ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন শিখর ধাওয়ান
সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন শিখর ধাওয়ান। দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ভারতের এই ওপেনার। আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন ভিডিও বার্তায় অবসরের ঘোষণা দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৩৮ বছর বয়সী ধাওয়ান ভিডিওবার্তার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার ক্রিকেট যাত্রা শেষ হলো। সঙ্গে রয়ে গেল গেল অগণিত স্মৃতি এবং কৃতজ্ঞতা। যে ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি, সেটার জন্য ধন্যবাদ।’
ভিডিওবার্তায় ধাওয়ান বলেছেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল একটাই—দেশের হয়ে খেলা। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। সবাইকে ধন্যবাদ। প্রথমত আমার পরিবার ও বাল্যকালের কোচ, যাঁদের কাছ থেকে আমি ক্রিকেট শিখেছি। তারপর ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিসিসিআই ও ডিডিসিএকে (দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন), তারা আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল। এ ছাড়া আমার গোটা দলকে, যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি। ক্যারিয়ারে আমি সবার ভালোবাসা আর সমর্থন পেয়েছি। গল্পের বই পড়তে পড়তে যে রকম পাতা ওল্টাতে হয়, আমিও সেটাই করছি। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’
বিদায়ের ঘোষণায় ধাওয়ান আরও বলেছেন, ‘ভারতের হয়ে এতদিন খেলেছি, এই আত্মতৃপ্তি নিয়ে বিদায় বলতে পারছি। নিজেকে বলতে চাই, তুমি আর ভারতের হয়ে খেলতে পারবে না বলে দুঃখ করো না। বরং এটা ভেবে আনন্দ পাওয়া উচিত যে, তুমি দেশের হয়ে খেলতে পেরেছ।’
ভারত জাতীয় দলের জয়ে ৩৪টি টেস্ট, ১৬৭টি ওয়ানডে এবং ৬৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ধাওয়ান। করেছেন ১০৮৬৭ রান, সেঞ্চুরি আছে ২৪টি। ২০১০ সালে বিশাখাপট্টনমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচটিও খেলেছেন এই সংস্করণে; ২০২২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
শীর্ষ পর্যায়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধাওয়ান প্রথম ম্যাচটি খেলেন ২০০৪ সালে। এ বছরের এপ্রিলে আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়ে রইল তাঁর শেষ।
ভারতের ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন ধাওয়ান। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে পেয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।
তবে বিশ্ব ক্রিকেট ধাওয়ানকে চিনেছিল এই বাংলাদেশ থেকেই। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও শীর্ষ রানসংগ্রাহক ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হওয়া সেমিফাইনালে ভারত পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় নিলেও তিনিই হয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরা।