বিসিবির সভা আজ, মাঠের ক্রিকেটেই দৃষ্টি
ফারুক আহমেদ সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা বসতে যাচ্ছে আজ। স্বাভাবিকভাবেই এ সভা নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল। বিসিবির আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ পরিচালকদের অনেকে আড়ালে চলে যাওয়ায় স্থায়ী কমিটিগুলো পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা সভায়। হবে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত। মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে সভা শুরু হবে বেলা তিনটায়।
বিসিবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটির প্রধানই এখন দৃশ্যপটে নেই। সক্রিয় পরিচালকদের মধ্য থেকে সেসব কমিটিতে নতুন প্রধান আসবেন। পরিচালক–সংকটের কারণে অনেককেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে একাধিক কমিটির। বিসিবির এক পরিচালক বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা সংখ্যায় কম, নিজেদের মধ্যেই ভাগাভাগি করে কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে একেকজনকে একাধিক বিভাগের দায়িত্বও নিতে হতে পারে।’ তবে আজকের সভায় মূলত এ নিয়ে আলোচনাই হবে। সব কমিটি আজ পুনর্গঠন না–ও হতে পারে।
সরকার পরিবর্তনের পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে আংশিক পরিবর্তন এলেও সামনে আরও পরিবর্তন আসন্ন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক পরিচালকই হয়তো আজকের সভায় যোগ দেবেন না। ২১ আগস্ট হওয়া সর্বশেষ বোর্ড সভায়ও ছিলেন না অনেকে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো পরিচালক পরপর তিনটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকলে তাঁর পদ শূন্য হয়ে যায়। তখন ওই নির্দিষ্ট শ্রেণিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পরিচালক আনার নিয়ম। আজকের সভাটি সে পথে আরেকটু এগিয়ে দিতে পারে ফারুক আহমেদের বোর্ডকে।
পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ নিয়েও আলোচনা হবে। নির্মাণকাজের জন্য নাজমুল হাসানের বোর্ডের আহ্বান করা দরপত্র গ্রহণের শেষ দিন আগামীকাল। জানা গেছে, আজকের সভায় বাতিল হয়ে যেতে পারে দরপত্র গ্রহণপ্রক্রিয়াই। স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ বিসিবির অর্থায়নে করার কথা থাকলেও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও সম্পৃক্ত করতে পারে। অবশ্য স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ আপাতত স্থগিত থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার উপযোগী করা হবে পূর্বাচলের দুটি মাঠকে।্রর
স্থায়ী কমিটি ও শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নিয়ে আলোচনার বাইরে বোর্ড সভায় আলোচনা হবে মেয়েদের আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি, জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বিপিএল ও হাইপারফম্যান্স বিভাগের ক্যাম্প নিয়েও। বোর্ড সভাপতি ও সক্রিয় পরিচালকেরা চান, বোর্ড পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ব্যস্ততা যেন মাঠের খেলা ও অনুশীলনে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। চমকপ্রদ কিছু করে এ ব্যাপারে একটা ইতিবাচক বার্তাও দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের।