২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চেলসিকে যেভাবে বোকা বানিয়েছিল লিভারপুল

খুবই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে লিভারপুল থেকে চেলসিতে নাম লিখিয়েছিলেন ফার্নান্দো তোরেস। ছবি : প্রিমিয়ার লিগ ওয়েবসাইট
খুবই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে লিভারপুল থেকে চেলসিতে নাম লিখিয়েছিলেন ফার্নান্দো তোরেস। ছবি : প্রিমিয়ার লিগ ওয়েবসাইট
>

২০১১ সালে লিভারপুল থেকে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেস। তোরেসের পেছনে তখন অত টাকা ঢেলে বোকামিই করেছিল চেলসি, মনে করেন লিভারপুলের সাবেক কিংবদন্তি ডিফেন্ডার জেমি ক্যারাঘার

নয় বছর আগে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম আলোচিত দলবদলটি হয়েছিল। মৌসুমের মাঝপথেই সেই সময়ে লিভারপুলের অন্যতম বড় তারকা, স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেস যোগ দিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চেলসিতে, আকাশছোঁয়া ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড বা প্রায় সাড়ে পাঁচ শ কোটি টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁর পেছনে এত টাকা ঢালা কি বুদ্ধিমানের কাজ ছিল? লিভারপুলের কিংবদন্তি সেন্টারব্যাক ও তোরেসের এককালের সতীর্থ জেমি ক্যারাঘার সেটা মনে করেন না।

চেলসি যখন লিভারপুলকে পাঁচ কোটি পাউন্ডের প্রস্তাব পাঠালো, তখন বিশ্বাসই করতে পারেননি ক্যারাঘার, 'আমার প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। আমার সঙ্গে সঙ্গে মনে হয়েছে, আমরা চেলসিকে বোকা বানাচ্ছি।'

নিজের এই বক্তব্যের পেছনে যুক্তিও দিয়েছেন ক্যারাঘার, স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, 'লিভারপুলে শেষ এক বছর ও নিজের ছায়া হয়ে ছিল। প্রথম দেড় বছরে ও বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার ছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পরে আস্তে আস্তে ওর অবনতি হতে থাকে। আমার মনে হয়, চেলসির বিপক্ষে তোরেসের দুর্দান্ত রেকর্ডই চেলসির মালিককে (রোমান আব্রামোভিচ) বাধ্য করেছিল তোরেসকে কেনার জন্য। তখন ওদের মালিক যাকে চাইত তাকেই কিনত। শেভচেঙ্কোকেও (ইউক্রেনের স্ট্রাইকার) তিনি এভাবেই কিনেছিলেন।'

লিভারপুলের হয়ে চেলসির বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন তোরেস। সে কারণেই আব্রামোভিচ তোরেসকে কেনার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলেন বলে মনে করেন লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী এই ইংলিশ ডিফেন্ডার, 'আমাদের কপাল ভালো। আমরা সে মৌসুমে ভালো খেলছিলাম না। তোরেসও ছন্দে ছিল না। কিন্তু চেলসির বিপক্ষে ও হুট করে দুই গোল করে বসে। আমার মনে হয় সেটা দেখেই আব্রামোভিচ ওকে কেনার জন্য পাগল হয়ে যান। সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, যে করেই হোক, জানুয়ারি দলবদলে তোরেসকে কেনাই লাগবে। পঞ্চাশ মিলিয়ন পাউন্ড তখন অনেক টাকা। আমাদের বিশ্বাসই হয়নি চেলসি আমাদের এত টাকা দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে গিয়েছে।'

অ্যানফিল্ড অভিষেকেও এই চেলসির বিপক্ষেই গোল করেছিলেন তোরেস। শুধু তাই নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বেও লন্ডনের ক্লাবটাকে দেখলেই জ্বলে উঠতেন এই তারকা। যে ক্লাবটা হয় তাঁর পরবর্তী ঠিকানা।