২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মেসির সঙ্গে আমার বেশি মেলে: শচীন টেন্ডুলকার

ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার
ছবি: টেন্ডুলকারের ইনস্টাগ্রাম

তারকা খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেওয়ায় বেশ নামডাক মার্কিন সাংবাদিক গ্রাহাম বেনসিঙ্গারের। মাইক টাইসনের সাক্ষাৎকার নিয়ে জিতেছেন এমি অ্যাওয়ার্ডও। নিজের ইউটিউব চ্যানেলের অনুষ্ঠান ‘ইন ডেপথ’-এ বেনসিঙ্গার এবার নিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সাক্ষাৎকার।

সাত দিন ভারতে থেকে টেন্ডুলকারের সঙ্গে তাঁর শৈশবের বাড়ি, কৈশোরের খেলার মাঠ শিবাজি পার্ক, তাঁর এখনকার দাতব্য প্রতিষ্ঠান—নানা জায়গায় ঘুরেছেন।

প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটির সামান্য সংক্ষেপিত অংশ তুলে ধরা হলো, যেখানে ক্রিকেটের চেয়ে বেশি এসেছে টেন্ডুলকারের ক্রিকেটের বাইরের জীবন ও দর্শন।

প্রশ্ন:

আপনার বইয়ে একটা ঘটনা পড়ে খুব হেসেছি। আপনি বিয়ের আগে অঞ্জলির (টেন্ডুলকারের স্ত্রী) মা-বাবার কাছে প্রস্তাব না পাঠিয়ে উল্টো তাঁকে দিয়েই দুই পরিবারকে রাজি করিয়েছেন।

শচীন টেন্ডুলকার: সত্যিই তা-ই। ১৯৯৪ সালের কথা, আমরা নিউজিল্যান্ডে ছিলাম। অকল্যান্ডে ওই ইনিংসের (৪৯ বলে ৮২) পর ওয়েলিংটনেও ভালো একটা ইনিংস (৬৩) খেলেছিলাম, সব মিলিয়ে ভালো মুডেই ছিলাম। ও ভালো সময়ই বেছে নিয়েছে আমাকে কথাটা বলার জন্য (হাসি)!

ও বলল, ‘আমার মনে হয় আমাদের বাগদান করে ফেলা উচিত, কী বলো?’ আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি তৈরি। ও বলল, ‘সে ক্ষেত্রে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি, তুমি তোমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলো।’ আমি বললাম, স্যরি, এটা আমাকে দিয়ে হবে না। বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে এটা বলতে পারব না। তোমাকেই দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

গ্রাহাম বেনসিঙ্গারের সঙ্গে নিজের শৈশব রাঙানো কলোনিতে টেন্ডুলকার
ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া
প্রশ্ন:

কেন?

টেন্ডুলকার: (কাঁধ ঝাঁকিয়ে) জানি না...আমার কেমন যেন অদ্ভুত লাগছিল! আমার মা-বাবা অঞ্জলিকে চিনতেন, মাঝেমধ্যে বাসায় এসেছে ও। কিন্তু আমার কেন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল। ওকে তাই বললাম, তুমি যদি দুই পরিবারকে রাজি করাতে পারো, সে ক্ষেত্রে তুমি কাল বললে আমি কালই বাগদানের জন্য প্রস্তুত।

প্রশ্ন:

(গাড়িতে কথার সময় হঠাৎ ফোন আসে টেন্ডুলকারের। সেখানে দুটি মুঠোফোন দেখে) দুটি ফোন কেন?

টেন্ডুলকার: একটা গান শোনার জন্য। দেখা গেল আমি গান শুনছি, তন্ময় হয়েই শুনছি, এর মধ্যে ফোনকল বা মেসেজের বিপ আওয়াজ...খুবই বিরক্ত হই এটাতে। সে কারণে একটা ফোন রেখেছি শুধু গানের জন্য।

গাড়িতে টেন্ডুলকারের সঙ্গে থাকে দুটি মোবাইল ফোন
ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া
প্রশ্ন:

রান্নাবান্নায় এত আগ্রহ কীভাবে এল?

টেন্ডুলকার: আমার মা খুব ভালো রাঁধতেন। সে কারণে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার সময়ও তাঁর কাছ থেকে রেসিপি নিয়ে যেতাম। তখন তো আর মুঠোফোন ছিল না, সে কারণে (মাথার দিকে আঙুল দেখিয়ে) এই কম্পিউটারে সবকিছু গেঁথে রাখতে হতো।

প্রশ্ন:

কোন রান্নাটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন?

টেন্ডুলকার: (কয়েক সেকেন্ড ভেবে) আমি বলব, বেগুনভর্তা।

প্রশ্ন:

অঞ্জলির রান্নার ব্যাপারে কী বলবেন?

টেন্ডুলকার: না, অঞ্জলি রান্না করে না। বাসায় আমিই রান্না করি, ও খায়। অঞ্জলি রান্না করতে খুব একটা পছন্দ করে না।

প্রশ্ন:

ভারতের মানুষের কাছে ক্রিকেট কী, এটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

টেন্ডুলকার: ব্রাজিলের কাছে ফুটবল যা, সেটিকে ১০ দিয়ে গুণ করুন...ভারতের কাছে ক্রিকেট তা-ই।

প্রশ্ন:

শিবাজি পার্কের স্মৃতি...

টেন্ডুলকার: আমাদের কোচ শুধু একবার পানি পানের বিরতি দিতেন। তিন ঘণ্টায় শুধু একবার এক গ্লাস পানি খাওয়ার বিরতি পেতাম।

রান্নায় বেশ আগ্রহ টেন্ডুলকারের
ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া
প্রশ্ন:

কেন?

টেন্ডুলকার: স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য! তা আমরা অনুশীলনের শুরুতে পানি খাব, নাকি মাঝে না শেষে, সে সিদ্ধান্ত আমাদের ছিল। কিন্তু বিরতি একবারই। সেই বিরতির সময়ই আমি এখানে (পাশের মন্দিরসংলগ্ন কলে) যেতাম, এই ট্যাপ থেকে পানি খেতাম।

একটা বিশ্বাস ছিল যে এই পানি আমাকে বাড়তি শক্তি দেয়, এটার মধ্যে একটা আলাদা শক্তি আছে। যে শক্তি আমাকে আমার স্বপ্নের কাছে নিয়ে যাবে, ভারতীয় দলে খেলার স্বপ্ন।

পানি খেতে এলে আমি মন্দিরে দেবতার কাছে প্রার্থনা করতাম। এই কাজটা আমি ২০১৩ সালে আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত করে গেছি। মাঝেমধ্যে উল্টাপাল্টা সময়ে আসতাম, রাতের চারটায়, তিনটায়...যখন কেউ থাকত না, যাতে আমি শান্তিতে আমার মতো করে প্রার্থনা করতে পারি। প্রতিটি সফরে যাওয়ার আগে এটা করতাম। প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে এখানে আসতাম।

প্রশ্ন:

১২ বছর বয়সে পত্রিকায় যখন আপনার নাম এল, সেটা কি ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নিতে আপনার প্রতীজ্ঞা আরও বাড়িয়েছে?

টেন্ডুলকার: এটাকে তো পেশা নয়, আমি সব সময়ই আমার প্যাশন বলি, আমার জীবন। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, ওই বয়সে এমন কিছু কীভাবে করলাম। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি ওই সময় একটা আলাদা মনোজগতেই ছিলাম। আমার নিজের জগৎ। নিজের জন্য ওই জগৎটা তৈরি করে নিয়েছিলাম। এতটাই মগ্ন ছিলাম সে জগতে যে বাইরের কিছুই তাতে প্রভাব ফেলেনি।

আমার ভাই অজিত ছিল আমার ক্রিকেটে আসার কারণ। তাঁর সঙ্গে আমার বোঝাপড়াই এমন ছিল যে বাকি বিশ্ব যখন শেষ হয়ে যাওয়া ম্যাচটি নিয়ে কথা বলত, আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তা শুরু করে দিতাম।

মা-বাবার সঙ্গে কিশোর টেন্ডুলকার
ছবি: টেন্ডুলকারের ইনস্টাগ্রাম
প্রশ্ন:

অনেকেই কম বয়সে তারকাখ্যাতি পেলেও পরে সেটাই তাঁদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। সেটার পেছনে কারণ কী ছিল?

টেন্ডুলকার: আমার ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি আমার পরিবারের কারণে। আমার চারপাশের মানুষগুলো সঠিক ছিল, বলতে পারেন, আমি এদিক থেকে সঠিক ‘দল’ পেয়েছি। তাদের কারণে সাফল্য আর ব্যর্থতার মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রাখা সহজ ছিল। কারণ, এমন হতেই পারে যে আপনার একদিন মনে হলো যে আপনিই বিশ্বসেরা, পরের দিন আপনি একেবারে একা, মনমরা থাকলেন। কিন্তু পরিবারের কারণে আমার ওই ভারসাম্য ঠিক ছিল। আমি ভালো করি বা না করি, বাসায় ফেরার পর আমি সাধারণ শচীনই ছিলাম।

যখন প্রথম সামার ক্যাম্পে গেলাম, আমার কোচ রমাকান্ত আচরেকার স্যার আমার বাবাকে ফোন করে বললেন, ‘শচীনের মধ্যে আমি একটা তেজ দেখতে পাই। ও কি ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেবে?’

আমার বাবার জন্য ওটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ, আমি যেখানে থাকতাম, ওই কলোনিতে অনেক কবি, অধ্যাপক, লেখক ছিলেন। তাঁদের কাছে ব্যাপারটা ছিল এমন যে ‘শচীন পেশাদার ক্রিকেটার হবে? তাহলে এর বাইরে কী করবে জীবনে?’ আমার বাবাকে নিয়মিত এ প্রশ্ন শুনতে হতো।

যে কারও প্রতি আমার পরামর্শ থাকে, সেটা ক্রিকেট হোক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে, তোমার যদি কোনো বিশেষ দক্ষতা থাকে, সেটাকে দুই হাতে আঁকড়ে ধরো।
শচীন টেন্ডুলকার
প্রশ্ন:

স্বাভাবিক। কারণ, তখন তো ক্রিকেটে এত টাকাও ছিল না...

টেন্ডুলকার: হ্যাঁ, তখন তো ভাবনাই ভিন্ন ছিল। এখন না হয় বিশ্বজুড়ে এত লিগ আছে, ভারতেও আছে, ১৯৮৯-এ তো এমন ছিল না। হ্যাঁ, সবাই খুশি ছিল যে আমি ১৬ বছর বয়সেই ভারতীয় দলে খেলছি।

আমার বাবা তখন আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি ১৬ বছর বয়সে যা করছ, সেটা বিশ্বে এই বয়সের খুব কম ছেলেমেয়েই করতে পারবে।’ বলতেন, ‘এটা ঈশ্বরের উপহার, এটাকে দুই হাতে আঁকড়ে ধরো।’ মানে কখনো এটাকে হালকাভাবে নিয়ো না।

সে কারণে যে কারও প্রতি আমার পরামর্শ থাকে, সেটা ক্রিকেট হোক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে, তোমার যদি কোনো বিশেষ দক্ষতা থাকে, সেটাকে দুই হাতে আঁকড়ে ধরো।

প্রশ্ন:

ছেলে অর্জুনের খেলা দেখতে কখনো স্টেডিয়ামে যান না কেন?

টেন্ডুলকার: বাবারা কিংবা মায়েরা সাধারণত নিজের সন্তানকে ক্রিকেট খেলতে দেখলে তারা চাপে পড়ে যায়। সে কারণে আমি অর্জুনের খেলা দেখতে যাই না। কারণ, আমি চাই ও নিজের মতো করে খেলাটার প্রেমে পড়ুক, যেটা করতে চায় সেটা নিয়ে এগিয়ে যাক। আমি চাই ওর পুরো মনোযোগ ওর খেলাতেই থাকুক।

আমি নিজেও চাইতাম না পরিবারের কেউ আমার খেলা দেখতে আসুক। কখনো ওর খেলা দেখতে গেলেও আমি লুকিয়ে লুকিয়ে যাই, ও জানতেও পারে না যে আমি গেছি। এমনকি ওর কোচরাও জানতে পারেন না।

প্রশ্ন:

আপনার মা আপনার কোনো ম্যাচ স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখেছেন?

টেন্ডুলকার: তিনি শুধু আমার শেষ ম্যাচেই আমাকে খেলতে দেখেছেন। এর আগে টিভিতে দেখতেন, কিন্তু আমার খেলা কখনো মাঠে এসে দেখেননি।

প্রশ্ন:

কিন্তু কেন?

টেন্ডুলকার: তাঁদের কাছে মনে হতো, তাঁরা এলে হয়তো আমি বিরক্ত হব। স্কুলের দিনগুলোতে পরিবারের কেউ আমার খেলা দেখতে এলে সেটাতে খুব বিরক্ত হতাম। আমার ভাই পরিবারের সবাইকে বলেছিলেন, ‘ওর খেলা দেখতে মাঠে যেয়ো না। ওকে ভালো খেলতে হবে, মনোযোগ ধরে রাখতে হবে।’ সেটাই অভ্যাস হয়ে গেছে।

নিজের শেষ ম্যাচে আমি বিসিসিআইকে বলেছিলাম, (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের) এই দুটি ম্যাচই আমার শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আমার শুধু একটাই অনুরোধ, শেষ ম্যাচটা যাতে মুম্বাইয়ে রাখা হয়, যাতে আমার মা স্টেডিয়ামে এসে ম্যাচ দেখতে পারেন। তাঁরা অনুরোধটা রেখেছেন, ওই একবারই মা মাঠে এসে আমার খেলা দেখেছেন।

গত আগস্টে মায়ের ৮৩তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছেন টেন্ডুলকার
ছবি: টেন্ডুলকারের ইনস্টাগ্রাম
প্রশ্ন:

কেমন ছিল সেই অনুভূতি?

টেন্ডুলকার: অবিশ্বাস্য! আমি ব্যাটিং করছিলাম, মেগা স্ক্রিনে তাঁকে দেখানো হচ্ছিল। তিনি জানতেনও না যে তাঁকে স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে। পুরো স্টেডিয়াম তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখছে। আমার জন্য সেটা বিশেষ কিছু ছিল। ওটা ছিল দিনের শেষ ওভার, ওই ছয়টা বল তাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আমি যেটা স্ক্রিনে দেখেছি, সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার জন্য।

প্রশ্ন:

আপনার শেষ ম্যাচের পর বিরাট কোহলির ওই উপহারের কথা মনে আছে?

টেন্ডুলকার: আহ্‌! এখনো মনে আছে। মাত্রই ড্রেসিংরুমে ফিরলাম, চোখের জল বাঁধ মানছিল না। তখন পর্যন্ত আমি জানতাম ঠিকই যে আমি অবসর নিতে যাচ্ছি, কিন্তু শেষ বলটা যখন হলো, তখন ধাক্কাটা লাগল—এই তো শেষ! জীবনে আর কোনো দিনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নামা হবে না, ভারতের হয়ে খেলা হবে না।

আমি (ড্রেসিংরুমে)) একটা কোণে একা বসে ছিলাম, টাওয়েলে মুখ ঢাকা। চোখের জল মুছছিলাম। অনেক আবেগ জাপটে ধরছিল। বিরাট তখন আমার কাছে এল। ওকে ওর বাবার দেওয়া একটা ফিতা আমাকে দিল।

প্রশ্ন:

যেটা তাঁর প্রয়াত বাবা তাঁকে দিয়েছিলেন।

টেন্ডুলকার: হ্যাঁ। সেটাই। ফিতাটা কিছুক্ষণ হাতে ধরে ছিলাম। তারপর ওকে আবার সেটা ফেরত দিলাম। বললাম, ‘এটা অমূল্য এবং এটা তোমার কাছেই থাকা উচিত, আর কারও কাছে নয়। এটা তোমার সম্পদ, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত এটা তোমার কাছেই রেখো।’ অনেক আবেগের একটা মুহূর্ত ছিল সেটা, এমন কিছু, যেটা চিরদিন আমার স্মৃতিতে থেকে যাবে।

র‍্যাপিড ফায়ার:

প্রশ্ন: গলফ না র‍্যাকেট বল?
টেন্ডুলকার: গলফ।
প্রশ্ন: হোল-ইন-ওয়ান নাকি ডাবল সেঞ্চুরি?
টেন্ডুলকার: ডাবল সেঞ্চুরি করার পর (গলফে নেমে) একটা হোল-ইন-ওয়ান করতে পারলে মন্দ হতো না।
প্রশ্ন: লিওনেল মেসি না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো?
টেন্ডুলকার: মেসির সঙ্গে আমার মেলে বেশি।
প্রশ্ন: শচীন না বিরাট—কে বেশি ভালো ক্রিকেটার?
টেন্ডুলকার: দুজন একই দলে খেললে কেমন হয়!