ছবির মতো সুন্দর ডারবানে মুমিনুলদের ‘আমার সোনার বাংলা’
ছবির মতো সুন্দর মাঠ বলতে যা বোঝায়, ডারবানের চ্যাটসওয়ার্থ ক্রিকেট ক্লাব মাঠ ঠিক তা–ই। চারপাশে সবুজের সমারোহ, আশপাশে ছোট ছোট বাড়িঘর—বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সুন্দর ক্রিকেট মাঠগুলোর একটি চ্যাটসওয়ার্থ।
ক্রিকেট এই অঞ্চলে এসেছে প্রায় ২০০ বছর আগে। ১৮৩২ সালে ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার দিনলিপিতে সেখানে ক্রিকেট ম্যাচের উল্লেখ আছে। ঐতিহাসিক এই মাঠেই স্বাধীনতা দিবসে উড়ল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা, মুমিনুল-লিটনদের কণ্ঠেও ঝরল, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...।’
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর সামনে এখন দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের লড়াই। ডারবানে বৃহস্পতিবার শুরু হবে প্রথম টেস্ট। আজ চ্যাটসওয়ার্থ ক্রিকেট ক্লাবে অনুশীলন করেন মুমিনুল-মুশফিকরা। স্থানীয় সময় সকাল ১০টার আগেই চলে আসে বাংলাদেশ দল।
জাতীয় পতাকাসহ মাঠে নেমে সবার আগে জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুশীলন শুরু করেন মুমিনুলরা। মাঠের চারপাশে ঢিবির মতো উঁচু জায়গা, তার ওপর বাড়িঘর। সেখান থেকে বাংলাদেশ দলের জাতীয় সংগীত গেয়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের দৃশ্যটা ছিল মনোলোভা।
চ্যাটসওয়ার্থ ক্রিকেট ক্লাবের ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। আজ সারা দিনই বাংলাদেশের পতাকা উড়বে সেখানে। মাঠে ‘ম্যাচ পরিস্থিতি’ তৈরি করে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড কখনো আম্পায়ার, কখনো পরামর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। অনুশীলনে ভুলত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেন।
টেস্টের ম্যাচ পরিস্থিতি তৈরি করে, কোন সময় কী করতে হবে, তা ঝালিয়ে নিয়েছেন শরীফুল-তাসকিনরা। ডারবান মূল শহর থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরের এই ক্লাবের মাঠে কাল ও পরশু এ মাঠে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ দল অনুশীলনের সময় দেশের সমর্থকদের প্রতি স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজ আমরা সকালে এসে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে অনুশীলন শুরু করেছি। খুব ভালো লাগছে। মাঠ তো খুব সুন্দর। এসব দেশের একটা বিষয় হলো, মাঠে খুব বিলাসবহুল কিছু থাকে না, যতটুকু না হলেই নয়, ততটুকু থাকে। উইকেট খুব ভালো, সাইটস্ক্রিন খুব ভালো, ইনডোরও আছে। অর্থাৎ খেলার জন্য যা যা সুযোগ-সুবিধা দরকার, সবই আছে এবং তা আন্তর্জাতিক মানের।’
চ্যাটসওয়ার্থ ক্রিকেট ক্লাব স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। স্থানীয়রা ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে এখানে খেলা দেখতে আসেন। ক্লাবটির পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল রয়েছে। স্থানীয়দের নিয়েই দল বানানো হয়।