ফেসবুক দেখে জাতীয় দল বানাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে দুরকম কথা হচ্ছে এর জন্মলগ্ন থেকে। নেতিবাচক ও ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে এখনো। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইনস্টাগ্রাম।
সাধারণ মানুষ এসব মাধ্যমে নানা বিষয়ে নিজেদের মতামতও দিয়ে থাকেন। রশিদ লতিফের আপত্তিটা ঠিক এখানেই। তাঁর মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার জনপ্রিয়তা কিংবা গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, তা দেখে পাকিস্তান দল নির্বাচন করা হচ্ছে।
আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড দল ঘোষণার পর এমন কথা বলেন সাবেক এ উইকেটকিপার।পাকিস্তান ক্রিকেটের ক্রমেই পতনের পেছনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবকে অন্যতম কারণ বলে মনে করেন রশিদ লতিফ।
৫২ বছর বয়সী সাবেক এ ক্রিকেটার নির্বাচকদের বেশ কিছু সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সফলতা বাস্তব জীবনে অনূদিত করা যায় না।
পিটিভি স্পোর্টসকে পরশু লতিফ বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণির ম্যাচগুলো দেখেছি। কেপি দলে এক পেসার ছিলেন, ইরফান উল্লাহ শাহ। পুরোনো বলেও সে করাচির তক্তা উইকেটে ভালো মুভমেন্ট দেখিয়েছে। কিন্তু তাকে পিএসএলে (পাকিস্তান সুপার লিগ) নেওয়া হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি দলেরই অ্যাকাউন্ট আছে এবং তাদের সবাইকে সন্তুষ্ট করতে হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জিতে নিলেও আমাদের (জাতীয় দল) দল র্যাঙ্কিংয়ে সাতে নেমে গেছে।’
লতিফ এরপর সোজাসাপ্টা বলেন, ‘আমাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবার মন জিতে কোনো লাভ নেই। সবারই নিজেদের লোক আছে। নির্বাচক কমিটিতে খেলোয়াড়দের নিজস্ব লোক আছে। একই কথা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর ক্ষেত্রেও খাটে। আমাদের ক্রিকেটের মান ক্রমেই নামছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলে আধডজন পরিবর্তন এনেছেন নির্বাচকেরা। এ নিয়ে লতিফের পাল্টা যুক্তি, ‘আব্দুল্লাহ শফিক ভালো খেলোয়াড় কিন্তু আমার মনে হয় একটু আগেভাগেই নেওয়া হয়েছে। কিন্তু হুসেইন তালাত ও খুশদিল শাহর ভুলটা কী? তারা অনেক কম বল খেলেই বাদ পড়ল। দলে সম্ভবত অনেক পছন্দ–অপছন্দের বিষয় আছে। নির্বাচকেরা যে যাঁর পছন্দের খেলোয়াড় বেছে নিয়েছেন।’
পাকিস্তান দলে নতুন যাঁদের নেওয়া হয়েছে, তাদের চেয়ে পেশোয়ার জালমির মোহাম্মদ ইমরান অনেক ভালো করতেন বলে মনে করেন লতিফ, ‘আব্দুল্লাহ শফিক, শাহনেওয়াজ ধানি, ওয়াসিম জুনিয়র, এরা সবাই নতুন খেলোয়াড়। আমার মনে হয় পেশোয়ার জালমির মোহাম্মদ ইমরান তাদের সবার চেয়ে ভালো করত। যদিও সে ঘণ্টায় ১৪০ কিমি গতিতে বল করে না। তবে প্রচুর বৈচিত্র্য আছে। ১৩০ কিমি গতিতে বল করায় নিজেকে তুলে ধরতে পারেনি। তবে পারফরম্যান্স বিবেচনায় তার ইকোনমি রেট সবচেয়ে ভালো। তাকে কিন্তু দলে নেওয়া হয়নি।’