নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আশাবাদী বিসিবি

অক্টোবরে নারী বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশেবিসিবি

কয়েক সপ্তাহ আগেও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তাকালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ক্ষণগণনা দেখা যেত। আগামী ৩ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া মেয়েদের ২০ ওভারের বৈশ্বিক আসরটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা মিরপুর স্টেডিয়ামে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহে ঘরের মাঠে মেয়েদের বিশ্বকাপ শঙ্কার মুখে পড়ে। আইসিসিও বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও শ্রীলঙ্কার কথা ভাবতে শুরু করে।

অবশ্য গতকাল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ জন উপদেষ্টা শপথ নেওয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক রাখতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বরাবর চিঠি দিয়েছে বিসিবি।

আরও পড়ুন

পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিসিবিকেও আশাবাদী করে তুলছে। গতকাল বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘বিষয়টা সম্পূর্ণ দেশের অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। আমরা আশা করছিলাম যে যখনই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসবে, তখন সব ঠিক হয়ে যাবে। এখন সেভাবেই হয়তো এগোচ্ছে। সেটা হলে তো বিশ্বকাপ নিয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়।’

এদিকে দেশের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নারী দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিও থমকে গিয়েছিল। গত কয়েক দিন অবশ্য নারী ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন করতে মিরপুরে আসতে দেখা গেছে। ১৯ আগস্ট রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মেয়েদের জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ৮ দলের টুর্নামেন্টটি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়ার কথা।

নারী বিভাগের হেড অব অপারেশনস হাবিবুল বাশার
ফাইল ছবি

ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আরও কয়েক দিন পর টুর্নামেন্টটি শুরু করতে চায় বিসিবি। নারী বিভাগের হেড অব অপারেশনস হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টটি কয়েক দিন পিছিয়ে নেওয়া যায় কি না, আমরা সেটা দেখছি। তবে টুর্নামেন্টটি হবে। যেহেতু একই ভেন্যুতে খেলা, আশা করি, কঠিন হবে না।’

আরও পড়ুন

এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দলকে শ্রীলঙ্কায় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে পাঠানোর কথা। দুই দলের সিরিজটি আলোর মুখ দেখলে ‘এ’ দলের ব্যানারে জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটারেরও সুযোগ থাকবে খেলার। একই সময় বাংলাদেশে নারী ‘এ’ দল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলে প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিল দলটি। কিন্তু পাকিস্তানে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের সফর নিশ্চিত হওয়ায় তাদের বাংলাদেশ সফর আর হচ্ছে না।