চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে লম্বা হচ্ছে চোটের মিছিল
পোশাকি নাম ত্রিদেশীয় সিরিজ। তবে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গতকাল শুরু হওয়া সিরিজটি আসলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির। এই ‘প্রস্তুতি সিরিজের’ প্রথম ম্যাচে চোট পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র ও পাকিস্তানের হারিস রউফ।
রাচিন ফিল্ডিংয়ের সময় কপালে বলের আঘাত পেয়েছেন। আর রউফ ইনিংসের মাঝপথে সাইড স্ট্রেইনের কারণে মাঠ ছেড়ে গেছেন। দুজনই আপাতত পর্যবেক্ষণে। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এমন চোটের ধাক্কা কিন্তু আরও কয়েকটি দলে আছে। কয়েকজন তো এরই মধ্যে ছিটকেই গেছেন।
আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণার পর প্রথম ছিটকে যান আনরিখ নর্কিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার পিঠের চোটের কারণে ১৫ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়েন। এর আগে ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময়ও চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ছিটকে গিয়েছিলেন নর্কিয়া।
চোট ছিটকে দিয়েছে পাকিস্তানের সাইম আইয়ুবকেও। পাকিস্তানের বাঁহাতি এই ওপেনার ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়েছিলেন। তাঁকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে সুস্থ করতে দ্রুত লন্ডনে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সাইমকে খেলানোর আশা ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে।
তবে দল হিসেবে চোটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগছে অস্ট্রেলিয়া। অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও পেসার জশ হ্যাজলউড—তিনজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দল ঘোষণার পর টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন। এখন পর্যন্ত তাঁদের বদলি ঘোষণা করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) নর্কিয়া ছিটকে যাওয়ার পর জেরাল্ড কোয়েৎজিকে বদলি করার কথা ভেবেছিল। এই অলরাউন্ডারকে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের দলেও রাখা হয়। তবে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে যান কোয়েৎজিও। আজ নর্কিয়ার জায়গায় করভিন বশকে দলে নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোট শঙ্কা আছে ডেভিড মিলার আর লুঙ্গি এনগিডিকে নিয়েও। যদিও সময়মতো তাঁরা ফিট হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী বোর্ড। নিউজিল্যান্ড অপেক্ষায় লকি ফার্গুসনকে নিয়ে। ডানহাতি এই পেসারও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছেন।
এর বাইরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে সংশয় আছে ভারতের যশপ্রীত বুমরা আর ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথেরও।
চোটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ যাঁদের: প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, মিচেল মার্শ, সাইম আইয়ুব, আনরিখ নর্কিয়া, জেরাল্ড কোয়েৎজি।