ক্রিকেটারদের বাড়ি বাড়ি আনন্দ-উচ্ছ্বাস
>তাঁদের প্রায় সবাই সাধারণ পরিবারের সন্তান। বেড়ে উঠেছেন প্রত্যন্ত এলাকায়। কিন্তু প্রত্যেকেরই স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হবেন। কারও কারও মা-বাবা পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে সন্তান ক্রিকেটে মেতে ওঠায় হতাশ ছিলেন। প্রায় সব মা-বাবারই চাওয়া ছিল—সন্তান পড়াশোনা করবে, বড় চাকরি করবে। কিন্তু ক্রিকেট খেলে তাঁরা এত বড় হবেন, এটা অনেক মা-বাবাই ভাবেননি। বিজয় ছিনিয়ে আনা সেই সন্তানদের জন্য মা-বাবা তো বটেই, গোটা দেশের মানুষ এখন যারপরনাই খুশি। আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে শহর—সর্বত্রই। প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা ক্রিকেটারদের বাড়ি গিয়ে পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীর আনন্দ দেখেছেন।
‘আকবর দ্য গ্রেট’ সবার মুখে মুখে
চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে পুরো বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছেন আকবর আলী। তাঁর নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশ। দেশে–বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। তাঁর গ্রামের বাড়ি রংপুরের রাস্তাঘাটেও মানুষের মুখে মুখে এখন উচ্চারিত হচ্ছে ‘আকবর দ্য গ্রেট’। পরিবারের সবার চোখে-মুখেও বিশ্বজয়ের হাসি।
রংপুর শহরের জুম্মাপাড়ার এক সরু গলিতে সাদামাটা একটা পুরোনো বাড়ি। সামনে ঝুলছে ব্যাট হাতে আকবরের একটি বড় ছবি। নানা বয়সের মানুষের জটলা। বাড়িতে প্রবেশের সরু পথেও গিজগিজ করছে মানুষ। তিনটি কক্ষে বাস করেন আকবর আলীর মা-বাবা, তিন ভাই। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে আকবর সবার ছোট। বিশ্বকাপ চলাকালে গত ২২ জানুয়ারি যমজ বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে মারা যান একমাত্র বোন। এরপর থেকেই পরিবারে শোকের ছায়া। বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে শোকার্ত পরিবারে ফুটেছে হাসির রেখা। পেশায় ব্যবসায়ী আকবরের বাবা মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, এই আনন্দের ভাষা নেই। গ্রামবাসীর আনন্দের শেষ নেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা সাহিদা বেগম বলেন, ‘একমাত্র মেয়ে মারা যাওয়ায় এমনিতেই বাড়ি শোকাহত। আমার বাবা (ছেলে) যে এত ভালো খেলবে, তা ভাবতেই পারিনি। এই আনন্দ পুরো দেশবাসীর। আকবরের বোন বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতো।’
রংপুরেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি। ২০১৩ সালে বিকেএসপির আমন্ত্রণ পেয়ে ভর্তি হন সেখানে। এরপর অনূর্ধ্ব–১৬, ১৭, ১৮ দলে খেলেছেন।
অভিষেকের মা–বাবার মুখে শুধুই হাসি
‘জাতীয় অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেট দলে আমার ছেলে খেলবে, স্বপ্নেও ভাবিনি কখনো। খুলনা স্টেডিয়ামে যখন ট্রায়াল হয়, তখনো ভাবিনি অরণ্য টিকে যাবে। ঈশ্বরের কৃপায় চূড়ান্ত পর্যায়ের অনুশীলনে যখন ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখন মনে মনে ভাবতে শুরু করেছি, ও একটা কিছু করে ফেলবে’—কথাগুলো বলছিলেন অভিষেক দাস অরণ্যের বাবা অসিত দাস।
অভিষেকের বাড়ি নড়াইল পৌরসভার বাধাঘাট চত্বরে। গতকাল সোমবার তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাবা-মায়ের মুখে প্রাণখোলা হাসি। অসিত দাস বলেন, ‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি, মানত করেছি—বাংলাদেশ যেন চ্যাম্পিয়ন হয়। অভিষেক বাড়িতে ফিরলে মানত পূরণ করতে পূজার আয়োজন করব। আমাদের আশা, অরণ্য যেন মাশরাফির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নড়াইল, তথা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।’ মা করুণা দাস বলেন, ‘এত আনন্দ জীবনে আর পাইনি।’
অভিষেক ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন। সন্তানের জন্য সবার আশীর্বাদ চাইলেন মা–বাবা।
ভ্যানচালকের বাড়িতে বড় কর্তাদের ভিড়
৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার পেস বোলার শরিফুল ইসলাম নজর কেড়েছেন পুরো বিশ্বকাপেই। ফাইনালেও করেছেন দুর্দান্ত বোলিং। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তাঁদের বিজয় উৎসবের সেই রেশ ছড়িয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের মৌমারি এলাকায়। এখানে শরিফুলের বাড়িতে এখন গ্রামবাসী আর স্থানীয় বড় কর্তাদের ভিড়। একসময় রিকশা, ভ্যান চালিয়ে সংসার চালানো শরিফুলের বাবাকে ফোন করেছেন রেলপথমন্ত্রী। পরিবারের সবার চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক।
সোমবার সকাল থেকেই শরিফুলদের বাড়িতে চলছে উৎসবের আমেজ। কেউ আসছেন ফুল হাতে, কেউ মিষ্টি হাতে। উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসেছেন বাড়িতে। দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, মুঠোফোনে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছেন শরিফুলের বাবা। শরিফুলের মা বুলবুলি বেগম বলেন, ‘খেলাপাগল ছেলে। ওর স্কুল ফাঁকি দেওয়াটা বৃথা যায়নি।’ বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় গেছে।’
দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে শরিফুল মেজ। ভিটের বাইরে আলাদা কোনো জমি নেই তাঁদের। বাবা দুলাল ইসলাম একসময় ভ্যান চালাতেন। অভাব ঘোচাতে ২০০১ সালে পরিবার নিয়ে ঢাকার সাভারে পাড়ি জমান। রিকশা চালিয়ে চালাতেন সংসার। ২০১০ সালে গ্রামে ফিরে আসেন। প্রিমিয়ার লিগে খেলে পাওয়া শরিফুলের টাকায় গ্রামে একটি গরুর খামার করেছেন। ওই খামারের আয় দিয়েই চলছে এখন পুরো সংসার।
গ্রামেই স্কুল ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট মাঠে ছুটতেন শরিফুল। ২০১৬ সালেই দিনাজপুরের ক্লেমন একাডেমিতে সাত দিনের একটি ক্রিকেট কোর্সে ভর্তি হন। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ধীমান ঘোষের নজরে পড়েন তিনি। রাজশাহীতে অনুশীলন ক্লাবে কোর্স করার সুযোগ পান শরিফুল। বড় ভাই ঢাকায় তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করে মাসে তিন হাজার টাকা পাঠাতেন। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ডিপিএল এবং ২০১৯ সালে বিপিএলে খেলেন তিনি। ডাক পান অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে। শরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিজের চেষ্টা আর বাবা-মায়ের দোয়ায় প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে আসতে পেরেছি।’
‘কাঠ দিয়ে ব্যাট বানিয়ে দিতাম’
নিদারুণ কষ্টের মধ্যে বেড়ে ওঠা। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বুদ্ধি হওয়ার আগেই পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষটি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। একদিকে বেঁচে থাকার যুদ্ধ, অন্যদিকে নিজের শখের ক্রিকেটকে আগলে রাখার চেষ্টা শাহাদাত হোসেনের। বিশ্বকাপ ছোঁয়ার পর আজ ছোট্ট কিশোরটির সেই যুদ্ধ সার্থক হয়েছে।
শাহাদাতের ঘরে আজ আনন্দ ভর করেছে। পরিবারের সদস্য, পাড়া–প্রতিবেশী সবার মধ্যে আনন্দের সীমা নেই। শাহাদাতের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানাই গ্রামে। তাঁর বাবা আবদুস ছবুর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক ছিলেন। ৩৫ বছর ধরে চট্টগ্রামে থাকে পরিবারটি। শাহাদাতের জন্ম শহরে।
তিন বোন ও দুই ছেলের মধ্যে শাহাদাত সবার ছোট। বাবা আবদুস ছবুর ২০১০ সালে মারা যান। সেই থেকে বড় ভাই আবুল হোসেন পরিবারের হাল ধরেন। শাহাদাত একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন।
মা ফেরদৌস বেগমের আজ আনন্দের শেষ নেই। তিনি বলেন, ‘ফাইনাল খেলার আগের দিন রাতে শাহাদত ফোন করে দোয়া করতে বলেন। আমার ছেলে যখন খেলছে, তখন আমার কেমন আনন্দ হচ্ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আজ সে সারা দেশের ছেলে।’
‘ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটপাগল ছিল। তার বাবা মারা যাওয়ার পর আর্থিক অনটনের কারণে ব্যাট কিনে দিতে কষ্ট হতো। তখন কান্নার জ্বালায় তাকে কাঠ দিয়ে ব্যাট বানিয়ে দিতাম।’ যোগ করেন ফেরদৌস বেগম।
শাহাদাতের বড় ভাই আবুল হোসেন একটি ভাড়া অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সংসার চালান। তিনিও ভাইয়ের কীর্তিতে খুশি। আর খুশি শাহাদাতের মেন্টর ক্রিকেটার সুদীপ্ত দেব। ছোটবেলা থেকে অগ্রজ সুদীপ্ত দেব শাহাদাতকে ক্রিকেট খেলায় উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন।
চাঁদপুরে অপেক্ষা দুই ক্রিকেটারের জন্য
যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শামীম পাটোয়ারী ও মাহমুদুল হাসানের (জয়) জন্য আনন্দের বন্যা বইছে চাঁদপুরজুড়ে। তাঁদের মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজন ছাড়াও স্থানীয় ক্রিকেট একাডেমি এবং চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও খুশিতে আত্মহারা। তাঁরা অপেক্ষায় আছেন দুই কৃতী ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য।
শামীম পাটোয়ারী ও মাহমুদুল হাসান ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমির ছাত্র ছিলেন। স্কুলে পড়ার সময় দুজনেই সেখানে প্রশিক্ষণ নেন। পরে তাঁরা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। এই জয়ে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জে পৃথক সংবর্ধনাসহ নানা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমির কোচ শামীম ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৪ জনের দলে আমার দুজন ছাত্র শামীম পাটোয়ারী ও মাহমুদুল হাসান অংশ নেওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমি আশাবাদী, ভবিষ্যতে তারা জাতীয় দলের হয়ে খেলবে এবং চাঁদপুর তথা দেশের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, মুজিব শতবর্ষে শামীম ও মাহমুদুল বাংলাদেশের জন্য একটা ইতিহাস তৈরি করেছেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া আবদুর রহমান পাটোয়ারী বাড়ির ছেলে শামীম পাটোয়ারী। তাঁর বাবা আবদুল হামিদ পাটোয়ারী ঠিকাদারি করতেন। মাহমুদুল হাসানের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজারের পাশে। তাঁর বাবা আবদুল বারেক চাঁদপুর পূবালী ব্যাংক নতুন বাজার শাখার কর্মকর্তা। দুজনের মা-বাবাই ছেলের কৃতিত্বে আনন্দিত। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুই ক্রিকেটার দেশে ফিরলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
‘যখন জিতিল, চোখ দিয়া পানি আসিল’
শাহীন আলম ও তাঁর দরিদ্র পরিবারকে এখন সবাই চেনে। যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ের পর পুরো গ্রামের মানুষ উচ্ছ্বসিত। যাঁরা খেলা দেখেননি, তাঁরাও শাহীনকে নিয়ে আলোচনা করছেন।
শাহীনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার যমুনা পাইকপাড়া গ্রামে। দুই শতক জমির ওপর বাড়ি, এটাই একমাত্র সম্পদ।
জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে শাহীন আলমের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা সাতিনা বেগমকে পাওয়া গেল। তিনি জানান, ‘খেলার আগের দিন রাইতোত রিং করি কয় মা দোয়া করিস। কাল ফাইনাল খেলা। খেলা দেখছি উয়ার বাপসহ। বারে বারে দোয়া পড়ি। যখন জিতিল, চোখ দিয়া পানি আসিল।’
শাহীনের দিনমজুর বাবা মো. সাহাদাৎ আলী বাড়িতে ছিলেন না। বিকেলে কাজ শেষে বাড়িতে যখন এলেন, তখন তাঁর হাতে–পায়ে মাটি। ছেলের কথা জানতে চাইলে বলেন, ‘রাইতোত খেলা দেখছি। আজ কামোত যাওয়ার সময় শুনি সবাই ছাওয়াক নিয়া কথা কবার নাগছে। অনেকে জিজ্ঞাসা করে শাহীন কুনদিন আসপে বাহে।’
গাড়িচালকের ছেলের ব্যাটে বিশ্বজয়
জয়ের জন্য দরকার ১ রান। মিড অনে ঠেলে দিয়ে দুহাত আকাশে ছড়িয়ে দেন রাকিবুল হাসান। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা সদরের রূপসী বাজারের এক চায়ের দোকানে নামে উৎসবের হুল্লোড়। স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে এখানেই খেলা দেখছিলেন পাশের গ্রাম থেকে আসা রাকিবুলের স্বজনেরা। নিজেদের গ্রাম বাশাটিতে বিদ্যুৎ না থাকায় এখানেই জড়ো হন সবাই। বাশাটি গ্রামের সন্তান রাকিবুলের এমন কীর্তিতে গোটা দেশেই নামে উৎসবের আমেজ।
ফুলপুর সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের গ্রাম বাশাটিতে বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। এখানেই জন্ম নেন রাকিবুল। তাঁর বাবা শহীদুল ইসলাম ঢাকায় গাড়ি চালান। তাই জন্মের পর থেকে ঢাকাতেই বেড়ে ওঠা রাকিবুলের। তবে সুযোগ পেলেই বছরে কয়েকবার গ্রামে যান তাঁরা। রাকিবুলের গ্রামের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, টিনের ছোট্ট পুরোনো বাড়ি। রাকিবুলের ফুফা কামাল হোসেন তাঁর পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন। গ্রামের কিশোরদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান। রূপসী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেটও খেলেন। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই পাশের গ্রামে গিয়ে খেলা দেখেছে স্থানীয় কিশোরেরা। পুরো গ্রামের আনন্দ বাড়াতে রাকিবুলকে নিয়ে গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁর বাবা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাসের খবর পেয়েছি, তাঁদের সঙ্গে এ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেব।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন আরিফুল হক (রংপুর), কার্ত্তিক দাস (নড়াইল), রাজিউর রহমান (পঞ্চগড়), আবদুর রাজ্জাক (পটিয়া, চট্টগ্রাম), আলম পলাশ (চাঁদপুর), সফি খান (কুড়িগ্রাম) ও কামরান পারভেজ (ময়মনসিংহ)]