেলা বন্ধের কোনো নির্দেশনা না থাকায় ইসিবি আর লোকসানের পথে হাঁটেনি। ওভাল টেস্টের প্রথম দুই দিনই যেহেতু খেলা হয়নি, ইসিবি চেয়েছিল আইসিসিকে বলে টেস্টের মেয়াদ এক দিন বাড়িয়ে নিতে।

কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড এতে রাজি হয়নি। সূচি অনুযায়ী সোমবার টেস্ট শেষ হবে ধরে নিয়ে মঙ্গলবার দেশে ফেরার টিকিট কেটে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। খেলার জন্য বাড়তি এক দিন না পাওয়া গেলেও এখন অন্তত ৩৭ কোটি টাকা ক্ষতি থেকে বেঁচে যাচ্ছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।