বুমরার সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার যত কীর্তি
শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর পার্থে, শেষ হলো ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি সিডনিতে। প্রায় দেড় মাসের এই সময়ে অস্ট্রেলিয়া-ভারত মুখোমুখি হয়েছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পাঁচ টেস্টের লড়াইয়ে। রোমাঞ্চকর সব মুহূর্ত উপহার দেওয়া এই সিরিজ শেষে বড় হয়ে উঠেছে কিছু সংখ্যাও। সে সবই দেখে নেওয়া যায় এক ঝলকে।
এবারের আগে অস্ট্রেলিয়া বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতকে হারিয়েছে ১০ বছর আগে, ২০১৪-১৫ মৌসুমে। সেবার ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জেতার পর টানা চার সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া।
টেস্ট খেলুড়ে (নবীনতম আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড ছাড়া, এই দুই দলের বিপক্ষে খেলেনি) সব দলের বিপক্ষে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জয়ী দল এখন অস্ট্রেলিয়া। এর আগেও দুবার এমন কীর্তি গড়েছিল দলটি। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর কোনো দলের ৩ দফায় সব দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের কীর্তি নেই।
প্রথমবার ২০০৪-০৫ মৌসুমে, যা ২০০৫ সালের অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার আগপর্যন্ত টিকেছিল। পরের অ্যাশেজ জিতে কীর্তিটি পুনরুদ্ধার করে রিকি পন্টিংয়ের দল, যা টিকেছিল ২০০৮-০৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারা পর্যন্ত। টেস্ট খেলুড়ে বাকি ৯ দলের বিপক্ষেই সর্বশেষ সিরিজে জয় আছে-এমন কীর্তি ভারতের আছে দুবার, দক্ষিণ আফ্রিকার একবার।
পার্থে প্রথম টেস্টে হেরেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়া শেষবার ০-১ ব্যবধানে পিছিয়েও সিরিজ জিতেছে ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩-২ ব্যবধানে জেতা সিরিজটি ছিল ৬ টেস্টের।
স্টিভেন স্মিথ দশ হাজার রান থেকে এক রান দূরে আউট হয়েছেন। টেস্ট ইতিহাসে ৯৯৯৯ রানে আউট হওয়ার ঘটনা আর একটিই আছে-২০১১ সালে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনের।
এবারের বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে ৭ বারই দুই শর কমে অলআউট হয়েছে ভারত। চলতি শতাব্দীতে এক সিরিজে কোনো দলের এত বেশি দুই শর কমে অলআউট ঘটনা আর একটিই আছে; ২০০০-০১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানের পর অস্ট্রেলিয়ায় ৩-১; টানা দুটি সিরিজে ৩ টেস্টে হার ভারতের। ভারত টানা দুটি সিরিজে ৩টি করে টেস্টে হেরেছে এর আগে মাত্র একবার। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ইংল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে আর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ৩-২ ব্যবধানে।
ভারতীয় পেসারদের মধ্যে এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটে যশপ্রীত বুমরা ও কপিল দেব এখন এক কাতারে। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন কপিল। এ ছাড়া ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সব ধরনের বোলার মিলিয়েই ৩২ উইকেট যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
২০০১ সালে ভারতে তিন টেস্টে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন হরভজন সিং। দেশের বাইরে এক সিরিজে ভারতীয় বোলারদের সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড অবশ্য এটাই। পেছনে পড়লেন ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়াতেই ৩১ উইকেট নেওয়া বিষাণ সিং বেদি।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে সর্বোচ্চ ৩২ উইকেট নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা, ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মোহাম্মদ সিরাজের ২০। দলের অন্য বোলারদের সঙ্গে বুমরার বোলিং গড়ের পার্থক্য ২১.৭৬!