কোহলি কি আকরাম, ম্যাকগ্রা, ওয়ার্ন, অ্যামব্রোস, ওয়ালশদের খেলেছে
ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছেন ২০০ টেস্ট। ২৪ বছরের লম্বা ক্যারিয়ার। শৃঙ্খলা আর অধ্যবসায়ে পরিপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির ‘সেঞ্চুরি’ করেছেন। ক্রিকেটের সম্ভব প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন।
টেন্ডুলকারের সঙ্গে এখন নিয়মিতই তুলনা চলে বিরাট কোহলির। ২০১৩ সালে টেন্ডুলকার যখন অবসরে যান, তখন মনে করা হয়েছিল, তাঁর রেকর্ডগুলো অক্ষতই থাকবে দীর্ঘদিন। কিন্তু গত এক দশকে কোহলি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সেই ধারণায় পরিবর্তন এনেছেন। কোহলি যে টেন্ডুলকারের সব রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারেন, এমনটা ভাবার লোকের অভাব নেই এ মুহূর্তে। এর মধ্যে টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির রেকর্ড কোহলির দৃষ্টিসীমায়। কোহলির আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি এখন ৭৫টি। মাঝখানে বেশ কিছুদিন সেঞ্চুরি-খরা না গেলে এ সংখ্যা হয়তো আরও বাড়ত। তবে পাকিস্তানের সাবেক তারকা সাকলায়েন মুশতাক টেন্ডুলকার-কোহলির তুলনায় এখনই উপসংহার টানতে চান না। এ ব্যাপারে তাঁর মতামতও বেশ রক্ষণশীল। পাকিস্তানি অফ স্পিনারের মতে, টেন্ডুলকারের চেয়ে বড় কেউই হতে পারেন না।
সাকলায়েন তাঁর সময়ের প্রতিপক্ষকে এগিয়ে রাখছেন বোলিং প্রতিপক্ষের বিচারে। সাকলায়েনের প্রশ্ন, কোহলি কি ওয়াসিম আকরাম, কার্টলি অ্যামব্রোস, শেন ওয়ার্নদের মতো বোলারকে মোকাবিলা করেছেন কখনো?
ইউটিউব চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে দুজনের তুলনায় সাকলায়েনের মত, ‘যদি দুজনের মধ্যে একজনকে সেরা হিসেবে বেছে নিতে বলা হয়, সেটি শুধু আমি নই, পুরো ক্রিকেট দুনিয়া বলবে—শচীন টেন্ডুলকারের চেয়ে বড় আর কেউ নেই, হতে পারে না। কেউ যদি কোনো ক্রিকেটীয় শটের কপি বুক উদাহরণ দিতে যায়, তাহলে টেন্ডুলকারের শটের উদাহরণই আসবে। এ জমানার কিংবদন্তি বিরাট কোহলি, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু টেন্ডুলকার তাঁর জমানায় ভয়ংকর সব বোলারকে সামলেছেন। ওই সময়ের বোলাররা একেকজন অন্য ধরনের ছিল। দুর্দান্ত সব বোলার ছিল। কোহলি কি ওয়াসিম আকরামকে সামলেছেন? কার্টলি অ্যামব্রোস বা কোর্টনি ওয়ালশকে! গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন কিংবা মুত্তিয়া মুরালিধরন? এরা সবাই বিশ্বসেরা বোলার। চতুর ধরনের বোলার। এখন দুই ধরনের বোলার আছে। একধরনের বোলার আপনাকে ফাঁদে ফেলবে, আরেক ধরনের বোলার আপনার উইকেট নেবে। যে নামগুলো বললাম, তারা দুটিই করতে পারত!’
হালে শুধু টেন্ডুলকার-কোহলির মধ্যেই নয়, তুলনা চলে কোহলি আর পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমের মধ্যেও। সাকলায়েন এসব তুলনায় যেতে চান না। তিনি মনে করেন, কোহলি আর বাবর দুজন ভিন্ন ধরনের ব্যাটসম্যান। তবে একটা জায়গায় বাবরকে কিছুটা এগিয়ে রাখতে চান সাকলায়েন, ‘দুজন ভিন্ন ধরনের দুই ব্যাটসম্যান। দুজনই দারুণ ক্রিকেটার—কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একটা জায়গায় বাবর কিছুটা এগিয়ে। সেটি শটের সৌন্দর্যে। বাবরের কভার ড্রাইভ দেখতে কিন্তু খুব ভালো লাগে।’