‘এটা তামিম ইকবাল একাদশ নয়, বাংলাদেশ দল’
সাকিব আল হাসান তো আছেনই। কে হবেন ইংল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার—তাইজুল ইসলাম নাকি নাসুম আহমেদ? ইংল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের দল ঘোষণার আগে এ নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল ভোট দিয়েছেন তাইজুলেই।
কিন্তু দুই বাঁহাতি স্পিনারের মধ্যে তাইজুলকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা যে তামিমের, সেটি কয়েকদিন আগে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান। নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠকের এই বিষয় সংবাদমাধ্যমে আসায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে এক প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘সিলেকশন মিটিংয়ে আমি অনেক কিছুতে একমত পোষণ করি, অসম্মত হই। নির্বাচকদের ক্ষেত্রেও সেটা হয়। কিন্তু আমরা একটা দল-আমি, প্রধান কোচ, নির্বাচক, সবাই। আমরা যদি ব্যর্থ হই, সবাই মিলে ব্যর্থ হই। সফল হলে সবাই মিলে সফল। ওখান থেকে কিছু বের হয়ে আসা হতাশাজনক।’
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে নাসুমই ছিলেন বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনারের ভূমিকায়। সেই সিরিজে তাইজুলের না থাকা অবাক করেছে তামিমকে, ‘এখানে যার কথা বলা হচ্ছে, আমি খুবই অবাক হয়েছি, সে ভারত সিরিজে না থাকায়। সে শেষ ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে আমার ভাবনা একদম সহজ। আমি সব সময় পারফরম্যান্সকে প্রাধান্য দেব। আমি এমন কাউকে নিচ্ছি না, যে পাঁচ ম্যাচ খেলে কোনো উইকেট পায়নি।’
তবে নাসুমকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও যে কঠিন ছিল, সেটাও পরিষ্কার করেছেন তামিম। তাঁর কথা, ‘এটাও বলছি, নাসুমও খুবই ভালো করছে। সে যে অল্প সুযোগ পেয়েছে ওয়ানডেতে, সেখানে সে খুবই ভালো করেছে। টি-টোয়েন্টিতে তো ভালো করছেই। সবারই একটা চিন্তাধারা থাকে যে কোন ধরনের বোলিং আক্রমণ আপনি চান। আমরা ভেবেছি তাইজুল আরেকটু ভালো হবে।’
দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দ নয়, পারফরম্যান্সকেই মানদণ্ড হিসেবে দেখেন তামিম। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি পারফরম্যান্সকে প্রাধান্য দেব। আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে পছন্দ না–ও করি, সে যদি পারফর্ম করে, তাহলে তাকেই সব সময় সমর্থন করব। এটাই আমার দায়িত্ব। আমি তামিম ইকবাল একাদশের অধিনায়ক হলে কাকে পছন্দ করি বা না করি, সেটা আলোচনায় আসত। আমি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এখানে এসব গুরুত্ব পাওয়ার কথা নয়। যে পারফর্ম করবে, সেই খেলবে।’