শেষ দিনে মাঠে নামার আগে আলোচনায় ১৮ বছর আগের সেই ম্যাচ
এজবাস্টনে শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষা। অ্যাশেজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ১৭৪ রান, ইংল্যান্ডের চাই ৭ উইকেট। ২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে।
শেষ দিনে মাঠে নামার আগে ইংলিশদের অনুপ্রেরণা ১৮ বছর আগের অ্যাশেজে এই মাঠেই পাওয়া ২ রানের জয়। স্টিভ স্মিথের উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দেওয়া ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড জানিয়েছেন, ২০০৫ সালের অ্যাশেজ পুরো দলেরই অনুপ্রেরণাই উৎস।
ঐতিহাসিক সেই অ্যাশেজের শেষ ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৮ বছর আগে এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়াকে ২৮২ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এবার লক্ষ্যটা ১ রান কম।
রান তাড়ায় গতকাল অস্ট্রেলিয়া বেশ ভালোই শুরু করে। দুই ওপেনার উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নার গড়েন ৬১ রানের জুটি। তবে এরপরও প্যাট কামিন্সের দল পঞ্চম দিনে খানিকটা পিছিয়ে আছে মারনাস লাবুশেন ও স্টিভ স্মিথের উইকেট হারিয়ে। বিশেষ করে দিনের একেবারে শেষ দিকে স্মিথের উইকেট নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড। সঙ্গে একই মাঠে একই ধরনের লক্ষ্য দিয়ে জয় পাওয়ার অতীত রেকর্ড তো আছেই।
গতকাল চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার ব্রড বলছেন, ‘সেই সিরিজ মনে করে পুরো দল অনুপ্রাণিত। এই সিরিজটা যদি সেই অ্যাশেজের মতো অর্ধেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণও হয়, তাহলে আমার মনে হয় আমরা পুরো জাতিকে রোমাঞ্চ উপহার দিতে পারব। কিন্তু আমি নিশ্চিত নই, এই ম্যাচটা আমরা ঠিক ২ রানে জিততে চাই কি না। আশা করছি, এই ম্যাচটা অতটা হাড্ডাহাড্ডি হবে না, পঞ্চম দিনের শুরুতেই কিছু উইকেট পেয়ে যাব। আর ওয়ার্নার, মারনাস, স্মিথের মতো বিশ্বমানের তিন ব্যাটসম্যানকে এরই মধ্যে আউট করতে পেরে আমরা খুশি। কিন্তু আমরা জানি, তাদের এখনো অনেক ভয়ংকর ক্রিকেটার আছে, তাই আমাদের সবকিছু ঠিকঠাক করতে হবে।’