এক দলে জাকের আলী। আরেক দলে তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হোসেন। আজ সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ম্যাচটি যেন তরুণ ব্যাটসম্যানদের জ্বলে ওঠার মঞ্চ হয়ে উঠল। প্রথমে ব্যাট করা কুমিল্লা জাকের আলীর ৪৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ১৪৯ রান তুলেছে । সহজেই তাড়া করেছে সিলেট।
রান তাড়ায় আরও একবার সিলেটের নায়কের ভূমিকায় দেখা গেল হৃদয়কে। তাঁর ৩৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ৫ উইকেটে জিতেছে সিলেট। এবারের বিপিএলে এটি সিলেটের টানা তৃতীয় জয়। দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে কুমিল্লা।
সিলেটের সর্বশেষ ম্যাচেও ৩৪ বল খেলে ৫০ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন হৃদয়। আজও সেদিনের মতোই বিস্ফোরক শুরু পেয়ে যান ২২ বছর বয়সী এই ডানহাতি। ওপেনার মোহাম্মদ হারিসের দ্রুত বিদায়ে দ্বিতীয় ওভারে ক্রিজে এসেই আবু হায়দারের বলে ছক্কা মারেন। এরপর আর রানের গতি কমতে দেননি হৃদয়।
তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন বাঁহাতি জাকির। ১০ বলে ২০ রানের ছোট্ট ‘ক্যামিও’ ইনিংস খেলেন। দুজন মিলে ৩০ রানের ছোট্ট জুটি গড়েন, কিন্তু সেটা মাত্র ১৮ বলে। মেরে খেলতে গিয়ে জাকির আউট হলেও সিলেটের রান তাড়ার চাপ শূন্যে নামিয়ে আনে সে জুটি। হৃদয় ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৬ রান করে আউট হলেও বাকি পথ পাড়ি দিতে সমস্যা হয়নি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের। ১৪ বল বাকি থাকতেই ২৪ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থেকে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন।
সিলেটের মতো কুমিল্লার ব্যাটিংয়ের নায়ক ছিলেন আরেক তরুণ জাকের আলী। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বশেষ দুটি ইনিংসে ১২১ ও ১৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বিপিএলেও সেটি ধরে রাখলেন। প্রথম ম্যাচে ১৯ রান করে আউট হলেও আজ দলের বিপদে জাকের সময়ের দাবি মিটিয়েছেন।
৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা যখন ধুঁকছিল, তখন ডেভিড ম্যালানের সঙ্গে জুটি গড়েন জাকের। ম্যালান ওয়ানডে মেজাজে খেললেও জাকের ছিলেন আক্রমণাত্মক। মাঝের ওভারে বাউন্ডারি খুঁজে নিয়ে কুমিল্লার রানটাকে সচল রাখেন। ম্যালান ৩৯ বলে ৩৭ রান করে আউট হলেও শেষ পাঁচ ওভারে দ্রুত রান তোলার মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন জাকেরই।
তবে মোসাদ্দেক হোসেন (৫) ও মোহাম্মদ নবী (৮) প্রত্যাশিত গতিতে রান তুলতে পারেননি। জাকির অবশ্য অপরাজিত থেকে কুমিল্লার রানটাকে নিয়ে যান দেড় শ’র কাছাকাছি। ৪৩ বল খেলে ৫৭ রান করেছেন তিনি, ২টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল জাকেরের ইনিংসে।