বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এখন ‘প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল’
ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছিলেন, এবারের বিশ্বকাপ জিতবে ইংল্যান্ড। জস বাটলারের দলের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার কথা না বললেও তাদের ফাইনালে রেখেছেন আরও অনেক সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক।
সেই ইংল্যান্ডই এখন লিগ পর্বের তিন ভাগের এক ভাগ ম্যাচ শেষে কিছুটা নড়বড়ে অবস্থায় দাঁড়িয়ে। নিউজিল্যান্ডের পর আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছেন বাটলাররা, জয় শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের ১৩ ম্যাচ শেষে যে পয়েন্ট তালিকা, ইংল্যান্ডের অবস্থান সেখানে পঞ্চম। রানরেট -০.০৮৪। যে দাপুটে ক্রিকেট খেলে এউইন মরগানের দল ২০১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল, যে ধারা দলটি চার বছরেও ধরে রেখেছিল, সেটির ছাপ দেখা গেছে খুব কমই। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন তাই দুশ্চিন্তাই প্রকাশ করলেন ইংল্যান্ডকে নিয়ে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগও এই ইংল্যান্ড দলের সাফল্যময় পথচলায় সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কথাবার্তার যোগফল, ইংল্যান্ডের এখন দুশ্চিন্তা করার সময়।
রোববার দিল্লিতে আফগানিস্তানের কাছে ইংল্যান্ডের ৬৯ রানে হারের পর মেইল অনলাইনে একটি কলাম লিখেছেন নাসের। বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেওয়া এই সাবেক ক্রিকেটার বাটলারের দলকে সামনের প্রতিটি ম্যাচ ‘ফাইনালে’র মতো করে নিতে বলেছেন, ‘বাটলারের দলের জন্য আর নড়াচড়ার করার সুযোগ নেই। শিরোপা ধরে রাখতে হলে তাদের এখন প্রতিটি ম্যাচই জিততে হবে। এ জন্য প্রতিটি ম্যাচে সেরা একাদশ খেলাতে হবে, ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়ে শুরু করতে হবে “বিশ্বকাপ ফাইনাল”। এর অর্থ হচ্ছে, বেন স্টোকস ফিট থাকলে তাঁকে একাদশে ফেরাতে হবে। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, ইংল্যান্ড এটা ভাববে না যে এটা তো শুধু আফগানিস্তান ম্যাচ।’
স্টোকসকে খেলালে একাদশ থেকে হ্যারি ব্রুককে বাদ দিতে হয়। তবে নাসেরের মতে, আফগানদের বিপক্ষে ৬৬ রান করা ব্রুক এবং স্টোকস দুজনকেই একসঙ্গে খেলানো উচিত। এর বদলে একজন বোলার কমিয়ে ফেলতে হবে। আর সেই বোলারটি হবেন ক্রিস ওকস, যিনি তিন ম্যাচে ৭.৫০ রান ইকোনমিতে মাত্র ২ উইকেট নিতে পেরেছেন, ‘ওকস একদমই ছন্দে নেই। তিন ম্যাচেই সেটা দেখা গেছে। তাকে এখন একাদশের বাইরে রাখতে হবে। এখন কোনো প্রকারের আবেগ বা আনুগত্য দেখানোর সময় নয়।’
নাসের লিখেছেন, বিশ্বকাপের আগেই তিনি আফগানিস্তান অঘটন ঘটাতে পারে বলেছিলেন। তবে সেটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হবে, তা ভাবেননি। সাবেক এই অধিনায়কের মতে, উপমহাদেশের উইকেটে ইংল্যান্ডকে ‘নড়বড়ে’ লাগছে।
লিগ পর্বের বিশ্বকাপে প্রতিটি দল খেলবে নয়টি করে ম্যাচ। তিন ম্যাচ খেলার অর্থ তিন ভাগের এক ভাগ শেষ। বাটলারদের প্রথম তিনটি ম্যাচ দেখে অস্ট্রেলিয়ার মতোই মনে হচ্ছে শেবাগের। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ওপেনার আফগানদের কাছে ইংল্যান্ডের হারের পর টুইটে লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াকে মনে হচ্ছে, সেরা চারে থাকতে সংগ্রাম করছে।’
ইংল্যান্ডের পরের ম্যাচ শনিবার, মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।