অ্যালেক্স হোয়ার্ফ—এই নামটা পাকিস্তান দল ও এর সমর্থকেরা হয়তো অনেক দিনই মনে রাখবেন।
চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ উইকেটে হেরে যাওয়া ম্যাচে জিততেও পারত পাকিস্তান। রান তাড়ায় নামা প্রোটিয়া ইনিংসের ৪৬তম ওভারে হারিস রউফের শেষ বলটি তাব্রেইজ শামসির প্যাডে লেগেছিল। পাকিস্তান এলবিডব্লুর আবেদন করলে সাড়া দেননি ইংলিশ আম্পায়ার হোয়ার্ফ। দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ উইকেট জুটি হওয়ায় মরিয়া পাকিস্তান রিভিউ নেয়। বল ট্র্যাকিং দেখায়, রউফের ইন সুইং লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গেলেও সেটি মাঠের সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান শামসি, শেষ পর্যন্ত ম্যাচও জেতে তাঁর দল।
স্বাভাবিকভাবেই হোয়ার্ফ আউট দিলে ২৭০ রানের পুঁজি নিয়ে তখনই ৭ রানে ম্যাচ জিতে যেত বাবর আজমের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই জমিয়েও যে জেতা গেল না, তার পেছনে ডিআরএসের ভূমিকা নিয়ে ম্যাচ শেষে জিজ্ঞেসও করা হয় বাবরকে। ক্রিকেটের আইনের বাইরে কিছু হয়নি বলে পাকিস্তান অধিনায়কের ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ ছিল না। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভিন্ন হলে তাঁর দল লাভবান হতো বলে মন্তব্য বাবরের, ‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি (আম্পায়ার) আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেত। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়ে গেছে, সেটা খেলারই অংশ।’
শুধু আম্পায়ারের শেষের ওই সিদ্ধান্ত নয়, পাকিস্তান জিততে পারত স্কোরবোর্ডে আর কিছু রান বেশি থাকলেও। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে আক্ষেপই ঝরল বাবরের কণ্ঠে, ‘(জয়ের) খুবই কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারিনি। পুরো দলই আমরা হতাশ। আমরা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ১০–১৫টা রান কম হয়ে গেছে। এরপর ফাস্ট বোলার ও স্পিনাররা লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফল পক্ষে আসেনি।’
ছয় ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান এখন ১০ দলের মধ্যে ৬ নম্বরে। পরের তিন ম্যাচে জিতলেও শেষ চারে থাকার নিশ্চয়তা নেই। সেটা জানেন বলেই বাবরের প্রত্যাশা এখন শেষটা ভালো করা, ‘শেষ তিন ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এরপর দেখা যাবে কী দাঁড়ায়।’
লিগ পর্বে পাকিস্তানের শেষ তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ ৩১ অক্টোবর, কলকাতায়।