ওভারপ্রতি রান ৯.০২—এমন বিপিএল আগে দেখা যায়নি
টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের খেলা। দর্শক মাঠে যান কিংবা টেলিভিশনের সামনে বসেন চার-ছক্কা দেখতেই। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সেই সেই দর্শক-আগ্রহ মেটাচ্ছে দারুণভাবেই। ঢাকার পর সিলেট—প্রথম ২০ ম্যাচে রানবন্যাই দেখেছে বিপিএল, এটা বলাই যায়।
পরিসংখ্যানও সাক্ষ্য দিচ্ছে, রানপ্রসবা বিপিএলই হচ্ছে এবার। চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে এবারের বিপিএলে ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৯.০২ করে। বিপিএলের ইতিহাসে এর আগে একবারই ওভারপ্রতি ৮-এর বেশি রান দেখেছে। সেটি ২০১৯-২০ মৌসুমে। ওই মৌসুমে ওভারপ্রতি রান উঠেছিল ৮.২৪ করে।
এবার বেশি রান হওয়ার পেছনে ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট একটা কারণ। আরেকটি বড় কারণ বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য কমিয়ে ফেলা। তামিম ইকবাল তো সিলেটে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে বরিশালে হয়ে ৪৮ বলে ৮৬ রান করার পর বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য বাড়ানোর অনুরোধও করেন।
উইকেট, বাউন্ডারি আর বাজে বোলিং মিলিয়েই রানবন্যা। আর সেই রানের সেই উৎসবটা সিলেটে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি করেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসানের সেঞ্চুরিতে ২৫৪ করে ঢাকা। বিপিএলের ইতিহাসে ২৫০ রানের দলীয় ইনিংস ওই একটিই।
ঢাকা ও সিলেটে হওয়া রান-উৎসব চট্টগ্রামেও চলার কথা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম তো আগেই থেকে ব্যাটিং-স্বর্গ। বাংলাদেশের ভেন্যুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান ওঠে ওই মাঠেই। এবারও নিশ্চিত সে ধারাই বজায় থাকবে।
বিপিএলে সর্বোচ্চ ওভারপ্রতি রান
এবার বিপিএলে যদি শেষ পর্যন্ত ওভারপ্রতি রানটা ৯-এর ওপরে থাকে, তবে সেটি আরেকটি কারণেও বড় ঘটনা হবে। কমপক্ষে ২০ ম্যাচের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ৯-এর ওপরে ওভারপ্রতি রান ওঠার ঘটনা মাত্র চারটি।
আইপিএলের সর্বশেষ মৌসুমে ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৯.৫৬। এক টুর্নামেন্টে ওভারপ্রতি রানের রেকর্ড এটিই। ২০২৪ মৌসুমে আইপিএলে ম্যাচ ছিল ৭২টি। এরপরই আছে ২০২৩ সালের পিএসএল। ৩৪ ম্যাচের সেই টুর্নামেন্টে ওভারপ্রতি রান উঠেছিল ৯.২০।
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ওভারপ্রতি সর্বোচ্চ রান
(কমপক্ষে ২০ ম্যাচ)