রুশোর ব্যাটে সমতায় দক্ষিণ আফ্রিকা
সিরিজ বাঁচাতে যখন জয়ের বিকল্প নেই, ঠিক তখনই ঘুরে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিস্টলে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪১ রানের হারে পিছিয়ে পড়েছিল ডেভিড মিলারের দল।
কার্ডিফে কাল রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫৮ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল প্রোটিয়ারা। রোববার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
কোলপ্যাক চুক্তিতে ২০১৬ সালে ইংলিশ কাউন্টিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। ছয় বছর পর এই সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন।
প্রত্যাবর্তনের পর কাল নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি। ক্রিস জর্ডানের করা শেষ ওভারে তিন বল খেলে মাত্র ৩ রান নিতে পারায় শতকের দেখা পাননি রুশো।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ২০৭ রান তুলেছিল মিলারের দল। কাউন্টি ক্রিকেটের ফর্ম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেনে এনে ৫ ছক্কা ও ১০ চারে রুশো ইনিংসটি সাজান ৫৫ বলে। ৩২ বলে ৫৩ রান করেন ওপেনার রেজা হেনড্রিকস। ইংল্যান্ডের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মঈন আলী ও ক্রিস জর্ডান।
তাড়া করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে ১৪৯ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড যে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে তা কাল রাতের ম্যাচের দেখা যায়নি। কেউ অর্ধশতকও করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে।
২৮ ও ২৯ রানের ইনিংস খেলেন মঈন আলী ও জস বাটলার। টস জিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার বলেছিলেন, ইংল্যান্ড রান তাড়ায় কেমন তা দেখতে চান। বলা বাহুল্য, রান তাড়া নিয়ে যে আরও কাজ করতে হবে তা বাটলার বুঝে গেছেন।
কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিকস মিলে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৩.৫ ওভারে ২৯ রান ওঠার পর মঈনের বলে বোল্ড হন ডি কক (১৫)। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে রুশোর সঙ্গে ৪৬ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন হেনড্রিকস। ত্রিস্তান স্টাবসকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে রুশোর ৩৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৪ রানের জুটি দুই শ পার করায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১২ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস।
ব্রিস্টলে প্রথম ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এক বেয়ারস্টোরই চার-চারটি ক্যাচ ছেড়েছিল। কাল রাতে অবশ্য দারুণ ফিল্ডিংয়ে ভালো কিছু ক্যাচ নিয়েছে প্রোটিয়ারা। জেসন রয় ও বাটলারের জুটি চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩৭ রানে ভেঙে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে উইকেট পড়তে থাকে ইংল্যান্ডের।
১১তম ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ৯২। জয়ের জন্য শেষ ৩৬ বলে ৮৯ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। পরের ওভারে বেয়ারস্টো আউট হলেও ১৮ রান এসেছে। ১৬তম ওভারে আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে তুলে নেন আন্দিলে ফিকোয়া। ১৭তম ওভারে গিয়ে শেষ দুটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
জয়ের পর প্রোটিয়া অধিনায়ক মিলার বলেছেন, ‘ঘুরে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। কিছু বিষয় পরিষ্কার করতে আমরা সকালে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি।’ ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলারের মতে, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেনি দল, ‘দু-একজন ভালো শুরু পেলেও তা ম্যাচ জেতানোর মতো ছিল না, ঠিক রুশো যেমনটা খেলেছে। আমরা নিজেদের মান অনুযায়ী খেলতে পারিনি।’