কীভাবে এত জোরে বল করেন, রহস্য জানালেন নাহিদ রানা
তাঁর বলের গতি লম্বা সময় ধরেই আলোচনায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে উঠে জাতীয় দলে পৌঁছেছেন—এখন নাহিদ রানা প্রথমবারের মতো খেলতে গেছেন আইসিসির টুর্নামেন্টে। সব জায়গায়ই আকর্ষণের কেন্দ্রে নাহিদ ও তাঁর বলের গতি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে আজ বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের কাছে নাহিদকে নিয়ে অনেক কিছুই জানতে চেয়েছেন ভারতীয় সাংবাদিকেরা। বাংলাদেশের কোনো বোলার ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করছেন, তা নিয়ে আগ্রহ থাকারই কথা।
এ বিষয়ে রানার কাছে জানতে চেয়েছে আইসিসিও। প্রথমবার কোনো বৈশ্বিক আসরে খেলতে যাওয়া রানা গতি তোলার পেছনের রহস্য জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি মাঠে ও মাঠের বাইরে প্রতিদিনই শিখছি। ফিটনেস, শরীর, ডায়েট কীভাবে ঠিক রাখতে হয়—পরিকল্পনা বুঝে তা বাস্তবায়ন, কোচ ও অভিজ্ঞদের কাছ থেকে শেখা...সবই। শরীরের দিকে খেয়াল রাখা ও ফিট থাকাই জোরে বল করার মূল রহস্য।’
গতির কারণে আলোচনায় আসা রানার ওপর প্রত্যাশা দিনে দিনে বেড়েছে। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তাঁর প্রতি অনুমিতভাবেই চোখ থাকবে। তাঁর ওপর থাকা প্রত্যাশার কথা জানেন রানাও, ‘যদি ভালো অনুভব করি, আমি জানি গতিও ঠিক থাকবে। দল চায় আমি জোরে বল করি। তারা আমাকে আক্রমণাত্মক মাধ্যম হিসেবে দেখে। আমিও চেষ্টা করি শক্তির জায়গায় নজর রেখে ও স্থির থেকে তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে।’
বাকি সবার মতো প্রথমবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়া রানার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলার এখনো এক বছরও পেরোয়নি। এর মধ্যে সাদা পোশাকের ক্রিকেটেই দেখা গেছে বেশি। ৬ টেস্টের পাশাপাশি আছে ২১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। তবে ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র তিনটি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা কাজে এসেছে বলেও জানিয়েছেন নাহিদ, ‘বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলতে পারাটা অনুপ্রেরণার সর্বোচ্চ ধাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রতিটি মুহূর্তই আমি উপভোগ করছি। সবকিছু দ্রুত ঘটে যাচ্ছে, তবে আমি সবকিছুর জন্যই কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। কিন্তু আমি সৌভাগ্যবান যে অভিষেকের আগেই ভালো পরিমাণের প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি। আমার মনে হয় এটাই ভালো বিষয়, সব ধরনের পরিস্থিতি ও কন্ডিশনের মুখোমুখি হয়ে এসেছি। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট একদমই আলাদা।’
গতির আলোচনা কেমন লাগে বিষয়ে রানার উত্তর, ‘আমার মনোযোগটা থাকবে ছন্দ ঠিক রেখে বল ছাড়ার দিকে। কিন্তু একই সঙ্গে, যখন আপনি দেখেন বা শুনেন যে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করছেন, ভালোই লাগে।’