সেমিফাইনালের পিচ নিয়ে আফগানিস্তানের কোচ, ‘দুই দলের জন্য সমান সুবিধা থাকা উচিত ছিল’
সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস গড়েছিল আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে জিততে পারলে নিজেদেরই ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়ে ফেলত রশিদ খানের দল। কিন্তু তা হয়নি। প্রথমবারের মতো যেকোনো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার হাতছানি নিয়ে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের কাছে উড়ে গেছে আফগানরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আজ ৫৬ রানে অলআউট হয়ে ৯ উইকেটে হেরেছে আফগানিস্তান। তাদের ৫৬ রান দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে গেছে ৬৭ বল হাতে রেখেই। বড় স্বপ্ন নিয়ে খেলতে নেমে এভাবে উড়ে যাওয়ার পর দলটির কোচ জোনাথন ট্রট দুষলেন ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামের পিচকে। তাঁর মতে, সেমিফাইনালের মতো একটি ম্যাচের পিচ এমন হওয়া উচিত ছিল, যেখানে দুই দলের জন্যই সমান সুবিধা থাকে!
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের তোপে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৮ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লের পর আক্রমণে এসে আরেক ফাস্ট বোলার আনরিখ নর্কিয়া নেন ২ উইকেট। আর বাঁহাতি লেগ স্পিনার তাব্রেইজ শামসি ৩ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের ইনিংস পরিণত করেন ধ্বংসযজ্ঞে।
ম্যাচ শেষে ট্রট বলেছেন, ‘আমি নিজেকে সমস্যায় ফেলতে চাই না। আবার এটাও বলতে চাই না যে আঙুর ফল টক। কিন্তু বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো একটি ম্যাচে আপনি এমন পিচ চাইবেন না। পরিষ্কারভাবেই (পিচে) দুই দলের জন্য সমান সুবিধা থাকা উচিত ছিল।’
ট্রট এখানেই থামেননি। তিনি এরপর বলেছেন, ‘আমি এটা বলছি না যে কোনো স্পিন আর সিম মুভমেন্ট ছাড়া পিচ সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট হওয়া উচিত। কিন্তু এমন হওয়া উচিত নয় যে ব্যাটাররা ভয় পাবে এবং সামনে না এগিয়ে বল মাথার ওপর দিয়ে চলে যেতে দেবে...টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট রান তোলা আর উইকেট নেওয়ার মতো আক্রমণাত্মক (একটি সংস্করণ)। এটা টিকে থাকার লড়াই করার বিষয় নয়।’
পিচে দুই দলের জন্যই কিছু থাকা উচিত ছিল বলে মনে করা ট্রট, এরপর যোগ করেন, ‘প্রতিপক্ষ যদি ভালো বল করে এবং স্কিল ব্যবহার করে আপনাকে কঠিন অবস্থায় ফেলে, তাহলে তাদের বাহবা দিতেই হবে। তখন মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আসে। আমরা যদি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বোলিং করতে পারতাম, আপনারা তাহলে ভিন্ন এক দ্বিতায়ার্ধ দেখতে পেতেন।’
এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের আঁটসাঁট সূচি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ট্রট, ‘আমরা (ম্যাচ খেলার পর) রাত তিনটায় হোটেলে ফিরেছি, এরপর সকাল আটটায় আবার হোটেল ছাড়তে হয়েছে—মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যাবধান। তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে না পারায় বেচারা খেলোয়াড়েরা শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে অনেক ক্লান্ত ছিল।’