শরীফুলের স্বপ্নের উইকেট বাবর আজম
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি শরীফুল ইসলাম। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোটে পড়া শরীফুল সুস্থ হয়ে উঠলেও শেষদিকে তাকে একাদশে বিবেচনা করা হয়নি।
আর বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে গত মার্চ-এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও আবার ছিলেন না শরীফুল। এখন এ বাঁহাতি পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায়, সেটিও টেস্ট সংস্করণ দিয়েই। সেই ফেরার আগে নিজেকে প্রস্তুতই মনে হচ্ছে ২৩ বছর বয়সীর।
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে পাওয়া আমন্ত্রণে নির্ধারিত সময়ের আগেই পাকিস্তান গেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম টেস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে হলেও বাংলাদেশ দল গিয়েছিল লাহোরে, সেখানকার অনুশীলন পর্ব শেষ হয়েছে আজ। ২১ আগস্ট শুরু রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে আগামীকাল ইসলামাবাদ যাবে বাংলাদেশ দল।
এর আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে লাহোর পর্বের প্রস্তুতি নিয়ে শরীফুল বললেন, ‘পিসিবিকে ধন্যবাদ। আমাদের জন্য দারুণ অনুশীলন সুবিধা রেখেছে। আমি এখানে উপভোগ করেছি। কিছুটা গরম, মানিয়ে নিতে হয়েছে (হাসি)। ইসলামাবাদেও গরম, তো... (হাসি)।’
বিশ্বকাপ খেলা না হলেও শরীফুল ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের পর খেলেছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। বেশ কিছুদিন পর দীর্ঘ সংস্করণের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে শরীফুলকে খুশিই মনে হলো, ‘অনেক দিন পর লাল বলের ক্রিকেটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মানিয়ে নিতে হয়েছে। আমরা কিছু দিন সময় পেয়েছি। ফিটনেস ও বোলিং ওয়ার্কলোড নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। আমি মনে করি, সব কিছু প্রায় কাভার হয়ে গেছে।’
রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে ঘাস থাকছে, এমন আলোচনা কদিন ধরেই হচ্ছে। এর আগে বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে চার পেসার খেলানোর সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। শরীফুলও তাতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি, ‘প্রথমত, আমি এখনো রাওয়ালপিন্ডির উইকেট দেখিনি। আমি শুনেছি, ফাস্ট বোলারদের জন্য কিছু ঘাস রাখা হচ্ছে। আমরাও উইকেটে ঘাসের প্রত্যাশা করছি। সব ফাস্ট বোলারই উইকেটে ঘাস ও সিম মুভমেন্ট পছন্দ করে। তো এটি ফাস্ট বোলারদের জন্য ভালো।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে পাকিস্তানে শরীফুল খেলেছেন দুটি ম্যাচ—২০২৩ সালের এশিয়া কাপে। সব মিলিয়ে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি চ্যালেঞ্জও দেখছেন তিনি। পাশাপাশি পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপকে সামলানোর চ্যালেঞ্জের কথাও বলেছেন, ‘তারা (বাবর, শান) বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। আমাদের বোলিং আক্রমণও ভালো। তাদের বিপক্ষে লড়তে হবে। এ ছাড়া তাদের ঘরের মাঠের খেলা। তাই আমাদের কাজটা কঠিন। আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের লড়তে হবে।’
শরীফুল জানিয়েছেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত উইকেটের কথাও। অনুমিতভাবেই সেটি বাবর আজম। স্বীকৃত ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত বাবরের বিপক্ষে ৪ ইনিংস বোলিং করলেও তাঁকে আউট করতে পারেননি। এবার সেটি করতে চান, ‘আমার মতে, বাবর আজম কঠিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য। তাই দ্রুত তার উইকেট নিতে হবে। আমার স্বপ্নের উইকেট বাবর আজম। বাবর আজম ভাইয়ের উইকেট পেলে আমার খুব ভালো লাগবে। গত বছর তাঁর সঙ্গে এলপিএল খেলেছি৷ মানুষ হিসেবেও তিনি খুব ভালো।’