২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

তুষারের সর্বোচ্চ শতকের রেকর্ড ভেঙে গর্বিত নাঈম

বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে এখন সর্বোচ্চ শতকের রেকর্ড নাঈম ইসলামেরফাইল ছবি

জাতীয় ক্রিকেট লিগের সর্বশেষ মৌসুমে তুষার ইমরানের রেকর্ডটা ছুঁয়ে ফেলেছিলেন নাঈম ইসলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম দিনই তুষারকে ছাড়িয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ শতকের চূড়ায় উঠে গেলেন নাঈম। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর মাঠে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চলের হয়ে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন নাঈম। প্রথম শ্রেণিতে তাঁর এটি ৩৩তম শতক, ৩২ শতক নিয়ে এত দিন রেকর্ডটা ছিল তুষারের।

প্রথম আলো গ্রাফিকস

রেকর্ড ভাঙার পর নাঈম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘ভালো লাগছে। এমন অর্জনে যে কেউই গর্বিত হবে। আমিও বেশ গর্ব বোধ করছি।’ তবে সেই অর্থে রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য ছিল না নাঈমের, ‘জানতাম সংখ্যাটা সমান সমান আছে। তবে রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে খেলছিলাম না। আমি ফিট আছি, খেলা উপভোগ করছি, পারফর্ম করছি। এভাবেই খেলে যেতে চাই। কোনো নির্ধারিত লক্ষ্য নিয়ে খেলছি না।’

জানতাম সংখ্যাটা সমান সমান আছে। তবে রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে খেলছিলাম না। আমি ফিট আছি, খেলা উপভোগ করছি, পারফর্ম করছি।
নাঈম ইসলাম

নাঈমের অপরাজিত শতকের সৌজন্যে মধ্যাঞ্চল দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান করেছে। দিনে খেলা হয়েছে ৬২ ওভার, আলোকস্বল্পতার কারণে প্রায় এক সেশনের খেলাই হয়নি। লড়াইটা নাঈম করে গেছেন অনেকটা সময়। ১১ রানের মধ্যে দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও রনি তালুকদারের উইকেট হারানোর পর সাইফ হাসানকে নিয়ে সে লড়াইটা শুরু হয় নাঈমের। সে সময় উত্তরের পেসার মুশফিক হাসান দারুণ বোলিং করছিলেন।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড ৩২টি শতক ছিল তুষার ইমরানের
ফাইল ছবি

অধিনায়ক সাইফ হাসান ও মাহিদুল ইসলামকে দ্রুত বিদায় করে মধ্যাঞ্চলকে আরও একবার বিপদে ফেলেন এই তরুণ পেসার। পরে তাইবুর রহমান (৪০) ও নয়ে নামা শহীদুল ইসলামের (৪৭) সঙ্গে নাঈমের দুটি জুটি মধ্যাঞ্চলকে লড়াই করার মতো অবস্থানে নিয়ে যায়। উত্তরাঞ্চলের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মুশফিক, মিডিয়াম পেসে ২ উইকেট নিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন।

দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে শতকের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন পূর্বাঞ্চলের পারভেজ হোসেন। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ৯০ রানে আউট হন এই বাঁহাতি। বাঁহাতি স্পিনার তানভীর আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন পারভেজ। আরেক ওপেনার সৈকত আলীর ব্যাট থেকে এসেছে ৭৭ রান। মাঝে ১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারালেও তিনে নামা অমিত হাসান করেন ৩৫ রান। ৮৭ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪২ রান করে দিন শেষ করে পূর্বাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।