চেন্নাইয়ের ৮ উইকেটে হারের ম্যাচে ৪৩ রানে ১ উইকেট মোস্তাফিজের
১৭৭ রানের লক্ষ্য, খুব বেশি বড় না হলেও কমও নয়। তবে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠ অটল বিহারি বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে এই রান হেসেখেলে তাড়া করেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডি ককের ফিফটিতে ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে লক্ষ্ণৌ। একটি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ।
মূলত লক্ষ্ণৌর দুই ওপেনারই ম্যাচের ভাগ্য লিখে ফেলেন। গড়েন ৯০ বলে ১৩৪ রানের জুটি। দীপক চাহার, মাতিশা পাতিরানা, রবীন্দ্র জাদেজারা কেউই উইকেট এনে দিতে পারেননি। দুই ওপেনারের মধ্যে আজ আক্রমণাত্মক ছিলেন রাহুলই।
৩১ বলে ফিফটি করেন তিনি। অন্যদিকে ডি কক ফিফটি করেন ৪১ বলে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে মোস্তাফিজ এসে ডি কককে আউট করলেও তা ম্যাচে কোনো প্রভাব ফেলেনি। তিন নম্বরে ক্রিজে এসে ১২ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচটি দ্রুতই শেষ করেন নিকোলাস পুরান। ৪ ওভার বল করে ৪৩ রান দিয়ে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ১ উইকেট। ৫৩ বলে ৮২ রান করে ম্যাচসেরা রাহুল। টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল লক্ষ্ণৌ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চেন্নাই সুপার কিংস শুরুতেই রাচিন রবীন্দ্রকে হারালেও শুরুটা ভালোই করে। চেন্নাইয়ের রানের চাকা সচল রাখেন অজিঙ্কা রাহানে। ৩ নম্বরে নেমে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় ১৩ বলে ১৭ রান করেন। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ৪ নম্বরে ক্রিজে আসেন রবীন্দ্র জাদেজা।
রাহানে–জাদেজা গড়েন ২৩ বলে ৩৫ রানের জুটি। ২৪ বলে ৩৬ রান করে আউট হন রাহানে। ফিফটি পান জাদেজা। তবে চেন্নাইয়ের রান ১৭৬ পর্যন্ত পৌঁছায় শেষ ৪ ওভারে ৬২ রান তোলার কারণে। আর সেটা মূলত ওঠে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে। জাদেজা ৪০ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৭৬/৬ (জাদেজা ৫৭*, মঈন ৩০, ধোনি ২৮*; ক্রুনাল ২/১৬)
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: ১৯ ওভারে ১৮০/২ (রাহুল ৮২, ডি কক ৫৪; পাতিরানা ১/২৯, মোস্তাফিজ ১/৪৩)
ফল: লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ৮ উইকেটে জয়ী