আরও একটি রেকর্ড জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
প্রথম ম্যাচে জয়টা এসেছে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান (২৫২) করে। আজ আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের জয়টা এসেছে ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আইরিশ মেয়েরা আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে করেছে ১৯৩ রান। জবাবে ৪৩.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখে জিতেছিলেন নিগার সুলতানারা। টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মুর্শিদা খাতুনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে দলকে চাপে পড়তে দেননি ছন্দে থাকা ফারজানা ও শারমিন। দুজনের ৮৫ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় ফিফটি করতে ৮৮ বল খেলেন ফারজানা। এরপর অবশ্য ইনিংস দীর্ঘ হয়নি।
পরের বলেই লরা ডেলানির ফুল টসে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তোলেন। পরের ওভারে থামে শারমিনের ইনিংসও। ৬৩ বলে ৪টি চারে ৪৩ রান করে করেন তিনি। বড় হয়নি সোবহানা মোস্তারির ইনিংসও, ২১ বলে করেন ১৬ রান।
দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও রানরেট নাগালে থাকায় চাপে পড়েনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও স্বর্ণা আক্তার বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন। নিগারের ৪০ রান আসে ৩৯ বলে, স্বর্ণা ২৯ রান করেন ২৯ বলে। নিগার আউট হলেও স্বর্ণা ও ফাহিমা অপরাজিত থেকে ৪৩.৫ ওভারে ম্যাচ শেষ করে আসেন। ২ উইকেট নেওয়া ডেলানি ছিলেন আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার।
এর আগে আইরিশদের ইনিংসের শুরুটাও তেমন ভালো হয়নি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সুলতানা খাতুনের কিছুটা থেমে আসা বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তোলেন ওপেনার গ্যাবি লুইস। আরেক ওপেনার সারাহ ফোর্বসও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১১তম ওভারে নাহিদা আক্তারের আর্ম বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। দলের রান তখন ২ উইকেটে ৩৫।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন এমি হান্টার ও ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট। তবে বাংলাদেশের স্পিন বোলিংয়ে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা। দুজন মিলে ৯১ রান যোগ করেন ১৪৪ বলে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি করতে হান্টার খেলেন ৬৬ বল।
কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও রানআউটে ছন্দপতন হয় আইরিশ ব্যাটিংয়ের। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে স্বর্ণা আক্তারের বল কাভারের দিকে ঠেলে রান নিতে গিয়ে রাবেয়ার সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন প্রেন্ডারগাস্ট। ২ চারে ৩৭ রান করতে তিনি খেলেন ৭২ বল। একই ওভারে স্বর্ণার লেগ স্পিনে এলবিডব্লিউ হন হান্টার।
তাঁর ব্যাট থেকে আসে আইরিশ ইনিংসের সর্বোচ্চ ৮৮ বলে ৬৮ রান, চার মারেন ৮টি।
পরে লরা ডেলানির ৫০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস আইরিশদের ৬ উইকেটে ১৯৩ রানে পৌঁছে দেয়। ষষ্ঠ উইকেটে উনা রেমন্ড-হোয়ির সঙ্গে ৩৪ বলে ৩৭ রান যোগ করেন ডেলানি। ১৮ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন রেমন্ড-হোয়ি। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন সুলতানা।