আইপিএলে আজ ২৪ ও ২০ কোটির লড়াই
চাপ, তা আবার কী!
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা বোধ হয় চাপের প্রশ্নে জবাবটা এভাবেই দেন। এই যেমন মিচেল স্টার্ক কিংবা প্যাট কামিন্স। আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে চাপে ছিলেন এই দুজনই। এমন চাপের কারণ আছে বেশ কয়েকটি। তবে সবচেয়ে বেশি চাপে ছিলেন বোধ হয় তাঁদের আকাশছোঁয়া দামের কারণে।
তাঁরা দুজনই যে আইপিএল ইতিহাসের শীর্ষ দুই দামি ক্রিকেটার। তাই এক ম্যাচ দুই ম্যাচ পারফর্ম না করলেই ঘুরেফিরে আসত সেই ‘প্রাইস ট্যাগ’। তবে সব চাপকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে এই দুই অস্ট্রেলিয়ানের দলই আজ খেলবে ফাইনাল।
স্টার্ক আইপিএলে ফিরেছেন ৮ বছর পর। মাঝখানে ৮ বছর আইপিএলের বাইরে থাকা স্টার্ককে সর্বশেষ নিলামে রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে স্টার্ক গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোর বেশির ভাগেই পারফর্ম করতে পারেননি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১১-এর বেশি। তবে ওই যে তিনি অস্ট্রেলিয়ান, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঠিকই জ্বলে উঠবেন! সেটাই হয়েছে।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে নিয়েছেন ৩৪ রানে ৩ উইকেট। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শূন্য রানে ফিরিয়েছেন হায়দরাবাদের সেরা ব্যাটসম্যান আরেক অস্ট্রেলিয়ান ট্রাভিস হেডকে। সব মিলিয়ে স্টার্ক এবারের আইপিএলে ১৫ উইকেট নিয়েছেন। ফাইনালেও আজ এই অস্ট্রেলিয়ানের দিকেই তাকিয়ে থাকবে কলকাতা।
অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক কামিন্স এক বছর বিরতি দিয়ে আইপিএলে ফিরেছেন। ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপি খরচ করে তাঁকে দলে নেয় হায়দরাবাদ। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক কামিন্স গত বছরই আইসিসির দুটি শিরোপা জিতেছেন—ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।
ইতিহাসের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে এক বছরে দুটি আইসিসি শিরোপা জিতেছেন কামিন্স। তবে এরপরও টি-টোয়েন্টিতে কামিন্স অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক নন।
কামিন্স বরং এই সংস্করণ থেকে দূরেই থেকেছেন। যার বড় প্রমাণ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর এক যুগ পেরোনোর পরও মাত্র ৫২টি ম্যাচ খেলা। সর্বশেষ দেড় বছরে এই সংখ্যাটা মাত্র ২। এরপরও তাঁকেই অধিনায়কত্ব দেয় হায়দরাবাদ।
প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে খেলেই দলকে তুলেছেন ফাইনালে। ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার পর আরও একটি ফাইনাল ভারতের মাটিতে জেতার সুযোগ এখন কামিন্সের সামনে। পুরো টুর্নামেন্টে বল হাতে কামিন্স উইকেট নিয়েছেন ১৭টি।
এখন দেখা যাক, কার হাতে ওঠে আইপিএল ট্রফি? ২৪ কোটির স্টার্ক, নাকি ২০ কোটির কামিন্সের হাতে। কামিন্সের হাতে ট্রফি তুলে দিতে লড়বেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান হেডও। তবে স্টার্ককে একাই লড়তে হচ্ছে!