'হিন্দু-মুসলিম না হয়ে অন্যকে সাহায্য করুন'
![এখনো মানুষ সচেতন হচ্ছেন না বলে ক্ষিপ্ত শোয়েব। ছবি: এএফপি](http://media.prothomalo.com/prothomalo%2Fimport%2Fmedia%2F2020%2F03%2F24%2F53e5743e2c843e524c53c11466e3f5af-5e7988c5bd52b.jpg?w=640&auto=format%2Ccompress)
>করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে ধর্মীয় পার্থক্য ভুলে একে অপরকে সাহায্য করতে বললেন শোয়েব আখতার। বন্ধ করতে বললেন মজুত
করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। এই মহামারিতে থেমে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ অবস্থায় ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ফারাক ভুলে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন শোয়েব আখতার।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি এ পেসার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কথাগুলো বলেন, ‘ভক্তদের বলছি, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের এক জোট হয়ে বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে মোকাবিলা করতে হবে। থাকতে হবে ধর্মীয় পার্থক্যের ঊর্ধ্বে। ভাইরাসের সংক্রমণরোধে চারপাশে সব বন্ধ হচ্ছে। তাই সবার সঙ্গে ওঠা-বসা চালিয়ে গেলে তা মোটেও কাজে লাগবে না।’
করোনা মহামারি হয়ে ওঠায় থেমে গেছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। এতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা। শোয়েব তাদের কথাও ভাবতে বললেন, ‘জিনিসপত্র মজুত করে থাকলে দয়া করে দিনমজুরদের কথা ভাবুন। দোকানগুলো খালি পড়ে আছে। তিন মাস পর যে বাঁচবেন তার কী নিশ্চয়তা? দিনমজুরেরা তাহলে পরিবারকে কীভাবে খাওয়াবে? মানুষের কথা ভাবুন, এখন মানুষ হওয়ার সময়। হিন্দু-মুসলিম না হয়ে একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। মজুত বন্ধ করুন। ধনীরা বাঁচবে কিন্তু গরিবরা?আস্থা রাখুন। আমরা মানুষ হয়ে পশুর মতো বেঁচে আছি। দয়া করে মজুত বন্ধ করুন। এখন বিচ্ছিন্ন মনোভাবে না থেকে একে-অপরকে সাহায্য করার সময়।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারি করার রেকর্ড শোয়েবের। করোনা নিয়ে অসচেতনতার জন্য খেপেছিলেন তিনি। মোটরসাইকেলে করে চার ব্যক্তির এক সঙ্গে যাওয়া দেখে শোয়েব বলেছিলেন, ‘দেখলাম একটা মোটরসাইকেলে করে চারজন মানুষ যাচ্ছে। তারা পিকনিক করতে যাচ্ছে। সত্যি এরা অদ্ভুত। অবাক হয়ে দেখছি শহরের বেশির ভাগ রেস্তোরাঁই খোলা। সেখানে মনের আনন্দে দল বেঁধে মানুষ খেয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে অজস্র মানুষ। এরা এত অসচেতন কেন? করোনার হুমকিটা পাকিস্তানের মানুষ মোটেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।’