‘স্টোকসরা রোবট নন’, কুকের এমন কথায় বিস্মিত মার্ক ওয়াহ
ভারত সফরে ইংল্যান্ড সিরিজ হেরেছে আগেও। ২০১৬ সালে অ্যালিস্টার কুকের দল ৫ ম্যাচের সিরিজ হেরেছিল ৪-০ ব্যবধানে, ২০২১ সালে জো রুটের দল ৪ ম্যাচের সিরিজ হারে ৩-১ ব্যবধানে। তবে বেন স্টোকসের দলের এবারের ৪-১ হার নিয়ে আলোচনা যেন আগের তুলনায় বেশিই ঝাঁজালো। যে ঝাঁজের বড় কারণ স্টোকসদের বাজবল ক্রিকেট।
তবে সাবেক অধিনায়ক কুক মনে করেন, সাফল্য-ব্যর্থতার আলোচনার সময় মানবীয় সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার কথাও ভাবতে হবে। ভারত খেলেছে নিজেদের মাঠে। কিন্তু স্টোকসদের দেশ ছেড়ে দুই মাসের জন্য বেরিয়ে যেতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় ঘরের বাইরে থাকার প্রভাব মাঠেও পড়েছে, এমনটা বোঝাতে চেয়েছেন কুক। তবে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের এমন মন্তব্যে বেশ অবাক মার্ক ওয়াহ। কুক এমন কিছু বলেছেন, সেটি বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যানের।
ভারতের মাটিতে ইংল্যান্ডের হয়ে সিরিজ জেতা সর্বশেষ অধিনায়ক কুক। ২০১২ সালে উপমহাদেশে এসে ৪ টেস্টের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল কুকের ইংল্যান্ড। পরের দুবার হারলেও এবার স্টোকসের দলকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অনেকে। ২০২২ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও বেন স্টোকস কোচ-অধিনায়ক হিসেবে জুটি গড়ার পর ইংল্যান্ড অতি ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক ধারার যে ক্রিকেট খেলা শুরু করে, তা বাজবল নামে পরিচিতি পায়। বাজবলে প্রথম ১১ টেস্টের ১০টিতেই জেতে ইংল্যান্ড। তবে ভারতের মাটিতে বাজবল কতটা কার্যকর হয়, এ নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল ছিল এবারের সিরিজ শুরুর আগে।
কিন্তু স্টোকসের দল হায়দরাবাদে জিতে সফর শুরু করলেও বিশাখাপট্টনম, রাজকোট ও রাঁচিতে টানা তিন ম্যাচে হেরে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ে। এরপর ধর্মশালায় পঞ্চম টেস্টে হারে ইনিংস ব্যবধানেও। শুরুটা ভালো করলেও ইংল্যান্ডের পরের দিকে এভাবে ভেঙে পড়ার পেছনে দীর্ঘ সফরের ক্লান্তির প্রভাবও আছে মনে করেন কুক। টিএনটি স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচের ভেতরে যে আবেগ, আমরা সেখান থেকে দূরে বসে কথা বলছি। আমরা খেলা দেখছি বাড়িতে বসে টিভিতে। আমি ইংল্যান্ডের হয়ে ঢাল ধরছি না। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে, ওরা আট সপ্তাহ ধরে ঘরের বাইরে। এটা কঠিন একটা সফর। ওরা রোবট নয়।’
কুকের মন্তব্যটি ভালো লাগেনি মার্ক ওয়াহর। ক্রিকেট ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হয়ে ওঠা সাবেক অস্ট্রেলিয়ান এক্সে কুকের মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন, ‘আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, অ্যালিস্টার কুকের মুখ থেকে এসব শুনছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে এ কারণেই (লম্বা সফর, বাইরে অবস্থান) আপনি অনুশীলন করেন, টাকা পান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে খেলার জন্য অন্যতম সেরা সফর এটা।’