তোয়ালে পড়ল বোলারের, বোল্ড হয়েও বাঁচলেন ব্যাটসম্যান
ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়েও ব্যাটসম্যান বেঁচে যেতে পারেন, যদি ফিল্ডার সেটি ফসকে ফেলেন। অনেক সময় নিশ্চিত রানআউটের হাত থেকেও বাঁচতে পারেন, যদি ফিল্ডার গড়বড় করে ফেলেন বা নিশানা ঠিক রাখতে না পারেন। আবার বোল্ড হয়েও বাঁচা যায়, যদি ডেলিভারিটি ‘নো’ বা ‘ফ্রি হিট’ হয়ে থাকে। এবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে দেখা গেল ব্যাটসম্যানের বেঁচে যাওয়ার নতুন উপায়!
সমারসেট-হ্যাম্পশায়ারের ম্যাচে বোল্ড হয়েছিলেন শোয়েব বশির। কিন্তু বোলার কাইল অ্যাবোটকে উদ্যাপন শুরু করতে না করতেই থেমে যেতে হয়েছে। কারণ, তোয়ালে ফেলে দিয়েছেন তিনি!
ঘটনাটা অদ্ভুত। তবে নিয়ম জানলে অস্বাভাবিক মনে হবে না। টন্টনে কুপার অ্যাসোসিয়েটস কাউন্টি গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবারের ঘটনা এটি। সমারসেটের দ্বিতীয় ইনিংসে নবম উইকেটের পতনের পর উইকেটে যান বশির। অ্যাবোট তাঁকে প্রথম বলটিই করেন স্টাম্পে। বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন বশির। অ্যাবোট ও হ্যাম্পশায়ারের সতীর্থরা যখন উদ্যাপন শুরু করেন, বশির দাঁড়িয়ে থাকেন পপিং ক্রিজেই। হাত ইশারায় আম্পায়ারকে বোলিং প্রান্তটি দেখান।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ডেলিভারির সময় অ্যাবোটের কোমরে গোঁজা তোয়ালে মাটিতে পড়ে গেছে। বশিরের অভিযোগ, তোয়ালে পড়ে যাওয়ায় তার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে। আম্পায়ারও সেটা মেনে নেন। ক্রিকেট আইনের ২০.৪.২.৬ ধারা বলে, ‘স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান যদি বল খেলার প্রস্তুতি বা খেলার সময় কোনো শব্দ বা নড়াচড়ার কারণে বিক্ষিপ্ত হন’, তাহলে আম্পায়ার ‘ডেড বল’ ঘোষণা করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে বশিরের অভিযোগ আমলে নিয়ে আম্পায়ার অ্যাবোটের বলকে ‘ডেড’ ঘোষণা দিলে বোল্ড হয়েও বেঁচে যান ব্যাটসম্যান। অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কারণ, তৃতীয় বলেই অ্যাবোটের বলে বশিরকে এলবিডব্লু ঘোষণা করেন আম্পায়ার।